ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

১০ বছরে ৩ শতাধিক রেল দুর্ঘটনা- মৃত্যু ২২২২

প্রকাশিত: ১১:১৯, ১৩ নভেম্বর ২০১৯

১০ বছরে ৩ শতাধিক রেল দুর্ঘটনা- মৃত্যু ২২২২

রাজন ভট্টাচার্য ॥ সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বদলেছে সবকিছু। বেড়েছে প্রযুক্তিগত উন্নত সুবিধা। তবুও সবচেয়ে নিরাপদ যাত্রা হিসেবে পরিচিত রেলপথেও দুর্ঘটনা থামছে না। ৩০ বছর আগেও রেল দুর্ঘটনা যেসব কারণে ঘটেছে এতদিন পরও এর পরিবর্তন হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রেল দুর্ঘটনা এড়াতে তিনটি বিষয় সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে অন্যতম হলো ডাবল লাইন নির্মাণ, ঝুঁকিপূর্ণ লেবেল ক্রসিংগুলোতে লোকবল নিয়োগ দেয়া ও ট্রেন পরিচালনার সঙ্গে যুক্তদের সচেতন হয়ে কাজ করা। মূলত এই তিন কারণেই রেলপথে বড় বড় সব দুর্ঘটনা ঘটছে। যদিও বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বলছে, ছয় কারণে রেল দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্ঘটনা এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ রেলসেতু সংস্কার বা পুনর্নির্মাণেরও তাগিদ দিয়েছেন তারা। সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা একটি বেসরকারী সংগঠনের পরিসংখ্যান বলছে, ২০১০ থেকে ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নয় বছরে রেল দুর্ঘটনায় মারা গেছে দুই হাজার ২২২ জন। ছোট বড় মিলিয়ে মোট দুর্ঘটনার সংখ্যা ২৯৭টি। তাই নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে সামান্য ত্রুটি বিচ্যুতি এড়িয়ে চলার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। সোমবার রাত তিনটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলস্টেশনে তূর্ণা নিশীথা ও উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ১৬ জন নিহত হয়েছে। শতাধিক আহত। চিকিৎসকরা বলছেন হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এ দুর্ঘটনায় বিকেল পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তূর্ণা নিশীথা চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার দিকে আর উদয়ন এক্সপ্রেস সিলেট থেকে চট্টগ্রাম যাচ্ছিল। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে পাঁচটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা ও সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার জন্য সাধারণত দুটি কারণকে দায়ী করছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তারা মনে করছেন, দুর্ঘটনার পেছনে বড় যে দুটি কারণ থাকতে পারে তার একটি হচ্ছে হয় তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেসকে সিগন্যাল দেয়া হয়নি বা পরে দেয়া হয়েছে। অন্যটি হচ্ছে তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেস ট্রেনের চালক হয়তো ঘুমিয়ে ছিলেন তাই সিগন্যাল দেখেননি। এই দুটির কোন একটির কারণেই মন্দবাগ স্টেশনের কাছে উদয়নকে ধাক্কা দেয় তূর্ণা নিশীথা। তবে মন্দবাগ রেলস্টেশনের মাস্টার জাকির হোসেন চৌধুরী জানান, আউটার ও হোম সিগন্যালে লাল বাতি (সতর্ক সংকেত) দেয়া ছিল। কিন্তু তূর্ণা নিশীথার চালক সিগন্যাল অমান্য করে ঢুকে পড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে দাবি করছেন তিনি। প্রশ্ন হলো কেন এই ভুল বা দুর্ঘটনা। রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, তূর্ণা নিশীথা ট্রেনের লোকোমোটিভ মাস্টার সিগন্যাল ভঙ্গ করেছেন। এ কারণেই ভয়াবহ এ দুর্ঘটনাটি ঘটতে পারে। আমরা বিস্তারিত জানার জন্য জেলা প্রশাসন ও রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। কসবায় দুই ট্রেনের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ধরনের দুর্ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে ট্রেন দুর্ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। এ ব্যাপারে আমাদের রেলের যারা কাজ করেন তাদের সতর্ক করা উচিত। সেই সঙ্গে সঙ্গে যারা রেলের চালক তাদেরও প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঠিক জানি না কেন এই শীত মৌসুম আসলেই কিন্তু আমাদের দেশে নয়, সারা বিশ্বেই রেলের দুর্ঘটনা ঘটতে থাকে। রেল যোগাযোগ নিরাপদ সে কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, রেল যোগাযোগ সবচেয়ে নিরাপদ এবং আমরাও এ ব্যাপারে গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা রেল সম্প্রসারণ করে যাচ্ছি। পণ্য পরিবহন, মানুষ পরিবহন সবক্ষেত্রেই রেল নিরাপদ। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতি বছরের ২৪ জুন সিলেটের কুলাউড়ার বরমচাল রেল স্টেশনের অদূরে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তঃনগর উপবন এক্সপ্রেস একটি সেতু ভেঙ্গে খালে পড়ে গেলে পাঁচ জন নিহত হয়। শতাধিক মানুষ আহত হয়েছিল। দীর্ঘদিন সেতুটি মেরামত না করার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছিল বলে স্থানীয় মানুষের ধারণা। ২৪ জুনের পর সবচেয়ে বড় রকমের ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটল মঙ্গলবার রাতে। ছয় কারণে রেল দুর্ঘটনা যাত্রী কল্যাণে নিয়োজিত বেসরকারী সংগঠন নৌ সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির পর্যবেক্ষণে এসব দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির পেছনে ছয়টি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলো হলো : ১. মোবাইল ফোনে আলাপরত অবস্থায় রেলপথ পারাপার ২. রেলপথ সংলগ্ন এলাকায় চলাচলের ক্ষেত্রে পথচারীদের সচেতনতার অভাব ৩. রেলওয়ের অনুমতি ছাড়াই অপরিকল্পিত ও অবৈধ লেবেল ক্রসিং (রেলক্রসিং) নির্মাণ ৪. রেলপথ ক্রসিংগুলোর (সড়ক ও রেলপথের সংযোগ স্থল) কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনে গাফিলতি ৫. কিছুসংখ্যক রেলসেতুসহ অনেক স্থানে রেলপথ দীর্ঘদিন সংস্কার না করা ৬. দূরপাল্লার ট্রেনগুলোর চালকদের অসতর্কতা। জানতে চাইলে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে বলেন, কিছু কিছু ত্রুটি বিদ্যুতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারলে রেল হবে সবচেয়ে নিরাপদ পথ। তাছাড়া দেশের মানুষ এখনও রেলপথকে সবচেয়ে নিরাপদ ভেবে যাতায়াত করেন। যে কোন মূল্যে রেল দুর্ঘটনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক না কাটলে রেলে দিন দিন লস বাড়বে। রেলপথে বড় বড় যত দুর্ঘটনা এর আগে দেশে সবচেয়ে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে ১৯৮৯ সালে টঙ্গীতে। ওই ঘটনায় প্রাণ হারান ১৭০ জন। আহত হয়েছিল চার শতাধিক মানুষ। ৩০ বছর আগে সেই দুর্ঘটনাও ছিল দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের কারণে। এরপর চট্টগ্রাম লাইনে কয়েকটি মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় প্রাণ গেছে শতাধিক যাত্রীর। যাত্রীকল্যাণ সমিতি ও রেল নিয়ে যারা গবেষণা করেন তারা বলছেন, সিগন্যালের দুর্বলতায় মুখোমুখি সংঘর্ষে ও লাইনচ্যুতির কারণে প্রাণ গেছে যে সহ¯্রাধিক মানুষের চাইলেই তা এড়ানো সম্ভব ছিল। আর স্প্যান ভেঙ্গে পড়ে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনাটি ঘটে ১৯৮৩ সালের ২২ মার্চ ঈশ্বরদীতে। সেতুর স্প্যান ভেঙ্গে কয়েকটি বগি নিচে শুকনা জায়গায় পড়ে যায়। এ দুর্ঘটনায় ৬০ জন যাত্রী নিহত হন। হিসাব বলছে, চট্টগ্রাম রেললাইনে গত ৩০ বছরে কয়েকটি ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। ১৯৮৯ সালে ২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের কাছাকাছি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে ১৩ জন নিহত ও ২০০ জন আহত হন। এই একই লাইনে ২০১০ সালে চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর ট্রেন ‘মহানগর গোধূলী’ ও ঢাকাগামী মেইল ‘চট্টলা’র মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এ ঘটনায় চট্টলা ট্রেনের একটি বগি মহানগর ট্রেনের ইঞ্জিনের ওপরে উঠে যায়। সেই দুর্ঘটনায় চালকসহ মোট ১২ জন নিহত হয়েছিলেন। এছাড়া উত্তরবঙ্গেও বেশকিছু ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ‘হিলি ট্র্যাজেডি’ নামে পরিচিত ১৯৯৫ সালের ১৩ জানুয়ারি গোয়ালন্দ থেকে পার্বতীপুরগামী ৫১১ নম্বর লোকাল ট্রেনটির দুর্ঘটনা। এ ঘটনায় পার্বতীপুরগামী ট্রেনটি হিলি রেলস্টেশনের এক নম্বর লাইনে এসে দাঁড়ায়। এর কিছুক্ষণ পর সৈয়দপুর থেকে খুলনাগামী আরেকটি আন্তঃনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস একই লাইনে ঢুকে পড়ে। এসময় মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটলে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিহত হন। আট বছরে এক হাজার চারশ’ দুর্ঘটনা ২০১৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন রেলপথমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক জাতীয় সংসদে গত ৮ বছরে রেল দুর্ঘটনার একটি পরিসংখ্যান দিয়েছিলেন। তার দেয়া তথ্য মতে, ২০০৯-১০ থেকে ২০১৬-১৭ সাল পর্যন্ত ৮ অর্থবছরে ১ হাজার ৩৯১টি রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। ২০৩ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৫৮৬ জন । সাবেক রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক জানিয়েছেন, ২০০৯ থেকে ২০১৪ সালের জুন পর্যন্ত মোট এক হাজার ৯৩টি রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৬ কোটি ৫৫ লাখ ৪৮ হাজার ৮৬৪ টাকা। দশম জাতীয় সংসদের চতুর্থ অধিবেশনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান। সাবেক রেলপথমন্ত্রী জানান, সমগ্র বাংলাদেশে রেলওয়েতে লাইনচ্যুতিসহ মেইন লাইন ও শাখা লাইনে ২০০৯-১০ সালে ৩০৮টি, ২০১০-১১ সালে ২২৪টি, ২০১১-১২ সালে ১৮২টি, ২০১২-১৩ সালে ১৭৬টি এবং ২০১৩-১৪ সালে মোট ২০৩টি দুর্ঘটনা ঘটে। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৫২ জন এবং আহত হয়েছেন ৩৮৬ জন। এসব দুর্ঘটনায় আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৬ কোটি ৫৫ লাখ ৪৮ হাজার ৮৬৪ টাকা। সেতু কেন্দ্রিক দুর্ঘটনা আরেকটি পরিসংখ্যান বলছে, দেশের ৩ হাজার ৩৩৬ কিলোমিটার রেলপথে ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। কিন্তু ভয়াবহ দুর্ঘটনাগুলো ঘটছে রেলসেতু কেন্দ্রিক। ঢাকা-সিলেট, সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে গত দেড় বছরে ৯টি দুর্ঘটনা ঘটেছে; যার মধ্যে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ-কুশিয়ারার মধ্যস্থলের রেলসেতু ভেঙ্গে দুই দিন ওই পথে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। একই পথে ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ মাধবপুরের ইটাখোলা রেলব্রিজ ভেঙ্গে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ট্রেন। ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনায় সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ পাঁচ দিন বন্ধ ছিল। ২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল গাজীপুরের টঙ্গীতে ঢাকাগামী জামালপুর কমিউটার ট্রেনের ৫টি বগি লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটে। ১৯৭২ সালের ২ জুন যশোর ট্রেন দুর্ঘটনায় ৭৬ যাত্রী মারা যায় এবং ৫০০ যাত্রী আহত হয়। ১৯৭৯ সালের ২৬ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গার কাছে একটা ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে ৭০ যাত্রী মারা যায় এবং ৩০০ যাত্রী আহত হয়। ১৯৮৫ সালের ১৩ জানুয়ারি খুলনা থেকে পার্বতীপুরগামী সীমান্ত এক্সপ্রেসের কোচে আগুন ধরে যায়। এতে ২৭ যাত্রী মারা যায় এবং ২৭ জন আহত হয়। ১৯৮৬ সালের ১৫ মার্চ সর্বহারার নাশকতায় ভেড়ামারার কাছে ট্রেন লাইনচ্যুত হয় এবং নদীতে পড়ে যায়। ২৫ জন যাত্রী মারা যায় এবং ৪৫ জন আহত হয় । বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলছে, ২০১৮ সালে সড়ক-রেল-নৌপথ ও আকাশপথে ৬ হাজার ৪৮টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৭ হাজার ৭৯৬ জন। একই সঙ্গে এ দুর্ঘটনায় আরও ১৫ হাজার ৯৮০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৫ হাজার ৫১৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৭ হাজার ২২১ জন। পরিসংখ্যানে বলা হয়, ২০১৮ সালে রেলপথে ৩৭০টি দুর্ঘটনায় ৩৯৪ জন নিহত এবং ২৪৮ জন আহত হয়। বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মোজাম্মেল হক চৌধুরী ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন দুর্ঘটনায় হতাহতদের দ্রুত উদ্ধার ও বিনামূল্যে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার দাবি জানান। একই সঙ্গে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
×