ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এক্সক্লুসিভ ফুটেজ

প্রকাশিত: ১৩:২৫, ১৫ নভেম্বর ২০১৯

এক্সক্লুসিভ ফুটেজ

কারও মাথা ফেটে গেছে। কারও হাত লরবর করছে। পা ভেঙ্গে কাতরাচ্ছে কেউ কেউ। অনেকে মরে চিৎ হয়ে আছে। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন গাধা খাটুনি খেটে যাচ্ছে। একটা মানুষকে যদি বাঁচানো যায়। কিছু মানুষ সেলফি তুলছে। কেউ কেউ মানুষের আহাজারি ভিডিও করছে। দারুণ সময় পড়েছে এখন। সবাই সেলিব্রেটি হতে চায়। ফেসবুক লাইভ। মেথরপট্টি থেকে পায়ান্ন তলার ছাদ পর্যন্ত। কেউ টিকটক বানায়। অবশ্য সবই সময়ের চাওয়া। মহিমের কোনভাবেই এমন একটা ঘটনায় সশরীরে থাকার সুযোগ হয়ে উঠছিল না। মানুষ জীবনে একটি কাজ করেই আজীবন বেঁচে থাকতে পারে। সাংবাদিকতা জীবনে একটা এক্সক্লুসিভ ফুটেজের জন্য কত যে চেষ্টা করেছে সে। আর এমন একটা সুযোগ লুফে নিতে পারলে স্মরণীয় হতে সহজ হয়। অল্প পরিমাণে কাজ করে নিজেকে তুলে ধরতে পারা পরম সৌভাগ্যের। অবশ্য এ সময়ে এসে তা আরও সহজ করে দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। এখন যে কোন ঘটনা মানুষের সামনে উঠে আসে খুব সহজেই। নিজের প্রতিভা তুলে ধরার সহজ উপায় এখন ফেসবুক ইউটিউব। অনেকেই ইতোমধ্যে সফলও হয়েছেন বটে। মুঠোফেনের রিংটোন বেজেই চলেছে। একবার অফিস থেকে আবার পরিবারের কল। সবার আগে অফিসের কলটাই ধরা প্রয়োজন। মহিম ফোনটা রিসিভ করে। অফিস কি বলবে সে সব জানে। মূলত এমন ঘটনায় দেশে তোলপাড় শুরু হয়েছে। কেউ বলছে, অদক্ষ চালকের দোষ, কেউ বলছে রাস্তা তেরছা আবার কেউ কেউ বলছে বেপরোয়া গতি। মহিম ভাবে ফুটেজ পাঠাতে হবে। লাইভ দিতে হবে। অফিসের বসেরা কি বলবে মহিম সব জানলেও তার কথা ফোনের ও প্রান্ত থেকে কিছু বুঝতে পারছে না। মানুষের হাউকাউ শব্দে। অবশ্য অফিস থেকে দেখছে যে কলটা রিসিভ হচ্ছে না। মহিম প্রতিত্তোরে যা বলে তা আর ও প্রান্ত পর্যন্ত পৌঁছায় না। মহিম ভাবে অফিসের সব বধির হয়ে গেল নাকি? আমি তাদের সব কথা শুনি। তারা আমার কথা শুনে না? কি আজব! মোটরবাইকের পেছনে বসে মুহিম মোবাইলে ভিডিও করছিল। রাস্তার দু’পাশে সারি সারি গাছ। বাইকের দ্রুত গতিতে তীব্র বাতাস। হাতে যেন মোবাইল ধরে রাখা যায় না। হঠাৎ একটা বিকট শব্দে কখন হাত থেকে মোবাইল সিটকে গেছে টের পায়নি মহিম। অফিস বিরক্ত হচ্ছে। খুব বিরক্ত। এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কল না ধরা অবশ্যই বিরক্তির। এমন জরুরী সময়ে কল না ধরলে মেজাজ ঠিক থাকে না। অবশ্য উপরের পদে অধিষ্ট সহকর্মীরা কোন সমস্যাই বুঝতে চান না। তারা তাদের কাজ আদায় করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এত বড় ঘটনা অথচ মহিম কল ধরছে না। এটা কোন কথা হলো? অফিসের বার্তা বিভাগ মিটিং ডাকে। আজই প্রতিনিধির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরী হয়ে পড়েছে। অফিসের এইচ আর বিভাগ থেকে মহিমের বিরুদ্ধে শোকজ প্রস্তুত করে। সে সব সময় এমন কা-ই ঘটায়। অথচ মহিম চৌষট্টি জেলার মধ্যে খুব সরব প্রতিনিধি। সারা দেশে দশজনকে বাঁচাই করলে তার নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কথা। ইতোমধ্যে কয়েকবার মহিম মাসের সেরা প্রতিবেদকও নির্বাচিত হয়েছে। মহিম উঠে দাঁড়ায় কাঁধ থেকে ব্যাগটা নিয়ে হেন্ডিক্যাম হাতে নেয়। মানুষের আহজারি আর আত্ম চিৎকারের দারুণ ভিডিও। এমন এক্সক্লুসিভ ভিডিও আর কোন মিডিয়া কাভার করতে পারবে না। তা ছাড়া মোবাইলে এক্সক্লুসিভ ফুটেজ তো আছেই। যদি না কাউকে ধার দিতে হয়। মহিম বিভিন্ন এঙ্গেলে আর ভিডিও রেকর্ড করে। এবার বাসার দিকে হাঁটতে শুরু করে মহিম। আজ সবকিছু নিজের মতো হয়ে যাচ্ছে। এখন আর কোন সহকর্মী কল করছে না । ফোনটাও বাজছে না। যদিও মগজে একই রিংটোন বাজতেই থাকে। অনেক সময় রাতের বেলায় ঘুমঘোরেও ফোনে কথা বলেন সে। তখন পাশে ঘুমানো স্ত্রীও রেগে যায়। গত চার বছর একই একই সেট। স্যামসং জে সেভেন। এই রিংটোন প্রথম থেকে আজও সেট করা। মোবাইলও পাল্টায়নি রিংটোনও পাল্টানো হয়নি। অফিসে মহিম যখন কথা বলছিল তখন আহত মানুষের আর্তচিৎকার নিশ্চয় শুনতে পেয়েছে। কিন্তু হঠাৎ মহিমের ভাবনায় এলো, সে বাসায় যাচ্ছে কেন? আজ তো একটা স্টোরি করতে কটিয়াদী যাবার কথা। অবশ্য ওই নিউজের চেয়ে চলমান ঘটনার নিউজ ডিমান্ড বেশি। কয়েক মাস আগে নাইনটি টেলিভিশনের প্রতিনিধি সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। যদিও ভুল তথ্যের কারণে ওই টিভি স্টেশন স্ক্রল দিয়েছিল সড়ক দুর্ঘটনায় আমাদের প্রতিনিধিসহ দুজন নিহত। ওই সময়ে সহকর্মীর জন্য সমবেদনা না জানিয়ে কিনারা টিভির প্রতিনিধি বলাবলি শুরু করেছে নাইনটি টিভি তাকে নিউজ পাঠাতে বলেছে। অর্থাৎ তিনি কিনারা টিভিতে কাজ করতে চান না। একটা ভাল মানের টিভিতে কাজ করতে তুমুল আগ্রহী। এ সুযোগে তিনি এমন তথ্য অন্য সহকর্মীদের কাছে প্রচার শুরু করলেন। অথচ ভাগ্যগুণে ওই প্রতিনিধি বেঁচে যান। অবশ্য অন্তত চার মাস তিনি চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন। মহিমের সঙ্গে মোটারসাইকেলে আরও দুই সহকর্মী ছিল। তাদের খুঁজতে শুরু করে। কিন্তু আশপাশে আর কাউকে পাওয়া গেল না। পুলিশ এসেছে আরও অনেক সাংবাদিক এসেছে ততক্ষণে। সবাই কাজ করছে কিন্তু মহিমের কাছে যে ফুটেজ রয়েছে তা দুর্লব। যা আর কেউ পায়নি। অবশ্য জীবনে এই প্রথম এমন হলো ছয় সাতজন সহকর্মী ঘটনাস্থলে এসেছে। আসারই কথা। দেশে এ মুহূর্তে সবচেয়ে বড় ঘটনা এটি। কেউ মহিমের সঙ্গে কথা বলল না। মহিম অবাক হয়। জেলা শহরে এমন কোন সাংবাদিক নেই যাদের মহিম সহযোগিতা করেনি। জেলা শহরে টিভি সাংবাদিকতা করতে হলে একে অপরের সহযোগী হয়ে কাজ করতে হয়। না হয় খুব প্রয়োজনের সময় স্টেশনকে বুঝ দেয়া জটিল হয়ে দাঁড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে মহিমের স্ত্রী ও অবুঝ সন্তান। সবাই মহিমকে খুঁজছে। কিন্তু কেন? মহিম ভাবে, আমি তো ঠিকই আছি। শুধু বুকে একটু ব্যথা পেয়েছি। স্ত্রীর কাছে গিয়ে মহিম বলে, দেখ আমার শরীরের কোথাও কোন জখমের চিহ্নমাত্র নেই। তবে তোমরা কেন এখানে ছুটে এসেছ? চলো চলো বাসায় চলো। আমি এক্সক্লুসিভ ফুটেজ পেয়েছি। আজ সঙ্গে করে ল্যাপটপও আনা হয়নি। আনলে এখানে বসেই কাজ করা যেত। কিন্তু কপাল মন্দ। প্রকৃত পক্ষে মানুষ কোনভাবেই স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারে না। কোন না কোন ঘাটতি থেকেই যায়। এটাই প্রকৃতির অমোঘ নিয়ম। ফুটেজ দ্রুত কেটে অফিসে পাঠাতে হবে। কিন্তু আমার কোন কথাই শুনছে না প্রিয় স্ত্রী সন্তানরা। ওর সঙ্গে আমার হাজার হাজার স্মৃতি রয়েছে। বিস্মৃতিও কম নেই। মাঝে মাঝেই দুজন ঝগড়ায় মেতে উঠতাম। বউ আমার সঙ্গে খুব অভিমান করে। পরিবারকে সময় দিতে পারি না বলে অভিমান আরও চাঙ্গা হয়। রাগ করে। কথা বলে না। অবশ্য মাঝে মাঝে আমার কটু কথায়ও রাগ করে। কিন্তু আমি একটা বোকা মানুষ। বউয়ের রাগ বুঝতে পারি না। অবশ্য বউ বিষয়টি বুঝতে অনেক সময় নিয়েছে। তাকে বুঝতে পারার অক্ষমতা এত দিনে মাফ করতে শিখে গেছে। তাই এখন আর রাগ করে না। গত দশ বছরে আমি সাংবাদিক হিসেবে মানিয়ে নিয়েছে। ও আমাকে বুঝতে শিখেছে। গভীর রাত করে বাড়ি ফেরা মেনে নিয়েছে। এখন আমাদের দারুণ বোঝাপড়া। অফিস থেকে কল আসছে। কল রিসিভ হচ্ছে। অথচ অফিস আমার কোন কথা শুনছে না। কী অবাক কা-। এভাবে একটা যাত্রীবাহী বাস আমাদের চাপা দিয়ে জলভর্তি খালে পড়ে যাবে? এটা কেমন কথা? এ ঘটনায় অন্তত তেরোজন মারা গেছে। এ মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে বড় খবর। তিনজন সাংবাদিক মারা গেছে তাই নিউজের গুরুত্ব অনেক বেড়ে গেছে। কিন্তু তারা তিনজন সাংবাদিক পেল কোথায়? আমি তো ঠিকই আছি। হয়ত বাসে কোন সাংবাদিক ছিল ভাবে মহিম। তিনজন থাকলেও সঙ্গে থাকা অপর দুজনকে এখনও খুঁজে পায় না সে। মহিম ভাবে, আমি যদি মোটরসাইকেল চালাতাম হয়ত এভাবে ওদের মরতে হতো না। স্ত্রীকে এখানে কান্নাকাটি না করে বাসায় যেতে বলি। চলো। চলো। দ্রুত বাসায় চলো কাজ করতে হবে। অফিস থেকে বার বার ফোন দিচ্ছে। রিংটোন কেউ না শুনলেও মহিমের কান যেন ঝালাপালা করে দিচ্ছে। কিন্তু আমার বউ এত কান্নাকাটি করছে কেন? আমি তো তার পাশেই দাঁড়ানো। তবে কেন এত মায়া কান্না। অন্য যারা মারা গেছে তারা তো তার কেউ না। আত্মীয়স্বজন তো কেউ নেই। আল্লাহ আমাকে রক্ষা করেছে এ শুকরিয়া থেকে তার বাড়ি যাওয়া উচিত। কিন্তু না বউ আমার কোন কথাই যেন শুনছে না। মহিমের স্ত্রী মনিরা দুই সন্তানকে বুকে আগলে ধরে চিৎকার করছে। আকাশ বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। এভাবে চলে গেলে বলে চিৎকার করছে। আমাকে যেন সে চোখেই দেখে না। ইতোমধ্যে আমার মোবাইলে অনেকগুলো কল। মা বাবা ভাই বোন সবাই ফোন করছে। কর্ম জীবনের অনেক প্রিয় মানুষগুলো ছুটে আসছে। কি দারুণ বিষয়। এতক্ষণে তারা বুঝে গেছে আমার কাছে এক্সক্লুসিভ ফুটেজ আছে। কিন্তু তারা তো আমার কাছে কিছু চাচ্ছে না। ঘটনার পর পরই মহিম ফেসবুক টিকার গ্রুপ ম্যাসেঞ্জারে লিখে দিয়েছে ‘ঢাকা কিশোরগঞ্জ সড়কের পিরোজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই সাংবাদিকসহ মারা গেছেন ১২জন।’ কিন্তু না। আরও একজন সাংবাদিক আছে বিষয়টি নিশ্চিত হতে টিকার মোবাইল থেকে কল করা হচ্ছে। মহিমের টিভিতে যিনি স্ক্রলের প্রধান তিনি খুব অভিজ্ঞ মানুষ। নাম জাকারিয়া রেজা। মাঝে মাঝেই ফোন করে বিভিন্ন জ্ঞান বিতরণ করেন। যদিও তিনি প্রথমেই বলে দেন, আমার নিজেরও ভুল হয়। তার পরেও যতটুকু সম্ভব ভুল যেন কম হয় সে যতœটুকু করার পরামর্শ দেন। লাইভ থেকে ফোন আসছে। স্কাইপ না এলইউ সফটওয়্যারে লাইভ দেব জানতে চায়। আমি বলি কিন্তু তারা শোনে না। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে এক মহাসমাবেশ তৈরি হয়েছে এখানে। কিন্তু এখানে কেউ ভাষণ দেবেন না। সবাই অশ্রু বিসর্জন দিতে এসেছেন। অবশ্য কেউ কেউ ইচ্ছে মতো সেলফি তুলছেন। এমন সুযোগ আর পাবে কিনা সন্দেহ। একবার মেঘনা নদীর গজারিয়া এলাকায় একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ ডুবে ছিল। লঞ্চ ডুবার সে ভিডিও একজন মোবাইলে রেকর্ড করেছিলেন। সেই ভিডিও সব টিভি অনএয়ার করেছিল। ভিডিওটা এখনও ইউটিউবে পাওয়া যায়। কোন কোন টিভির নিউজ আজও ইউটিউবে ভাসে। জেলার বড় বড় কর্তাব্যক্তিরাও ছুটে এসেছেন ঘটনাস্থলে। জেলা প্রশাসক প্রত্যেক পরিবারকে দাফন কাপনের জন্য পঞ্চাশ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান দিয়েছেন। দুর্ঘটনার কারণ জানতে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত টিম গঠন করেছেন। সবাই মহিমকেও মৃতের তালিকায় রেখেছে। কিন্তু এটা কোন ধরনের কথা? মহিম ভাবে, আমি ভাল আছি তারা আমায় মৃত ভেবে বসে আছে কেন? বউ বাচ্চা তো কেঁদে কেঁদে হয়রান। যেন আমি মরে গেছি। এত বড় খবর। অথচ মহিমের টিভি সেন্টার এক্সক্লুসিভ কিছু প্রচার করতে পারছে না। বার্তা সম্পাদক থেকে শুরু করে উপরের শীর্ষ পর্যায়ের সব বসেরা ক্ষুব্ধ হয়। কেউ কেউ গালি দেয়। এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ নিউজ কাভার করতে প্রতিনিধিকে ফোনে পাচ্ছি না। তার চাকরিটাই থাকা উচিত নয়। এমন কা-জ্ঞানহীন মানুষ ক’জন আছে? এখানের এক সাংবাদিকের সঙ্গে মহিমের অফিসের এক শীর্ষ পর্যায়ের বসের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক। তার সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছে তাদের প্রতিনিধি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। তার পরেও ন্যাশনাল ডেস্কর প্রধান বার বার মহিমের নম্বরে ফোন দিচ্ছেন। তিনি মহিমকে খুব ভালবাসেন। তার গুছানো কাজ ও সিনসিয়রিটিতে তিনি মুগ্ধ। কিন্তু আজ কেন এমন হলো? নিজেকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না তিনি। এক পর্যায়ে মহিমের স্ত্রী মনিরার নম্বর সংগ্রহ করে ফোন করে। মনিরা ফোন রিসভি করলেও কান্নার কারণে কিছু বলতে পারছিল না। কর্তৃপক্ষের মনে আর কোন সন্দেহের বিন্দুমাত্র রেশ রইল না। বিষয়টি নিশ্চিত হতেই ‘ব্রেকিং নিউজ : মোটরসাইকেল ও বাস দুর্ঘটনায় কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিসহ নিহত ১৩’ জেপি টিভি পরিবারের শোক। এমন খবরে জেলার সাংবাদিক পাড়ায় তোড়জোর শুরু হয়েছে। কে কার আগে নিউজ পাঠাবে। এখন তিনটি চ্যানেলের প্রতিনিধি পদ খালি হয়েছে। শুধু চাকরিটা দরকার। যে কোন বিনিময়ে টিভির প্রতিনিধিত্ব পেতেই হবে। কেউ কেউ স্থানীয় এমপির ডিও লেটার নেয়ার চিন্তা করে। তদ্বির। কার কত পাওয়ারফুল লোক আছে তার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে। অথচ গতকালও এদের অনেকের সঙ্গেই দেখা হয়েছে কথা হয়েছে মহিমের। চা খেতে খেতে কত আড্ডা...
×