ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কক্সবাজারে পর্যটক এলাকায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে

প্রকাশিত: ০৮:৫৬, ১২ নভেম্বর ২০১৯

কক্সবাজারে পর্যটক এলাকায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে

এইচএম এরশাদ, কক্সবাজার ॥ ঘূর্ণিঝড় বুলবুল প্রভাব পড়েনি কক্সবাজারে। পর্যটন শহরের উপকূলীয় এলাকা বুলবুল থেকে সম্পূর্ণ আশঙ্কা মুক্ত হয়ে গেছে। নামিয়ে ফেলা হয়েছে আবহাওয়া সঙ্কেত। নিরাপদে নিয়ে আসা হয়েছে সেন্টমার্টিনে আটকা পড়া পর্যটকদের। পর্যটনের ভরা মৌসুমে পর্যটন এলাকায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে কমবেশি বুলবুল আতঙ্কে ছিলেন কক্সবাজারবাসী। তবে ঘূর্ণিঝড়, বাতাস, জ্বলোচ্ছ্বাস ইত্যাদি কোন কিছুর প্রভাব পড়েনি। ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবেলায় প্রশাসনের যথেষ্ট সতর্কতাও ছিল। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে এখন পর্যটক আসা শুরু হয়েছে। তিনদিন ধরে ঘূর্ণিঝড় আতঙ্কে থাকার পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার অফিস ছুটি শেষে চারদিন বন্ধ থাকায় বছরের প্রথম সুযোগটি ধরার বড় আশা ছিল সৈকতপাড়ের হোটেল ব্যবসায়ীদের। একদিকে এজতেমা, আবার ডিসি সাহেবের বলীখেলা ও তিনদিনের সরকারী ছুটি একইসঙ্গে তাল মিলিয়েছে। তাই তাদের ধারণা ছিল চারদিন ধরে পর্যটকে ভরপুর হবে কক্সবাজারে। সেইমতে হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীদের সব ধরনের আয়োজনও ছিল। কিন্তু সব গুড়ে বালি। একাধিক হোটেল ব্যবসায়ী বলেন, আল্লাহর লীলায় কারও হাত দেয়ার সাধ্য নেই। তিন-চারদিন ধরে পর্যটকের দেখাও মেলেনি। সোমবার থেকে ফের পর্যটক আসা শুরু হয়েছে। সৈকতের বালিয়াড়িতে ফিরে এসেছে প্রাণ চাঞ্চল্যতা। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে প্রতিদিন হাজারও পর্যটক আসা শুরু হয় মূলত বছরের নবেম্বর থেকে। তাই চলতি সনেও ১ নবেম্বর থেকে পর্যটকে টাসা ছিল কক্সবাজার। হঠাৎ করে ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্কেত বৃদ্ধি পাচ্ছে দেখে কক্সবাজার থেকে নিজ নিজ বাড়িঘরে চলে যায় তারা। ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা না থাকায় সোমবার থেকে আবারও পর্যটক আসা শুরু হয়েছে। সকালে পর্যটকদের পদচারণায় ফের ফিরে আসে সৈকতের বালিয়াড়ির চাঞ্চল্যতা। কেউ বল খেলে, কেউ লোনা পানিতে ভিজে ও বিভিন্নভাবে ছবি তুলে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠে। সোমবার ভোরে ঢাকা থেকে আসা পর্যটক দম্পতি দেলোয়ার হোসেন ও মনোয়ারা বলেন, প্রতিবছর কক্সবাজার সাগরপাড়ে একবার ভ্রমণে আসতে মন চায়। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বৃহস্পতিবার যাত্রা বাতিল করে অপেক্ষায় ছিলাম। আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেছি, যেন বাংলাদেশকে ঘূর্ণিঝড় মুক্ত করে। রবিবার আবহাওয়া সঙ্কেত না থাকায় রাতে গাড়িতে উঠি। সোমবার ভোরে কক্সবাজারে পৌঁছেই চলে আসি সৈকতের বালিয়াড়িতে। খুব আনন্দ পাচ্ছি।
×