ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে দেয়ার প্রতিবাদ

কাশ্মীরের রাস্তায় নামলেন সাংবাদিকরা

প্রকাশিত: ০৯:১০, ১৪ নভেম্বর ২০১৯

 কাশ্মীরের রাস্তায় নামলেন  সাংবাদিকরা

ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর ১শ’ দিন কেটে গেল কাশ্মীরে। সেখানে ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা এখনও নিশ্চিত করা হয়নি। বরফে বিধ্বস্ত ভূ-স্বর্গে চরম ভোগান্তিতে আছেন বাসিন্দারা। ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তখন থেকে উপত্যকায় বিদ্যুত, যানবাহন, ইন্টারনেটসহ সব ধরনের পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ। অধিকাংশ সরকারী কর্মচারীই কাজে যেতে পারছেন না। এনডিটিভি। দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সোপিয়ানের মতে, ‘বিদ্যুত না থাকায় ছেলেমেয়েরা ঠিকমতো পড়তে পারছে না। মোমবাতির আলোয় পড়া যাচ্ছে না। দক্ষিণ কাশ্মীরের বেশিরভাগ জায়গাই বিদ্যুতহীন। আমাদের সমস্যা নিয়ে প্রশাসনের ভাবার সময় আছে বলে তো মনে হয় না। উত্তর কাশ্মীরেও একই অবস্থা। রাস্তা থেকে বরফ সরানো, বিদ্যুত সরবরাহ চালু করা কোন কিছুই হয়নি। বান্দিপোরার বাসিন্দা আলতাফ ভাটের অভিযোগ, ‘এখানে ভেতরের সব রাস্তায় বরফ। প্রশাসনের কাউকে দেখাই যাচ্ছে না।’ কাশ্মীরের বিদ্যুত বিভাগের চীফ ইঞ্জিনিয়ার হাসমত কাজি বলেন, শ্রীনগরসহ বড় শহরগুলোতে বিদ্যুত সংযোগ দেয়া হয়েছে। বাকি উপত্যকায় আরও কয়েকদিন লাগবে। শ্রীনগরের রাস্তার অবস্থা একই। বরফ থাকায় গাড়ি চলছে না অনেক জায়গাতেই। সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ ইন্টারনেট বন্ধ থাকা নিয়ে। পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে না পারায় ক্ষুব্ধ তরুণরা। ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় বিপাকে সংবাদমাধ্যমও। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে দেয়ার প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাজধানী শ্রীনগরের রাস্তায় নামেন সাংবাদিকরা। ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের কিছু দিন পর থেকে মিডিয়া সেন্টার খুলে দেয়া হয় শ্রীনগরের সাংবাদিকদের জন্য। কিন্তু ৩০০ সাংবাদিকের জন্য কম্পিউটার মাত্র ১০টি। প্রবীণ সাংবাদিক পারভেজ বুখারি বলেন, ‘ইন্টারনেট এখন মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। সাড়ে তিন মাস ধরে আমরা কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছি।’ চলতি বছর নিষেধাজ্ঞা আর প্রতিবাদের জন্য ১৫০ শিক্ষা দিবস নষ্ট হয়েছে স্কুলে। এখনও অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান বন্ধ। রাজ্যের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতেই ১৪৪ ধারার ব্যবহার ও ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছে।
×