স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ বেনাপোল কাস্টমস ভল্টের তালা খুলে ১৯ কেজি ৩শ’ ১৮ গ্রাম স্বর্ণ চুরি হয়েছে। গত শুক্রবার থেকে রবিবারের মধ্যে এই চুরির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ভল্ট ইনচার্জসহ পাঁচজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে কি পরিমাণ মালামাল খোয়া গেছে তা কাস্টমের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। সোমবার বিকেল থেকে কাস্টমের সব পর্যায়ের কর্মকর্তার মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখা হয়। সাংবাদিকদের ঘটনাস্থলে যেতে দেয়া হয়নি।
গত শনিবার অফিস করার পর রবিবার সরকারী ছুটি থাকায় কেউ অফিসে ছিলেন না। সোমবার সকালে অফিস খুললে চুরির বিষয়টি ধরা পড়ে। এ ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে কাস্টম পাড়ায়।
কাস্টম সূত্র জানায়, কাস্টম হাউসের পুরনো ভবনের দ্বিতীয় তলায় গোপনীয় একটি কক্ষে তালার পর লোহার লকার ভেঙ্গে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ, ডলার ও টাকাসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র নিয়ে গেছে চোর। সেই কক্ষে প্রবেশ করার পূর্বে সংঘবদ্ধ চোর চক্র সিসি ক্যামেরার সব সংযোগ কেটে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। সেখান থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে গেছে বলে কাস্টম সূত্রটি দাবি করে। ওই লকারে কাস্টম, কাস্টম শুল্ক গোয়েন্দা, বিজিবি ও পুলিশের উদ্ধারকৃত স্বর্ণ, ডলার বৈদেশিক মুদ্রা, কষ্টিপাথরসহ মূল্যবান দলিলাদি ছিল। সোমবার সকালে ওই লকারের তালা ভাঙ্গা দেখে চুরি হয়েছে বলে আশঙ্কা করেন কাস্টম কর্তৃপক্ষ। খবর পেয়ে কাস্টমের বিভিন্ন কর্মকর্তাসহ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তা। তারপর ওই স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বাইরের কাউকে সেখানে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। সর্বশেষ বিকেল ৫টা নাগাদ ডিবি, সিআইডি, পিবিআই, র্যাব ও বেনাপোল পোর্ট থানার কর্মকর্তারা ওই লকার রুমে প্রবেশ করেন। এ সময় হাত-পায়ের ছাপ নির্ণয় করার সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএসবির এএসপি তৌহিদুল ইসলাম, ইন্সপেক্টর সৈয়দ মামুন হোসেন, র্যাব কর্মকর্তা কামরুজ্জামান, আতিকুর রহমান, বেনাপোল কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার শহিদুল ইসলাম, এআরও জিএম আশরাফ, বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের ওসি মামুন খান প্রমুখ। এ ঘটনায় যুগ্ম কমিশনার মোঃ শহীদুল ইসলামকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: