ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সিডরের ভাগ্যে আশ্বাস ছাড়া-কিছুই জোটেনি

প্রকাশিত: ১০:১৮, ১৫ নভেম্বর ২০১৯

সিডরের ভাগ্যে আশ্বাস ছাড়া-কিছুই জোটেনি

নিজস্ব সংবাদদাতা, মংলা, ১৪ নবেম্বর ॥ দীর্ঘ এক যুগে আশ্বাস ছাড়া কিছুই জোটেনি সিডরের ভাগ্যে। তাই অভাবের তাড়নায় এখন পড়াশোনার জন্য সিডরকে ঘর-বাড়ি ছেড়ে থাকতে হচ্ছে বহুদূরের খ্রিস্ট মিশনারি হোমে। দেশের শীর্ষ স্থানীয় একটি সংবাদপত্র মেধাবী সিডরের লেখাপড়ার সকল দায়-দায়িত্ব নিলেও এখন তারাও কিছুই করছেন না তার জন্য। বরং ওই সংবাদপত্রটি লেখাপড়ার দায়িত্ব নেয়ার কারণেই সরকারী-বেসরকারী, ব্যক্তি কিংবা সংগঠনের সকল সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন পরিবারটি। তবে সিডরের পরিবারকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাহাত মান্নান। সিডর সরকারের (১২) ২০০৭ সালের ১৫ নবেম্বরের প্রলয়ঙ্করি ঘূর্ণিঝড় সিডরের রাতে মংলার চাঁদপাই ইউনিয়নের চিলা গ্রামের সেন্ট মেরিস প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টারে জন্ম হয়। ঝড়ের রাতে জন্ম হওয়ায় ঝড়ের নামেই তখন তার নাম রাখা হয় সিডর। ওই রাত থেকেই সিডরের জন্মের খবর স্থান করে নেয় দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমগুলোতে। এরপর থেকে অনেকেই তাকে সাহায্য সহযোগিতার আশ্বাস দিতে থাকেন। এর মধ্যে একটি পত্রিকাও দায়িত্ব নেন লেখাপড়া, বাড়িঘর করে দেয়ার। তবে সিডরের ভাগ্যে কিছু জোটেনি। মংলার কানাইনগর গ্রামে সিডরের বাবার বাড়ি। বাবা জর্জি সরকার পেশায় দিন মজুর, মাছ ধরে সুন্দরবনে। আর মা এবং দাদি কাজ করেন অন্যের বাড়িতে। পিতার আয়ে সংসারই চলে না, ছেলের পড়াশোনার খরচ চালাবেন কেমন করে। একপর্যায়ে লেখাপড়া বন্ধের উপক্রম হলে বছরখানেক আগে তাকে একটি মিশনারি হোমে দেয়া হয়েছে। দরিদ্র পিতা-মাতা ও দাদির বোঝা না হয়ে কষ্ট মেনে নিয়ে সিডর এখন লেখাপড়া শিখছেন খুলনা দাকোপ উপজেলার হরিণটানায় একটি ফ্রি মিশনারি হোমে। সিডর বাড়িতে থেকে খেয়ে-পরেই যাতে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে সেই দাবি স্থানীয়দের। মেধাবী সিডরের লেখাপড়া ও তার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য সকলের সহায়তা চান তার পরিবার।
×