ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পিপিপি অংশীদারিত্ব আইন ’১৯-র খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

প্রকাশিত: ১১:০৪, ১২ নভেম্বর ২০১৯

পিপিপি অংশীদারিত্ব আইন ’১৯-র খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ ‘বাংলাদেশ সরকারী-বেসরকারী অংশীদারিত্ব (সংশোধন) আইন’- ১৯-এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে জিটুজি (সরকার টু সরকার) ভিত্তিতে প্রকল্প গ্রহণের বিধান রাখা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার সচিবালয়ে ৬ নম্বর ভবনে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। সভাশেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, জনগণের জীবনমান উন্নয়ন, আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করা এবং অবকাঠামো গড়ে তুলতে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার মধ্য দিয়ে বেসরকারী খাতের সঙ্গে অংশীদারিত্ব সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ সরকারী-বেসরকারী অংশীদারিত্ব আইন, ১৫’ (পিপিপি আইন) প্রণয়ন করা হয়। এই আইনের বাস্তবায়ন পর্যায়ে অভিজ্ঞতার আলোকে কিছু সংশোধন আবশ্যক হওয়ায় তা সংশোধন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ‘পলিসি ফর ইমপ্লিমেন্টিং পিপিপি প্রজেক্টস থ্রু গবর্নমেন্ট টু গবর্নমেন্ট (জিটুজি) পার্টনারশিপ’ ১৭-এর আওতায় জাপান, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া ও আমিরাতের সঙ্গে সমঝোতা বা সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, অন্যান্য দেশও এই প্রক্রিয়ায় প্রকল্প গ্রহণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এই প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষের জিটুজি প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের বিষয় অন্তর্ভুক্ত করতে বিদ্যমান আইনে তিনটি উপ-ধারা সংযোজন করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও জানান, ‘পিপিপি আইন ১৫-এর ৮(২) ধারায় বলা ছিল, বছরে পিপিপি পরিচালনা পর্ষদের ছয়টি বৈঠক হতে হবে। তবে সংশোধিত আইন অনুযায়ী এখন থেকে বছরে একটি বৈঠক করলেই হবে। কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের ব্যস্ততার কারণে ছয়টি বৈঠক হয়ে ওঠে না, তাই একটি করা হয়েছে। সংশোধিত আইন অনুযায়ী পিপিপি পরিচালনা পর্ষদের প্রথম সভায় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী বোর্ড গঠন করতে হবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই নির্বাহী বোর্ডের গঠন, দায়িত্ব ও সভা অনুষ্ঠান সংক্রান্ত বিষয়গুলোও সংশোধিত আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পিপিপি আইন ১৫-এর আওতায় কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিধান আছে। এই আইনের ১১ ধারায় বলা আছে পিপিপি কর্তৃপক্ষের সরাসরি নিয়োগকৃত কর্মচারীদের চাকরির শর্তাবলী প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হবে। তবে সংশোধিত আইনে এতে পরিবর্তন এসেছে। সংশোধনীর ৬ ধারায় বলা হয়েছে, পরিচালনা পর্ষদ চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত সব কর্মীর জন্য বিধানাবলী নির্ধারণ করবে এবং তা সবার জন্য প্রযোজ্য হবে। খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ‘পিপিপি আইন-১৫’ এ জিটুজি প্রকল্পের বিষয়ে কোন বিধান ছিল না। কিন্তু ‘পিপিপি আইন-১৫’ প্রবর্তিত হওয়ার পর সরকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে পিপিপি প্রকল্প (জিটুজি পিপিপি) বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়।
×