ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এখন তিনবেলা পেটপুরে খেতে পারছি- এটাই উন্নয়ন ॥ পরিকল্পনামন্ত্রী

প্রকাশিত: ১১:০৩, ১৯ নভেম্বর ২০১৯

এখন তিনবেলা পেটপুরে খেতে পারছি- এটাই উন্নয়ন ॥ পরিকল্পনামন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আমরা এক সময় খাবারের কষ্টে ভুগেছি। এখন তিনবেলা পেটপুরে ভাত খেতে পারছি, এটাই উন্নয়ন, জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বলে। আমরা ৯৫-৯৬ শতাংশ ঘরে বিদ্যুত দিয়েছি। এর চেয়ে ভাল আর কী হতে পারে বলে জানান মন্ত্রী। সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) আয়োজিত উন্নয়ন মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, আমরা ভাল খাই, ভাল পরি। আমরা এখন তিনবেলা ভাত খেতে পারি। দারিদ্র্য হার অনেক কমেছে। প্রধানমন্ত্রীর নিরলস প্রচেষ্টায় সারাদেশে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। আমরা চলতিপথে সবখানে পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি। ইতিহাস বলে, আমরা খাবারের কষ্টে ভোগা জাতি ছিলাম। এখন আমরা তিনবেলা পেটপুরে ভাত খেতে পাচ্ছি, এটাই উন্নয়ন। বাংলাদেশের উন্নয়নের ঢেউ আফ্রিকা ও আমেরিকায়ও লেগেছে। সম্প্রতি আবুধাবিতে বিমান শোতে আমাদের বিমানও অংশ নিয়েছে। এটাও বিরাট অর্জন। তিনি পিকেএসএফকে উদ্দেশ করে বলেন, সরকারের যে কয়টি প্রতিষ্ঠান আছে, এর মধ্যে পিকেএসএফ অন্যতম। তারা দারিদ্র্য বিমোচনে ভাল কাজ করছে। এখানে আজ উন্নয়ন মেলা হচ্ছে। এই উন্নয়নের ছোঁয়া প্রতিটি ঘরে ঘরে লেগেছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বিদ্যুত খাতে সরকারের উন্নয়ন-সাফল্য তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সারাদেশে ৯৬ শতাংশ মানুষ বিদ্যুত পাচ্ছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে গর্ববোধ করি। ১০ বছর ওনার পাশে থেকে কাজ করেছি। প্রধানমন্ত্রী সময়ের প্রতি খুব সিরিয়াস। মন্ত্রী বলেন, আমরা কোন প্রতিষ্ঠানে হস্তক্ষেপে বিশ্বাস করি না। প্রধানমন্ত্রী চান, সকল সংস্থা যেন তাদের নিজস্ব আইন-কানুন দ্বারা পরিচালিত হয়। যদিও ব্যাংকগুলো নিয়ে আমরা শঙ্কিত আছি। নানা ধরনের বকাঝকার মধ্যে বাস করি। তারপরও চাই ব্যাংকগুলো যেন তাদের নিজস্ব বোর্ড, নিজস্ব চেয়ার, নিজস্ব বিধি-বিধান অনুযায়ী চলে। সকাল-বিকেল হস্তক্ষেপ করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়।
×