ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মৃত্যু যেখানে নিশ্চিত, সেখান থেকে ফিরে আসা... !

প্রকাশিত: ১১:৫৫, ১২ নভেম্বর ২০১৯

মৃত্যু যেখানে নিশ্চিত, সেখান থেকে ফিরে আসা... !

স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ চারদিকে বঙ্গোপসাগরের অথৈ জলরাশি। যেদিকে চোখ যায় শুধু উত্তাল ঢেউ। তার ওপর বিক্ষুব্ধ ঝড়ঝঞ্ঝা। তীব্র বেগে বইছে বাতাস। ইথারে ভেসে আসছে দশ নম্বর মহাবিপদ সঙ্কেত। একটু এদিকসেদিক হলেই জলোচ্ছ্বাস কোথায় নিয়ে যাবে, তার কোন ঠিকানা নেই। হঠাৎ ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল। যে কোন মুহূর্তে উল্টে যাবে ট্রলার। মৃত্যু নিশ্চিত। মোবাইলফোনও আর কাজ করছে না। ট্রলারের লোকজন কাউকে জানাতেও পারছেন না, নিজেদের অসহায়ত্বের কথা। এ অবস্থায় পরিবারের লোকজনও তেমনটাই আঁচ করে নিয়েছিলেন। কিন্তু ভাগ্য যেখানে সহায়। সেখানে জীবিত ফিরে আসাটা যেন এক মিরাকল। এমনটাই ঘটেছে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চরখালী ও পক্ষিয়া গ্রামের ১২ জেলের ভাগ্যে। নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে দীর্ঘ দু’দিন পর ফিরে আসার সংবাদ দিয়ে সকলকে জানান দিলেন সুখের চমক। বেঁচে থাকার আনন্দবার্তা।পরিবার ও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পক্ষিয়া গ্রামের ট্রলার মালিক মোঃ রিপন খলিফা (৪০) সপ্তাহখানেক আগে নিজেসহ ১২ জেলে নিয়ে ইলিশ শিকারে পাড়ি জমান গভীর বঙ্গোপসাগরে। যেখানে মোবাইল ফোনে সংযোগ মেলে না, এতটাই দূরবর্তী স্থানে গিয়েছিলেন তারা। বঙ্গোপসাগরের মতিগতি আর আচরণ দেখে তারা আঁচ করে নিয়েছিলেন আসন্ন বিপদের শঙ্কা। তাই ফিরে আসছিলেন তীরে। শনিবার বেলা চারটার দিকে মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কের আওতায় এসেই বাড়িতে খবর দিয়েছিলেন আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তীরে পৌঁছাবেন। সন্ধ্যার পরেও বাড়িতে কথা বলেছেন। তার আগেই জারি হয়েছে দশ নম্বর মহাবিপদ সঙ্কেত। এরপর থেকে আর রিপনসহ অন্য জেলেদের খোঁজ মিলছিল না। পরিবারের লোকজন দীর্ঘ দু’দিন কাটিয়েছেন এক চরম অনিশ্চয়তায়। সোমবার বিকেলে হঠাৎ করে রিপন খলিফার বাড়িতে আসে অন্যের ফোন কল। তাতে বলা হয়, জেলেরা সকলেই বেঁচে আছেন।
×