ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সেনাপ্রধান আগামী মাসে মিয়ানমার যাচ্ছেন

প্রকাশিত: ০৯:২০, ১৪ নভেম্বর ২০১৯

 সেনাপ্রধান আগামী  মাসে মিয়ানমার যাচ্ছেন

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, দু’দেশের সেনাবাহিনীর সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষে তিনি আগামী মাসে মিয়ানমার সফরে যাবেন। রোহিঙ্গারা আমাদের জন্য একটি বড় সমস্যা। এ জন্য এ সময় তিনি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়েও সে দেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে কথা বলবেন। তিনি বলেন, সেনাবাহিনী সবসময় দেশ ও জাতির স্বার্থে কাজ করে। কাজ করে সরকারের সহায়ক হিসাবেও। সরকারের যে পলিসি থাকে তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়াও আমাদের কাজ। তাই দু’দেশের সামরিক বাহিনীর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়েও কথা হবে। তিনি বুধবার সকালে যশোর ক্যান্টনমেন্টের সিগন্যাল ট্রেনিং সেন্টার এ্যান্ড স্কুল প্রাইভেট গ্রাউন্ডে ৫টি ইউনিটকে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, বর্তমানে সেনাবাহিনী উন্নয়নের পাশাপাশি দেশ গঠনমূলক কর্মকাণ্ডে কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্স এর অবদান অনস্বীকার্য। পদ্মা বহুমুখী সেতু এবং হাতিরঝিল প্রকল্পসহ জাতীয় যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে এই কোরের সদস্যরা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো কোন সিগন্যাল ইউনিট রেজিমেন্টাল কালার অর্জন করল, যা ১ সিগন্যাল ব্যাটালিয়ন তথা কোর অব সিগন্যালস এর ইতিহাসে একটি গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা করল। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে প্রতিষ্ঠিত প্রথম সিগন্যাল ইউনিট ১ সিগন্যাল ব্যাটালিয়ন। রেজিমেন্টাল কালার প্রাপ্তি যে কোন ইউনিটের জন্য একটি বিরল সম্মান এবং পবিত্র আমানত। আজ সেই রেজিমেন্টাল কালার প্রাপ্তি এই পাঁচটি ইউনিটের হাতে তুলে দেয়া হলো। এই বিরল সম্মান ও গৌরব অর্জন করায় আমি এই ইউনিটসমূহকে জানাই আমার আন্তরিক অভিনন্দন। কর্মদক্ষতা, কঠোর পরিশ্রম এবং কর্তব্যনিষ্ঠার স্বীকৃতি হিসেবে যে পতাকা আজ আপনারা অর্জন করলেন, আমি আশা করি তার মর্যাদা রক্ষার জন্য, যে কোন ত্যাগ স্বীকারে আপনারা সবসময় সচেষ্ট থাকবেন। একটি আধুনিক যুগোপযোগী ও শক্তিশালী সেনাবাহিনী গঠনের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামো পরিবর্তনের পাশাপাশি আধুনিকায়নের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সংযোজিত হয়েছে তিনটি আর্টিলারি ব্রিগেড, একটি এয়ার ডিফেন্স আর্টিলারি ব্রিগেড, ৫টি ফিল্ড আর্টিলারি রেজিমেন্ট, ৩টি এয়ার ডিফেন্স আর্টিলারি রেজিমেন্ট, একটি ডিভিশন লোকেটিং ব্যাটারি, একটি মর্টার রেজিমেন্ট এবং ১টি এমএলআরএস রেজিমেন্ট। রেজিমেন্ট অব আর্টিলারির জন্য এক রেজিমেন্ট লং রেঞ্জ এমএলআরএস, দুই রেজিমেন্ট ১৫৫ মিমি, মর্টার ক্রয় করার বিষয়টি প্রক্রিয়াাধীন রয়েছে।
×