ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রোহিঙ্গা সঙ্কট সৃষ্টির পেছনে জিয়ার হাত আছে

প্রকাশিত: ১০:১৪, ১৪ নভেম্বর ২০১৯

রোহিঙ্গা সঙ্কট সৃষ্টির পেছনে জিয়ার হাত আছে

সংসদ রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। দুর্নীতির বিষবৃক্ষ সম্পূর্ণ উপড়ে ফেলে দেশের প্রকৃত আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য একটি সুশাসনভিত্তিক প্রশাসনিক কাঠামো তৈরি করতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। রাষ্ট্র ও সমাজের সকল স্তর থেকে অপরাধ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে। দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে রাজনৈতিক ব্যক্তি ছাড়া সরকারী কর্মচারীসহ অন্য যে সকল ব্যক্তি জড়িত তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত ত্রিশ মিনিটের প্রশ্নোত্তর পর্বে এ সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্নের জবাবে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে শেখ হাসিনা আরও বলেন, ক্যাসিনো ও দুর্নীতির সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক না কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ যাতে কেউ করতে না পারে সে জন্য আইনশ্ঙ্খৃলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানের পাশাপাশি কঠোর গোয়েন্দা নজরদারিও অব্যাহত রয়েছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য বাংলাদেশকে ব্যবহার করতে দেব না ॥ আন্দোলন-নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি-জামায়াত জোটসহ একটি বিশেষ মহল রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে একটি বিশেষ পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তরিকত ফেডারেশনের সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভা-ারীর এমন সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা ঠিক, রোহিঙ্গা সমস্যা সৃষ্টির পেছনে জিয়াউর রহমানের একটি হাত রয়েছে। কিন্তু আমরা সব সমস্যা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানে বিশ্বাসী। এ ব্যাপারে তাঁর সরকারের কঠোর নীতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের পরিষ্কার অবস্থান হচ্ছে, যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে বা একটি জিনিস স্পষ্ট বলতে চাই- বাংলাদেশের মাটিতে আমরা কোন দেশের বা প্রতিবেশী কোন দেশে কেউ কোন রকমের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায় বা কোন রকম সন্ত্রাসী তাদের কোন অবস্থান বাংলাদেশের মাটিতে হবে না, এটা থাকবে না। এ ব্যাপারটা আমরা নিশ্চিত করেছি। এগুলো তাদের নিজস্ব/অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। কিন্তু বাংলাদেশের মাটিকে আমরা কাউকে ব্যবহার করতে দেব না। আমাদের দেশে থেকে অন্য দেশে কোন রকম সমস্যার সৃষ্টি করুক বা কোন রকমের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাক বা কোন রকম গোলমাল করুক সেটা আমরা কখনও আমাদের দেশে স্থান দেইনি, দেব না। বাংলাদেশ সব সময় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়, সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব কারোর সঙ্গে বৈরিতা নয়- এই নীতিতে আমরা বিশ্বাস করি। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে চীন ও ভারতের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে এই দুই দেশের সঙ্গেই আমরা আলোচনা করেছি, রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে তারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছে, তারাও চেষ্টা করছে। শুধু ভারত বা চীনই নয়, মিয়ানমারের সঙ্গে যেসব দেশের স্থলসীমানা রয়েছে (ভারত-চীন-থাইল্যান্ড-লাওস) সেসব দেশের সঙ্গেও আলোচনা চলছে। রোহিঙ্গা ইস্যুটি দ্রুত সমাধান হওয়া উচিত, এ ব্যাপারে সবাই একমত পোষণ করেছেন। সংসদ নেতা বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে মিয়ানমার রাজি হয়েছে এবং একটি চুক্তিও করেছে। কিন্তু একটা সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে যে, নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গারা দেশটিতে ফেরত যেতে চাচ্ছে না। এটি এখন মিয়ানমার সরকারের ওপরই নির্ভর করছে, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া তাদের নাগরিকদের (রোহিঙ্গা) ফেরত যাওয়ার পর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং নিরাপদ থাকবে সেই বিশ্বাসটি আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে সৃষ্টি করা তাদেরই (মিয়ানমার) দায়িত্ব। সকল দুর্নীতিবাজকে আইনের আওতায় আনা হবে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে আইনের শাসন নিশ্চিত করে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রাখার লক্ষ্যে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে ক্যাসিনো, জুয়া, মাদক, দুর্নীতিসহ সকল ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। তিনি জানান, সারাদেশে এ ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জোরালো অভিযান পরিচালনা করছে। সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ইতোমধ্যে ক্যাসিনো, দুর্নীতি ও অবৈধ অর্থসম্পদ অর্জনের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে দুর্নীতি দমন সংক্রান্ত জাতিসংঘ কনভেনশন (ইউএনসিএসি) এর ৬(৩) এবং ৪৬ (১৩) ধারা অনুসরণে দুর্নীতি দমন কমিশন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং এ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়কে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি দুর্নীতি দমন কমিশনও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দুর্নীতি দমন কমিশন দুর্নীতি বিরোধী অভিযান অর্থাৎ দুর্নীতির অনুসন্ধান, তদন্ত এবং প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। তাছাড়া, সাম্প্রতিক সময়ে দুর্নীতি দমন কমিশন ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন ব্যক্তির সম্পদের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন দফতরে পত্র প্রেরণ করেছে। সংসদ নেতা জানান, দুর্নীতির বিরুদ্ধে এরূপ অভিযান অব্যাহত রাখতে দুর্নীতি দমন কমিশন সর্বদাই বদ্ধপরিকর। তাছাড়া, বাংলাদেশের কোন্ কোন্ ব্যক্তি সিঙ্গাপুরে ক্যাসিনো খেলেছে, সে সম্পর্কিত তথ্য প্রেরণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন সিঙ্গাপুর সরকারকে অনুরোধ করেছে। সকল দুর্নীতিবাজকে আইনের আওতায় আনতে দুর্নীতি দমন কমিশন কাজ করে যাচ্ছে। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবির প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দলমত নির্বিশেষে সকল ধরনের অপরাধীর বিরুদ্ধে আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে দুর্নীতিসহ সকল ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সারাদেশে এ ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান পরিচালনা করছে। সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ইতোমধ্যে দুর্নীতি ও অবৈধ অর্থসম্পদ অর্জনের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আরও বলেন, দুর্নীতির সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক না কেন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। এছাড়া সমাজ থেকে সকল ধরনের অপরাধ নির্মূল করার জন্য আইন প্রয়োগের পাশাপাশি কমিউনিটি পুলিশিং, বিট পুলিশিং ও নানা ধরনের সভা-সেমিনারের মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে সচেতন করা হচ্ছে। শেখ হাসিনা বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ যাতে কেউ করতে না পারে সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি কঠোর গোয়েন্দা নজরদারিও অব্যাহত রয়েছে। সরকারী কর্মচারীসহ অপরাধী যেই হোক দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেলে অনুসন্ধানপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া কারা কারা অভিজাত গাড়ি ক্রয় করেছে, সে সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সকল দুর্নীতিবাজকে আইনের আওতায় আনতে দুর্নীতি দমন কমিশন কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার, দুর্নীতি, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও সর্বপ্রকার হয়রানির অবসানে আমরা বদ্ধপরিকর। সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্তর কমিয়ে এনে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে বিধিবিধান যথাসময়ে প্রতিপালন এবং জনগণের সেবক হিসেবে প্রশাসনকে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে দুর্নীতি দমন কমিশনকে শক্তিশালী করা, জনসচেতনামূলক কার্যক্রম জোরদার করা এবং আধুনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি চালুর মাধ্যমে দুর্নীতির পরিধি ক্রমান্বয়ে শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনারও পরিকল্পনা আমাদের সরকারের রয়েছে। মানুষের কল্যাণে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছি সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খানের অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে যা যা করার তা করে যাচ্ছি, করে যাব। ১০/১১ বছর আগে দেশের কী অবস্থা ছিল একটু বিবেচনা করুন। আগে মানুষ একবেলা খেতে পর্যন্ত পারত না। কিন্তু গত এক দশকে দেশের চেহারাই পাল্টে গেছে। সরকারের উন্নয়নের সুফল তৃণমূল পর্যায়ের সাধারণ মানুষ ভোগ করছে। দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য আমার নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছি। দেশের মানুষের কল্যাণ ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রয়োজনে বাবার মতো আমার জীবনকে উৎসর্গ করব। ই-বর্জ্য ব্যবহারে নীতিমালা সংসদ সদস্য আছলাম হোসেন সওদাগরের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, আওয়ামী লীগ সরকার পরিবেশ দূষণরোধে ই-বর্জ্য ব্যবহারে একটি কার্যকর নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে ইলেক্ট্রনিক পণ্যের ব্যবহার বিশেষত মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, নোটবুক, টেলিভিশন, রেফ্রিজারেটর এবং আবাসস্থলে ব্যবহৃত অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ভবিষ্যতে এ বর্জ্যরে পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে। ই-বর্জ্যরে ব্যবস্থাপনা বাংলাদেশে বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়টি বাংলাদেশে নতুন হওয়ায় বিধিবিধানসমূহ সহজ করার চেষ্টা আমাদের রয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যু প্রাধান্য পেয়েছে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা জানান, এ বছরও রোহিঙ্গা ইস্যু জাতিসংঘে বিশেষ প্রাধান্য পেয়েছে। এই বিষয়ে একাধিক ইভেন্টে রোহিঙ্গা সমস্যার কারণ, এই সমস্যার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহিতা এবং রাখাইনে রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপদ, বাসযোগ্য ও সম্মানজনক পরিবেশ সৃষ্টি করে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের বিষয়ে আলোচনা হয়। জাতিসংঘ অধিবেশনে দুটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জনের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ দুটি সম্মাননা বাংলাদেশের শিশু, যুব সম্প্রদায় এবং জনগণকে উৎসর্গ করেছি। একাধিক মতবিনিময় সভায় আমি সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ দমনে সন্ত্রাসীদের অর্থ ও অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার পাশাপাশি সকল আন্তর্জাতিক বিরোধ শান্তিপূর্ণ উপায়ে নিষ্পত্তির আহ্বান জানাই। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে অনুষ্ঠিত সভায় বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আমার উত্থাপিত নতুন চার দফা প্রস্তাব রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন, রাখাইনে বসবাসের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি এবং রোহিঙ্গা সমস্যার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। সবশেষে একটি শান্তিপূর্ণ ও বাসযোগ্য পৃথিবী নিশ্চিত করতে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সকল রাষ্ট্রকে একযোগে কাজ করার জন্য আমি আহ্বান জানাই। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের সক্রিয় অংশগ্রহণ বহুপাক্ষিক ফোরামে বাংলাদেশের অবস্থানকে সুদৃঢ় করবে এবং বাংলাদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আন্তর্জাতিক পরিম-লে সহযোগিতার ক্ষেত্র বিস্তৃত করবে। সার্বিক বিবেচনায় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ছিল অত্যন্ত সফল।
×