ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আমুর ৭৯তম জন্মদিন পালিত

প্রকাশিত: ১১:৫৭, ১৬ নভেম্বর ২০১৯

 আমুর ৭৯তম জন্মদিন পালিত

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রবীণ রাজনীতিবিদ, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু এমপির শুক্রবার ৭৯তম জন্মদিন পালন করেছেন তার শুভাকাক্সক্ষীরা। এই উপলক্ষে কোন আনুষ্ঠানিকতা না থাকলেও দলের নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অভিনেত্রী তারিন জাহান, জোটের কেন্দ্রীয় নেতা মোত্তাছিম বিল্লাহ, নাহিদ হোসেনসহ সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ তার রাজধানীর ইস্কাটনস্থ বাসভবনে গিয়ে ফুল দিয়ে ও কেক কেটে শুভেচ্ছা জানান। ১৯৪১ সালের ১৫ নবেম্বর ঝালকাঠির এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন আমির হোসেন আমু। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর কেবল দীর্ঘ কারা নির্যাতনই ভোগ করেননি, আওয়ামী লীগ পুনর্গঠন ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে দলের ঐক্যের প্রতীক হিসেবে স্বদেশে ফিরিয়ে আনতে অন্যতম ভূমিকা রাখেন আমু। ষাটের দশকের ছাত্র আন্দোলনে তিনি অগ্রভাগে ছিলেন। ১৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে যুবলীগ পুনর্গঠনেও তার ভূমিকা অনেক। আমির হোসেন আমু ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনী প্রচারে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে কারাবরণ করেন। তিনি ১৯৫৯ সালে সর্বদলীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ ভাষা দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক মনোনীত হন। তিনি ১৯৫৯ সাল থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৬২ সালের সর্বদলীয় ছাত্রসংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক হন। ১৯৬৫ সালে বরিশাল বিএম কলেজ থেকে বিএ এবং ১৯৬৮ সালে বরিশাল আইন মহাবিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রী অর্জন করেন। আমির হোসেন আমু ১৯৬৫ সালে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৬৬ সালে ৬ দফা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং ঊনসত্তরের গণআন্দোলনের অন্যতম রূপকার হিসেবে প্রচারের দায়িত্ব পালন করেন। আমির হোসেন আমু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর পাঠ শেষ করে আইন পেশার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত হন। তিনি ১৯৭০ সালে প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে বরিশাল সদর আসন থেকে নির্বাচিত হন। ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে তিনি বরিশাল, খুলনা, পটুয়াখালী, যশোর ও ফরিদপুরসহ পাঁচ জেলায় মুজিব বাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭৩ সালে ঝালকাঠি ও রাজাপুর নির্বাচনী এলাকা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আমির হোসেন আমু আওয়ামী যুবলীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনি ১৫ আগস্ট ঘাতকের হাতে নিহত হওয়ার পর তিনি যুবলীগকে পুনরুজ্জীবিত করতে কাজ শুরু করেন। ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত তিনি কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতিম-লীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি অবিচল পথচলা এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ শেখ হাসিনার প্রথম শাসন আমলে (১৯৯৬) খাদ্যমন্ত্রী ও বিগত শাসন আমলে (২০১৪) শিল্পমন্ত্রী হিসেবে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।
×