ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

তহবিলে অলস অর্থ ॥ নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির প্রয়াস

প্রকাশিত: ১০:১৩, ১৪ নভেম্বর ২০১৯

  তহবিলে অলস অর্থ ॥ নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির প্রয়াস

রহিম শেখ ॥ পাঁচ বছর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক এক শ’ কোটি টাকার তহবিল গঠন করে। উদ্দেশ্য ছিল নতুন উদ্যোক্তা তৈরি। স্বল্প সুদে ঋণ দিলেও পাঁচ বছরে বিতরণ হয়েছে মাত্র ২০ কোটি টাকা। ঋণ পেয়েছেন মাত্র ৩৬৭ উদ্যোক্তা। সর্বশেষ গত তিন মাসে এ তহবিলের এক টাকাও বিতরণ হয়নি। নতুন উদ্যোক্তারা বলছেন, ঋণ নিতে দিতে হচ্ছে কমিশন, ঘুষ। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন বাংলাদেশ ব্যাংক। ঋণ বিতরণে অংশগ্রহণকারী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অনীহা, নাকি উদ্যোক্তাদের দিক থেকেই সাড়া মিলছে না, খতিয়ে দেখছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরই অংশ হিসেবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। উদ্যোক্তাদের কাছে এ তহবিল আরও সহজলভ্য করতে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রচার-প্রচারণা বৃদ্ধি, তাদের ব্যবসায়িক লাইসেন্সের শর্ত শিথিল করাসহ কিছু উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে কিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এজন্য চলতি বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১০০ কোটি টাকা। এর বাইরে সম্প্রতি ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে দেশে উদ্যোক্তা তৈরির জন্য বিশেষ কোম্পানি গঠনের প্রস্তুাবের অনুমতি দিয়েছে সরকার। পাশাপাশি ২৪ হাজার নতুন উদ্যোক্তা তৈরির উদ্যোগ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব উৎস থেকে ২০১৪ সালের ৩ জুন কটেজ মাইক্রো ও ক্ষুদ্র খাতের নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ১০০ কোটি টাকার একটি পুনর্অর্থায়ন তহবিল গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই বছরের ২৬ জুন এ বিষয়ে একটি বিশদ নীতিমালা জারি করা হয়। এরপর গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ বিতরণে আগ্রহী বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান কয়েক ধাপে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে অংশগ্রহণমূলক চুক্তি করে। এ পর্যন্ত ৩৯ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এ তহবিলের আওতায় চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এর মধ্যে ২৪টি ব্যাংক ও ১৫টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তবে এসব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ১০টি পুনর্অর্থায়ন তহবিলের আওতায় গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ বিতরণ করেছে। অন্যরা এ তহবিলের ঋণে কোন আগ্রহই দেখায়নি। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অনীহার পেছনে ঠিক কী কারণ রয়েছে, সেটি জানতে তহবিল গঠনের পাঁচ বছর পর সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়ে নতুনভাবে জানার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে বলেন, এখানে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অনীহার বিষয়টি স্পষ্ট। কারণ যারা এ তহবিল বিতরণে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করেছে, তাদের বেশির ভাগই ঋণ বিতরণ করেনি। বিষয়টি উদ্বেগজনক। তাই আমরা নতুনভাবে অংশগ্রহণকারী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এতে এ তহবিলের আওতায় ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণের অগ্রগতি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মূল্যায়ন তুলে ধরে তাদের কাছে ব্যাখ্যা তলব করা হবে। শীঘ্রই এ চিঠি পাঠানো হবে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গবর্নর খন্দকার ইব্রাহীম খালেদ জনকণ্ঠকে বলেন, উদ্যোক্তারা ঋণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে যেতে পারে না। অতএব শুধু তহবিল গঠন করলেই চলে না। এর সঙ্গে বিতরণের উদ্যোগও নিতে হয়। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্যিক ব্যাংক উভয়কে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, ব্যাংকগুলো এর দায় এড়াতে পারে না। তবে এই তহবিল দিয়ে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি করতে হলে উদ্যমী ও মেধাবী উদ্যোক্তাদের খুঁজে বের করতে হবে। সেজন্য জাতীয় উদ্যোগে নিতে হবে। ব্যাংকিং খাতের সংশ্লিষ্ট অনেকেই বলছেন, প্রচারের অভাব, ব্যবসায়িক লাইসেন্স পেতে বিড়ম্বনা ও ঋণ পেতে জুড়ে দেয়া শর্তের কারণেই নতুন উদ্যোক্তারা সেভাবে সাড়া দেননি। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে ঋণ বিতরণ না হওয়ার পেছনে ব্যাংক ও আর্থিক খাতে চলমান তারল্য সঙ্কটও দায়ী। কারণ বাংলাদেশ ব্যাংকের শর্তানুযায়ী, আগে নিজস্ব তহবিল থেকে ঋণ বিতরণ করতে হবে। এরপর সমপরিমাণ ঋণের জন্য আবেদনের পর পুনর্অর্থায়নের টাকা পাবে ব্যাংকগুলো। সূত্র জানিয়েছে, ঋণ বিতরণে আশাব্যঞ্জক সাড়া না পাওয়ায় এক বছর না যেতেই তহবিলের ৫০ কোটি টাকা অন্য একটি তহবিলে স্থানান্তর করা হয়। ফলে এ তহবিলের আকার ৫০ কোটি টাকায় নেমে আসে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, এ তহবিল চালুর পর থেকে গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিতরণ করা ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে মাত্র ২০ কেটি ২১ লাখ টাকা। ওই সময় পর্যন্ত মাত্র ৩৬৭ উদ্যোক্তা এ তহবিলের সুবিধা নিয়েছেন। তিন মাস আগে জুন পর্যন্ত ঋণের স্থিতি ও সুবিধা গ্রহণকারীর সংখ্যা ছিল একই। তবে এ তহবিলের ঋণের আদায় হার সন্তোষজনক। ২১ কোটি ২১ লাখ টাকার মধ্যে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আদায় হয়েছে ১৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। আদায়ের হার ৮৫.৭১ শতাংশ। ফলে বিতরণ না হওয়া অংশ ও আদায় মিলে এ তহবিলের ৪৭ কোটি ৫৭ লাখ টাকাই এখন পড়ে আছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন উদ্যোক্তাদের উদ্যোগ গ্রহণের ক্ষেত্রে অর্থায়নই প্রধান সমস্যা। ফলে মেধা থাকার পরও প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে নতুনদের অনেকেই উদ্যোক্তা হতে পারেন না। এছাড়া ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন উদ্যোক্তাদের ঋণ দিতে তেমন আগ্রহ দেখায় না। তাই উদ্যোক্তাদের অর্থায়ন সহজলভ্য করার লক্ষ্যে এ তহবিল গঠন করা হয়। এতে গ্রাহক পর্যায়ে সুদের হার নির্ধারণ করা হয় ১০ শতাংশ। যদিও সম্প্রতি আরেকটি সার্কুলারে নতুন নারী উদ্যোক্তাদের জন্য এ তহবিলের সুদের হার ৯ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ পেয়েছেন ৬৫ হাজার ৩৫০ নতুন উদ্যোক্তা। এতে টাকার অঙ্কে ১১ হাজার ২৯৩ কোটি। অথচ ২০১৮ সালের একই সময়ে ব্যাংক ঋণ পেয়েছিলেন ৭৯ হাজার নতুন উদ্যোক্তা। টাকার অঙ্কে যা ছিল ১৩ হাজার ২৯০ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংক ঋণ পাওয়া নতুন উদ্যোক্তার সংখ্যা কমেছে ১৩ হাজার ৬৫০। একাধিক নতুন উদ্যোক্তা বলেছেন, কমিশন, ঘুষ ও চাঁদার দাপটে কোন কাজ করা যাচ্ছে না। ব্যাংক ঋণ পেতে চাইলেও কমিশন দিতে হয়। কোথাও দিতে হয় ঘুষ। এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক আবু নাসের জনকণ্ঠকে বলেন, নতুন উদ্যোক্তাদের কাছে ব্যাংক এমন সব নথি চায়, তাতে মনে হয় ওই উদ্যোক্তার সাত পুরুষে কোন অভাব ছিল না। তার টাকার কোন প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, সরকারী ব্যাংকগুলো গ্রামে শাখা খুললেও ঋণ বিতরণে আগ্রহী নয়। তারা শাখাগুলোকে লাভজনক রেখেছে কেবল প্রবাসীদের পাঠানো আয় লেনদেন করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ব্যাংকগুলোর মোট এসএমই ঋণের মধ্যে ব্যবসা উপ খাতে দুই লাখ ৭৯ হাজার উদ্যোক্তার মাঝে ৩৪ হাজার ২১২ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। যা গত বছরের একই সময়ে ব্যবসায় ২ লাখ ৮১ হাজার উদ্যোক্তাকে ৩৬ হাজার কোটি টাকার ঋণ বিতরণ দেখানো হয়েছিল। এ খাতে নেতিবাচক অবস্থায় এসেছে ব্যাংক খাতের ঋণ। সে হিসাবে এবারে শুধু ব্যবসায় ঋণ কম দেখানো হয়েছে ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। প্রতিবেদন অনুযায়ী, আলোচ্য সময়ে এসএমই খাতে নতুন উদ্যোক্তাদের সংখ্যা ও ঋণ দুটোই কমেছে। সবচেয়ে বেশি কমেছে নতুন উদ্যোক্তার সংখ্যা। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে ঋণপ্রবাহ বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর অংশ হিসেবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা বেঁধে দেয়া হয়েছে। বছরে কোন খাতে কত ঋণপ্রবাহ বাড়াতে হবে, কিভাবে দিতে হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে নতুন নীতিমালায়। এদিকে, গত ৬ মাসে নতুন উদ্যোক্তাদের মাঝে ঋণ বিতরণ কমলেও উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে কিছু উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সম্প্রতি বিনিয়োগ বাড়ানো ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশে ২৪ হাজার নতুন উদ্যোক্তা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। নতুন উদ্যোক্তাদের বাছাই করে প্রশিক্ষণ দেয়ার কথা বলা হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। এ লক্ষ্যে একটি প্রকল্পও হাতে নেয়া হয়েছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এটি বাস্তবায়িত হবে বলে জানিয়েছে বিডা। জানা গেছে, এ প্রকল্পের আওতায় প্রত্যেক জেলায় একটি করে মোট ৬৭টি প্রশিক্ষণ সেন্টার থাকবে। সেখানে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এ জন্য ৬৪ প্রশিক্ষক জেলা পর্যায়ে কাজ করবেন। এরই মধ্যে তাদের মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এ প্রশিক্ষণের সেন্টারের নামকরণ করা হয়েছে উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও বিনিয়োগ সহায়তা কেন্দ্র। ঢাকা শহরে এ কার্যক্রম চালু করতে চার ভাগে ভাগ করা হবে। বর্তমান সরকার দক্ষতা উন্নয়নের ওপর জোর দিচ্ছে বেশি। এ উদ্যোগ প্রসঙ্গে সরকারের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের এক উর্ধতন কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে বলেন, দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার জন্য দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে। আজকের দিনের নতুন উদ্যোক্তারা আগামী দিনের বড় উদ্যোক্তা হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারী খাত শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য সরকার নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ করছে। বাজেটে অর্থ বরাদ্দ রাখার পাশাপাশি আলাদা প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। এ লক্ষ্যে দেশের ৬৪ জেলায় নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য দীর্ঘমেয়াদে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। সব ধরনের ব্যবসায় উদ্যোক্তা তৈরিকে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেশের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ যুবসমাজকে সুসংগঠিত, সুশৃঙ্খল এবং উৎপাদনমুখী শক্তিতে রূপান্তরের জন্য সরকার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তরুণদের মধ্যে সব ধরনের ব্যবসায় উদ্যোগ (স্টার্টআপ) সৃষ্টির জন্য চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বাজেটে বলা হয়েছিল, যুবকদের মধ্যে সব ধরনের ব্যবসায় উদ্যোগ (স্টার্টআপ) সৃষ্টির জন্য আসন্ন বাজেটে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকবে। বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান ও আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত করার লক্ষ্যে সারাদেশে ১১১টি প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং উপজেলা পর্যায়ে ৪৯৮টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সারাদেশে ২৮টি হাইটেক পার্ক গড়ে তোলার পাশাপাশি নতুন উদ্যোক্তারা ছয় মাসের ফ্রি অফিস স্পেস সুবিধা পাবেন। এ লক্ষ্যে চলতি বাজেটে সব ধরনের নতুন উদ্যোক্তাদের স্টার্টআপদের জন্য সব মিলিয়ে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বিনা জামানতে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ দেশে উদ্যোক্তা তৈরির জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে বিশেষ কোম্পানি গঠনের প্রস্তাবের অনুমতি দিয়েছে সরকার। এ প্রতিষ্ঠান থেকে উদ্যোক্তারা বিনা জামানতে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। গত ১৯ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ কোম্পানির অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান, প্রস্তাবিত কোম্পানির নাম হবে ‘স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড কোম্পানি’। এর অপরিশোধিত মূলধন ধরা হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা। প্রাথমিকভাবে পরিশোধিত মূলধন থাকবে ২০০ কোটি টাকা। মূলত স্টার্টআপে বিনিয়োগ ও উদ্যোক্তা সংস্কৃতি গড়তে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে এ কোম্পানি গঠন করা হচ্ছে।
×