ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নির্ভুল চার্জশীট দিয়েছে পুলিশ, আশা করি শীঘ্রই বিচার শুরু হবে ॥ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১০:১৩, ১৪ নভেম্বর ২০১৯

 নির্ভুল চার্জশীট দিয়েছে পুলিশ,  আশা করি শীঘ্রই বিচার শুরু হবে ॥ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় আদালতে নির্ভুল চার্জশীট দাখিল করা হয়েছে। আশা করি শীঘ্রই এর বিচার শুরু হবে। বুধবার সচিবালয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আবরার হত্যার চার্জশীট দিয়েছে পুলিশ। আশা করছি দ্রুত বিচার হবে। বিচারের বিষয়টি পুলিশের আন্ডারে নয়। এটা আদালত করবেন। আমরা আগেই বলেছি যে, আমরা একটা নির্ভুল চার্জশীট দেয়ার জন্য প্রচেষ্টা নিব। আশা করি পুলিশ বাহিনীর মাধ্যমে যে চার্জশীটটি গিয়েছে, সেটি নির্ভুল চার্জশীট গিয়েছে। শীঘ্রই এর বিচার হবে, এটা আমরাও আশা করছি। আবরার হত্যায় জড়িত কয়েকজন আসামি পলাতক আছে, তাদের ধরা হয়নি- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ধরা হয়নি এটি ঠিক নয়। তারা পলাতক। প্রচেষ্টা চলছে, ধরা পড়ে যাবে। আসামিরা কী ভারতে চলে গেছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, তথ্য থাকলে তো আমরা ধরে ফেলতাম। আপনার কাছে তথ্য থাকলে আমাদের জানাবেন। তবে বাইরে বের হওয়ার কোন স্কোপ নেই। কোনখানে, কারও আশ্রয়-প্রশ্রয়ে হয়তো আছে, আমরা ধরে ফেলব। গত ৬ অক্টোবর রাত ৩টার দিকে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের নিচতলা থেকে বুয়েটের তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ফেসবুকে ভারতবিরোধী স্ট্যাটাস দেয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতারা আবরারের ওপর নির্যাতন চালায়। একপর্যায়ে তার মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাসহ ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি। এর মধ্যে এজাহারনামীয় ১৬ জন এবং এজাহারের বাইরে পাঁচজন। বাকি চারজন পলাতক। বুধবার আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট দিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এদিন দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, একক কোন কারণে আবরার হত্যাকাণ্ডটি হয়নি। সে শিবির করে কি-না, হত্যার পেছনে এটি একটি মাত্র কারণ। কিন্তু যারা তাকে হত্যা করেছে তারা এমন উচ্ছৃঙ্খল আচরণে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিল। তিনি বলেন, কেউ তাদের সঙ্গে দ্বিমত করলে, সালাম না দিলে, তাদের সামনে হেসে দিলে ইত্যাদি কারণে তারা নির্যাতন করত। অভিযুক্তরা র‌্যাগিংয়ের নামে নতুনদের আতঙ্কিত রাখতে এসব কাজ করত। এসব বিষয়ে আমরা আগে কোন অভিযোগ পাইনি। তবে তদন্তে একজন সাক্ষী বলেছে যে, একজনকে সালাম দেয়নি বলে তাকে পেটানো হয়েছে। মনিরুল ইসলাম বলেন, র‌্যাগিংয়ের নামে উচ্ছৃঙ্খল কর্মকাণ্ডের অভ্যস্ততার অংশ হিসেবেই আবরার হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে বলে মনে করছি। হল প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আগে থেকে মনিটরিং করলে এমন ঘটনা নাও ঘটতে পারত। এটা তাদেরই মনিটর করার কথা। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান এখন দৃশ্যমান নয়- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেখুন, কোন অভিযানই থেমে নেই। অভিযান চলছে, তথ্যভিত্তিক অভিযান চালানোর জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। আমরা যেখানে তথ্য পাচ্ছি সেখানেই ধরা হচ্ছে। অভিযান চলবে।
×