ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জেনারেটর বিস্ফোরণে দগ্ধ ৬

চট্টগ্রামে মিলাদুন্নবীর জুলুস জনসমুদ্র

প্রকাশিত: ০৮:৫৭, ১২ নভেম্বর ২০১৯

চট্টগ্রামে মিলাদুন্নবীর জুলুস জনসমুদ্র

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামে যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও অনুষ্ঠানে মধ্য দিয়ে রবিবার পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী। বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও দিবসটিতে ছিল নানা আয়োজন। এরমধ্যে বরাবরের মতো এবারও প্রধান কর্মসূচী ‘জশনে জুলুস’। আঞ্জুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় এই জুুলুসের নেতৃত্ব দেন দরবারে আলিয়া কাদেরিয়া সিরিকোট শরিফের সাজ্জাদানশিন সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ। তবে এই জুলুসে অংশ নেয়া একটি পিকআপ ভ্যানে জেনারেটর বিস্ফোরণে ৬ জন দগ্ধ হয়েছে। চট্টগ্রামে এবারও জশনে জুলুসে অংশ নেয় লাখো ধর্মপ্রাণ মানুষ। এতে যানবাহন চলাচল অনেকটাই বন্ধ হয়ে যায়। রবিবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে মুরাদপুর এলাকা পরিণত হয় জনসমুদ্রে। ওই এলাকাটুকু অতিক্রম করতেই লেগে যায় প্রায় ১ ঘণ্টা। নগরজুড়ে একই চিত্র। উৎসাহীরা বাড়ির ছাদ, বাসার জানালা, ফ্লাইওভারসহ উঁচু স্থান থেকে আগ্রহের সঙ্গে জুলুস প্রত্যক্ষ করেন। চট্টগ্রামে জশনে জুলুসের বিশেষ গাড়িতে সৈয়দ মোহাম্মদ তাহের শাহর সঙ্গে ছিলেন আঞ্জুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের উপদেষ্টা পিএইচপি ফ্যামিলির পরিচালক সুফী মিজানুর রহমান, আনজুমানের ভিপি মোহাম্মদ মহসিন, সেক্রেটারি জেনারেল মোঃ আনোয়ার হোসেন, এডিশনাল সেক্রেটারি মোঃ শামসুদ্দিন, জয়েন্ট সেক্রোরি সিরাজুল হক প্রমুখ। জামেয়া আহমদিয়া আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন আলমগীর খানকা থেকে জুলুস শুরু হয়ে তা বিবিরহাট, মুরাদপুর, মির্জাপুল, কাতালগঞ্জ, চকবাজার, প্যারেড কর্নার, সিরাজদ্দৌলা রোড, আন্দরকিল্লা, চেরাগি পাহাড়, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব, কাজির দেউরি, আলমাস, ওয়াসা মোড়, জিইসি ও মুরাদপুর হয়ে জামেয়ায় গিয়ে শেষ হয়। মহানগরীর কাজির দেউরি মোড়ে স্থাপিত একটি অস্থায়ী মঞ্চে বক্তব্য দেন মুহাম্মদ তাহের শাহ। এ সময় তিনি দেশ, মানবজাতি ও সারাবিশে^র শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করেন। এদিকে, জশনে জুলুসের মিছিলে একটি পিকআপে থাকা জেনারেটর বিস্ফোরিত হয়ে দগ্ধ হয়েছেন ৬ জন। রবিবার সকাল ১০টার দিকে লালখান বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। তারা হলেন নুর নবী, মোঃ কাউছার, রফিকুল ইসলাম, রিফাত, ইয়ামিন এবং হৃদয়। তাদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া জুলুসের ভিড়ে হারিয়ে যায় তিন শিশু। তবে তাদের উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে সুমাইয়া, রবিউল এবং রোমানা আকতার নামের এই তিন শিশুকে তাদের অভিভাবকের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিএমপি কোতোয়ালি থানার ওসি মোঃ মহসিন।
×