ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অভাবনীয় আবিষ্কারের যুগে চিকিৎসা বিজ্ঞান

প্রকাশিত: ০৯:৩৫, ১২ নভেম্বর ২০১৯

অভাবনীয় আবিষ্কারের যুগে চিকিৎসা বিজ্ঞান

খুব বেশিদিন আগের কথা নয়। একটা সময় ছিল যখন চিকিৎসা বিজ্ঞানের নতুন কিছু আবিষ্কার এমন নাটকীয় ছিল যে সবাইকে তা চমকে দিত। ১৯২৮ সালে আলেকজান্ডার ফ্লেমিংয়ের পেনিসিলিন আবিষ্কার ছিল তেমনই এক ঘটনা। ওটাই ছিল প্রথম এ্যান্টিবায়োটিক। ১৯৫৩ সালে জোনাস সাল্কের পোলিওর টিকা আবিষ্কার ছিল আরেক চমক। কিন্তু আজ আমাদের যুগ হলো চিকিৎসা ক্ষেত্রে অগ্রগতির যুগ যা আবিশ্বাস্য দ্রুততায় এগিয়ে চলেছে। ২০১২ সালে মানব জেনম সম্পাদনার প্রযুক্তি আবিষ্কৃত হয়। গত দশ বছরে ইমিউন কোষকে কাজে লাগিয়ে ক্যান্সার চিকিৎসার ২০টি নতুন কৌশল উদ্ভাবিত হয়েছে। মানুষ এখন বেশিদিন বাঁচছে। আগের চেয়ে সুস্থ ও স্বাস্থ্যবান থাকছে। যুক্তরাষ্ট্রের কথা ধরা যাক। ১৯০০ সালে সেদেশে মানুষের গড় আয়ু ছিল ৪৭ বছর। আজ তা ৭৮ বছরের বেশি। যেসব অগ্রগতির কারণে এটা সম্ভব হয়েছে তার মধ্যে একটা কারণ গত ৫০ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে হৃদরোগে মৃত্যুহার ৭০ শতাংশ হ্রাস এবং বিগত দশক দুয়েকে ক্যান্সারে মৃত্যুহার বছরে ১ শতাংশ হ্রাস। আরেক নাটকীয় অগ্রগতি হলো এইচআইভির ওষুধ আবিষ্কার যার সাহায্যে এ রোগে আক্রান্তরা প্রায় স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে। এই বিস্ময়কর অগ্রগতি সত্ত্বেও এখনও অনেক কিছু করার আছে। ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে উদ্যত অনেক নতুন উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে জিন সম্পাদনার শক্তিকে কাজে লাগানো, ক্যান্সার ইমিউনোথেরাপির আওতাকে প্রসারিত করা, মানব মস্তিষ্কের মানচিত্র অঙ্কন ইত্যাদি। এছাড়াও মানবজাতির সবচয়ে ভয়াল কিছু রোগব্যাধি প্রতিরোধ, চিকিৎসা ও নিরাময়েরও উজ্জ্বল সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। ক্লাস্টার্ড রেগুলেটরি ইন্টারস্পেসড শর্ট প্যালিনড্রোমিক রিপিটস বা সংক্ষেপে ক্রিসপার বলে জিন সম্পাদনার একটি কৌশল আছে। ভারি আশ্চর্য নিখুঁত কৌশল। গবেষকরা মনে করেন যে ক্রিস্পার এবং জিন সম্পাদনার এই সম্পর্কিত অন্যান্য কৌশল হাজার হাজার রোগের চিকিৎসা ও নিরাময়ের বিপুল সম্ভাবনা ধারণ করে আছে। এমনকি সেসব রোগও এর মধ্যে অন্তর্গত যেগুলোর চিকিৎসা সীমিত বা নেই- যেমন সিকল সেল ডিজিজ, মাসকিউলার ডিসট্রোফি, হান্টিংটন্স ডিজিজ। চিকিৎসার আরেক দ্রুত উদীয়মান ক্ষেত্র হলো ক্যান্সার ইমিউনোথেরাপি। চিকিৎসার এই কৌশলটি এখনও শৈশবাবস্থায় থাকলেও ক্যান্সার রোগীর জীবন রক্ষায় এর ক্ষমতা সম্পর্কে চিত্তাকর্ষক খবর পাওয়া যেতে শুরু করেছে। দৃষ্টান্তস্বরূপ ইমিউনোথেরপির দীর্ঘতম পরীক্ষামূলক প্রয়োগগুলোর একটি হলো মেটাস্ট্যাটিক মেলানোমার চেক পয়েন্ট ইনহিবিটস্থ ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে আরও কিছু কৌশল যুক্ত করা। প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণে দেখা যায় যে, ৫২ শতাংশ রোগী পাঁচ বছর পরও বেঁচে আছে। এই কৌশলটি উদ্ভাবিত হওয়ার আগে এই মারাত্মক স্কিন ক্যান্সারে মাত্র ৫ শতাংশ রোগী ৫ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারত। ব্রেইন রিসার্চ থ্রু এ্যাডভান্সিং ইনোভেটিভ নিউরোটেকনোলজিস বা সংক্ষেপে ব্রেইন নামক এক কৌশল নিয়ে বেশ উচ্চাভিলাষী উদ্যোগ চলছে। মানব মস্তিষ্কের মোটামুটি ১০ হাজার কোটি কোষ আছে। প্রতিটি কোষের আবার প্রায় এক হাজার সংযোগ থাকে। এই কোষগুলোর পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া কিভাবে ঘটে তা বোঝার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম উদ্ভাবন করাই এই উদ্যোগের লক্ষ্য। সেটা করতে পারলে আমাদের মস্তিষ্কের মোটর ক্রিয়াকলাপ, স্মৃতি কিভাবে কাজ করে, চেতনা, বোধশক্তি, আবেগ, অনুভূতি ও আচরণ সম্পর্কে আরও ভাল ধারণা লাভ করা যাবে। মস্তিষ্কের রোগব্যাধি এখনও আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের কাছে সবচেয়ে বড় কতিপয় রহস্যের অন্যতম। তাই ‘ব্রেইন’ নামক উদ্যোগের সমর্থনপুষ্ট শতাধিক প্রতিষ্ঠান এখন নিউরোসায়েন্সের অগ্রগতি সাধনে কাজ করছে। তাদের লক্ষ্য এমন সব নতুন পথ উন্মোচন করা যার দ্বারা আলঝেইমার রোগ, অটিজম, ডিপ্রেশন, এপিলেপ্সি, পার্কিনসন রোগ, সিজোফ্রেনিয়া, স্ট্রোক ও অন্যান্য বৈকল্যের চিকিৎসা সম্ভব হবে। বিস্ময়কর নতুন দিগন্ত চিকিৎসা শাস্ত্রের নতুন নতুন আবিষ্কার রোগ মুক্তির নয়া দিগন্ত খুলে দিয়েছে। আলট্রাসাউন্ডের নতুন যন্ত্র বেরিয়েছে যা পকেটে বহনযোগ্য এবং হাসপাতালে ব্যবহৃত যন্ত্রের দামের তুলনায় ৫০ গুণ কম। এটি মোবাইল ফোনের সঙ্গে সংযোগও করা যায়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের দ্বারা মেডিকেল বিশেষজ্ঞদের চাইতেও ভালভাবে ফুসফুসের টিউমারের সন্ধান বের করা যায়। ডায়াবেটিস নিরাময়ে স্টেম সেল টাইপ-১ ডায়াবেটিসে সাড়ে ১২ লাখ আমেরিকান আক্রান্ত। বিশ্বব্যাপী ১৯ বছরের কম বয়সী প্রতি ৪৩০ থেকে ৫৩০ জনের মধ্যে ১ জন এ রোগের শিকার। এর চিকিৎসা হচ্ছে হিসাব করে খাওয়া, ইনসুলিন নেয়া ও দিনে একাধিকবার রক্তে শর্করা পরীক্ষা করা। হার্ভার্ডের জীববিজ্ঞানী ডুং মেল্টন ভিন্ন পথে চিকিৎসায় এগিয়েছেন। সেটা হচ্ছে ইনসুলিন উৎপাদনকারী বিটা সেলকে বদলে দেয়ার জন্য স্টেম সেলের ব্যবহার। তার এই প্রযুক্তি ভার্টেস্ক ফার্মাসিউটিক্যালস ৯৫ কোটি ডলার দিয়ে কিনে নিয়েছে। কোম্পানিটি একটি ছোট ইমপ্ল্যান্টযোগ্য ডিভাইস তৈরি করেছে যা লাখ লাখ বদলি বিটা সেল ধারণ করে থাকে এবং গ্লুকোজ ও ইনসুলিন বের হতে দেয়। এটা ঠিকমতো কাজ করলে মানুষের আর ডায়াবেটিস হবে না। ডায়াবেটিস রোগীরা তখন অন্যদের মতো খাবেদাবে ও খেলে বেড়াতে পারবে। ক্যান্সার নির্ণয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণগুলো সাধারণত শেষ অবস্থার আগ পর্যন্ত দেখা দেয় না। অতি ঝুঁকিপূর্ণ লোকদের সিটিস্ক্যান দিয়ে প্রথমদিকে রোগ ধরতে পারলে মৃত্যুঝুঁকি কমে যায়। তবে এতেও যে ঝুঁকি নেই তা নয়। কারণ দেখা গেছে সিটিস্ক্যান করে ফুসফুসের ক্যান্সার চিহ্নিত করা ২.৫ শতাংশ ব্যক্তিকে অহেতুক চিকিৎসা দিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। কারণ তাদের ক্যান্সার নির্ণয়টাই ছিল ভুল। গুগল হেলথ টিমের প্রধান গবেষক শ্রাভ্য শেঠী মনে করেন এ সমস্যার সমাধান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। তাঁর দল গত দুবছরে এমন এআই সিস্টেম গড়ে তুলেছে যা ফুসফুসের ক্যান্সার নির্ণয়ে মানব রেডিওলজিস্টদের কাজকে গুণগতভাবে ছাড়িয়ে গেছে। ৪৫ হাজারের বেশি সিটিস্ক্যান করা ব্যক্তিদের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে গুগল এলগোরিদম ৫ শতাংশেরও বেশি ক্যান্সার রোগী শনাক্ত করেছে এবং ফলস পজিটিভ হিসাবে যাদের রেডিওলজিস্টরা চিহ্নিত করেছিল তাদেরও ১১ শতাংশ কম জনকে ফলস পজিটিভ হিসাবে ধরেছে। প্রাথমিক ফলাফলগুলো সম্ভাবনাময় হলেও এখনও অনেক কিছু করা বাকি আছে। ডিজিটাল হার্ট হৃদরোগী হিসাবে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের হার্টের রক্তনালীর সমস্যা নির্ণয়ের একটা উপায় হলো এনজিওগ্রাম করা এবং তার ফলাফলের ভিত্তিতে দরকারমতো স্টেন্টিং বা বেলুন এঞ্জিওপ্লাস্টি করা। মার্কিন অধ্যাপক চার্লস টেইলর হার্টফ্লো নামে এক ডিভাইস বের করেছেন যার উদ্দেশ্য হলো রোগ নির্ণয়ের ইনভেসিভ পদ্ধতি পরিহার করে চিকিৎসার ফলাফল উন্নত করে তোলা। হার্টফ্লো ব্যক্তির আর্টারিগুলোর থ্রিডি ডিজিটাল মডেল তৈরি করে। প্রথমে সিটিস্ক্যানের দ্বারা হার্ট ও এর রক্তনালীগুলোর অনুপুঙ্খ চিত্র ধারণ করা হয়। তারপর সিটিস্ক্যানের ইমেজগুলোকে স্থানান্তর করা হয় হার্টফ্লোতে। এতে করে ডাক্তাররা নানাদিক থেকে নানাভাবে ধমনীর প্রকৃত অবস্থা জানতে পারেন। বিদ্যুত দিয়ে চিকিৎসা চিকিৎসা জগতের বাস্তবতার চাইতে কথাটা বরং বিজ্ঞানের কল্পকাহিনীর মতোই শোনাবে। সেটা বলার আগে বলে রাখা ভাল যে বায়োইঞ্জিনিয়ারিং ও নিউরোলজিকে যুক্ত করে উদ্ভাবিত হয়েছে এমন চিকিৎসা যার ফলে বিজ্ঞানীরা সুনির্দিষ্ট নার্ভ চিহ্নিত করে ডিভাইস শরীরের ভেতর লাগিয়ে দেবেন। এই ডিভাইসগুলো প্রয়োজনমতো উদ্দীপ্ত করা বা নিষ্ক্রিয় করে দেয়া যাবে এবং এভাবে শরীরের অনেক ইমিউন ও মেটাবলিক ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। মাথাব্যথা, কয়েক ধরনের বিষণœতা, ক্রনিক ও সাইনাসের ব্যথার মতো কিছু কিছু সমস্যার চিকিৎসার জন্য কতিপয় বায়োইলেকট্রনিক বা ইলেকট্রোসিউটিক্যাল থেরাপির অস্তিত্ব আগে থেকেই আছে বটে। তবে বিদ্যুতভিত্তিক চিকিৎসা কৌশলের নতুন জোয়ার এমন প্রসার লাভ করতে পারে যে বিশ্বে ব্যাপক পরিসরে পরিচিত পুরনো কিছু রোগ যেমন উচ্চ রক্তচাপ, গেঁটেবাত, ডায়াবেটিস, কয়েক ধরনের অন্ধত্ব এমনকি ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিলোপ সমস্যার সমাধান বা লাঘব হতে পারে। যেমন ক্রোন নামে এক ধরনের কঠিন পীড়া ও আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত কেলি ওয়েনস নামে এক মার্কিন মহিলার ক্ষেত্রে বায়োইলেকট্রনিক থেরাপি প্রয়োগ করে তার জীবন বদলে দেয়া হয়েছে। তাঁর বুকে একটি বৈদ্যুতিক রেগুলেটর ইমপ্ল্যান্ট করে দেয়ার পর কয়েক দশকের মধ্যে এই প্রথম তিনি ব্যথাবিহীন অবস্থায় দিন যাপন করছেন। কোন ওষুধ খেতে হচ্ছে না। চিকিৎসার এমন সম্ভাবনা বড় বড় কোম্পানি ছাড়াও বহু স্টার্টআপকেও আকৃষ্ট করেছে। মাথাব্যথা ও দীর্ঘদিনের পুরাতন ব্যথার চিকিৎসায় শরীরের বৃহত্তর কিছু কিছু নার্ভকে উদ্দীপ্ত করার এই উদ্যোগ এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন এই চিকিৎসার বাজার ২০২৫ সাল নাগাদ ৭শ’ কোটি ডলারে পৌঁছবে। এবোটের মতো কোম্পানি পুরাতন ব্যথার চিকিৎসার জন্য নার্ভ উদ্দীপ্ত করার লক্ষ্যে নিউরোমডিউলেশন ডিভাইস ইতোমধ্যে বাজারে ছেড়েছে। ইলেকট্রোসিউটিক্যাল ক্ষেত্রের এই সম্ভাবনা ভেষজ শিল্পে এক সুগভীর পরিবর্তনের অংশ। আমাদের কোষ পর্যায়ের অনেক কাজ যেমন হরমোন উৎপাদন কিংবা পেশী সঙ্কোচন-প্রসারণের বিষয়গুলো বৈদ্যুতিক সঙ্কেত দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। সঙ্কেতগুলো সংশ্লিষ্ট কোষ যেসব অঙ্গে অবস্থিত সেসব অঙ্গ ও মস্তিষ্কের মধ্যেকার নার্ভগুলোর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। সেই প্রবাহের পৌনপুনিকতার হারের দ্বারা নির্ধারিত হয় সেই কোষগুলো তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব কত সক্রিয়ভাবে তারা পালন করতে পারে। এই ধারণা থেকেই বায়োইলেকট্রনিক থেরাপির যাত্রা শুরু। ১৯৩০ এর দশকে এপিলেপ্সি বা মৃগীর কিছু কিছু লক্ষণ বোঝার বা দূর করার জন্য মস্তিষ্কের নার্ভগুলোকে উদ্দীপ্ত করা হয়। সিজোফ্রেনিয়া ও বাইপোলারের মতো বৈকল্য চিকিৎসায় উদ্ভাবিত হয় ইলেকট্রোকনভালসিভ থেরাপি। সাম্প্রতিক কয়েক দশকে শরীরে বৈদ্যুতিক সঙ্কেতগুলো কিভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে আরও ভাল ধারণা অর্জিত হওয়ায় অধিকতর কার্যকর বায়োইলেকট্রনিক ডিভাইস উদ্ভাবিত হয়েছে যার মধ্যে রয়েছে হার্টের পেসমেকার, কোচলিয়ার ইমপ্ল্যান্ট, প্রস্রাব নিয়ন্ত্রণহীনতার ডিভাইস এবং পক্ষাঘাতগ্রস্ত পেশী নড়াচড়ায় সাহায্য করার ডিভাইস। দেহকোষগুলো ইলেকট্রনিক দিক দিয়ে পরস্পরের সঙ্গে কিভাবে যোগাযোগ করে সে সম্পর্কে গবেষকরা আরও বেশি জানতে পারায় আরও অত্যাধুনিক বায়োইলেকট্রনিক ডিভাইস উদ্ভাবিত হচ্ছে এবং এই থেরাপি দিয়ে চিকিৎসা করা যেতে পারে এমন রোগের পরিধিও বাড়ছে। তাই বায়োইলেকট্রকি থেরাপির বদৌলতে উচ্চচাপের রোগীকে আর ওষুধ খেতে হবে না। ডায়াবেটিস রোগীদের প্রায়শ রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা মাপা এবং ডায়াবেটিসের পিল খেতে বা ইনসুলিনের শট নিতে হবে না। তাদের প্যানক্রিয়াসে ইলেকট্রোসিউটিক্যাল ডিভাইস লাগালে ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষগুলো রক্ষা পাবে ও কাজ শুরু করে দেবে। রেটিনার রোগে দৃষ্টিশক্তি হারানো ব্যক্তিদের দৃষ্টি ফিরিয়ে দেয়ার জন্য চোখের নার্ভগুলোকে সক্রিয় করে তোলার উপায় নিয়েও কাজ চলছে। বিজ্ঞানীরা স্থির নিশ্চিত যে মস্তিষ্কের বৈদ্যুতিক সঙ্কেতগুলো সঠিক উপায়ে বদলে দেয়া গেলে ডিপ্রেশন বা বিষণœতা থেকে শুরু করে ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিলোপ পর্যন্ত নানাবিধ মানসিক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে। সূত্র : টাইম
×