ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

চাটমোহরে প্রসূতির মৃত্যু ॥ কথিত সার্জনসহ আটক দুই

প্রকাশিত: ১২:০৬, ১৩ নভেম্বর ২০১৯

চাটমোহরে প্রসূতির মৃত্যু ॥ কথিত সার্জনসহ আটক দুই

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ১২ নবেম্বর ॥ চাটমোহরে ইসলামিক হাসপাতাল নামক বেসরকারী ক্লিনিকে অপারেশন টেবিলে সেলাই না করেই রোগীকে ফেলে পালানোর সময় সাদ্দাম হোসেন নীরব নামে এক কথিত সার্জন ও আসাদুজ্জামান নামে তার এক সহকারীকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পৌর শহরের নারিকেলপাড়া মহল্লায় অবস্থিত এ ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটেছে। সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় তাছলিমা খাতুন নামে ওই প্রসূতি মাকে পাবনা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের বোথড় গ্রামের ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী। আটক সাদ্দাম হোসেন পার্শ্ববর্তী বড়াইগ্রাম উপজেলার বাসিন্দা। তবে ক্লিনিক মালিক আমির হোসেন পালিয়ে যায়। জানা গেছে, সোমবার তাছলিমা খাতুনের প্রসব ব্যথা উঠলে সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য তাকে চাটমোহর ইসলামিক হাসপাতাল নামে ওই ক্লিনিকে ভর্তি করে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে সাদ্দাম হোসেন নীরব, ক্লিনিক মালিক আমির হোসেন, আসাদুজ্জামান এবং দুজন নার্স মিলে অস্ত্রোপচার করেন এবং একটি কন্যা সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। এ সময় রোগীর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হলে অবস্থা বেগতিক দেখে ডাক্তার, তার সহকারী এবং ক্লিনিক মালিক পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় চিকিৎসককে আটক করতে পারলেও পালিয়ে যান ক্লিনিক মালিক আমির হোসেন। এ ঘটনার পর রোগীর স্বজন এবং স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে উঠলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। পরে তাছলিমা খাতুনকে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় পাবনা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ওই প্রসূতি মাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ বায়েজীদ-উল ইসলাম জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হলে রোগীকে সেলাই না করেই সবাই পালায়। পরে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় তাকে পাবনা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। চাটমোহর থানার ওসি শেখ নাসীর উদ্দিন জানান, সাদ্দাম হোসেন এবং তার সহকারী আসাদুজ্জামানকে আটক করা হয়েছে।
×