ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাড়াউড়া লেক

প্রকাশিত: ০৯:২০, ৯ নভেম্বর ২০১৯

 সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাড়াউড়া লেক

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি শ্রীমঙ্গল। যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই শুধু সৌন্দর্যের হাতছানি। চায়ের রাজধানীর পাশাপাশি বর্তমানে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে এর নাম উঠে এসেছে। ছোটবড় মিলিয়ে নাম না জানা অনেক পর্যটন স্থান রয়েছে এখানে। প্রায় প্রতিদিনই শ্রীমঙ্গলের পর্যটন স্থানগুলোতে হাজারও দেশী-বিদেশী পর্যটকদের মিলনমেলা দেখা যায়। শ্রীমঙ্গলে রয়েছে সবুজে ঘেরা চায়ের বাগান, রয়েছে চা কন্যা ভাস্কর্য, রেইন ফরেস্ট লাউয়াছড়া, খাসিয়া পানপুঞ্জি, মিনি চিড়িয়াখানা, হাইল হাওড়, বধ্যভূমি- ৭১, ডিনস্টন সিমেট্রি, নীল কণ্ঠ চা কেবিন, মনিপুরী পল্লী ইত্যাদি বিশেষ পর্যটন স্থান। এমনই একটি বিশেষ পর্যটন স্থান হলো ভাড়াউড়া লেক। লেকটি শ্রীমঙ্গল শহর থেকে প্রায় ছয়-সাত কিলোমিটার দূরে ভাড়াউড়া চা বাগানে অবস্থিত। সবুজে ঘেড়া চারপাশে চা বাগান আর মাঝখানে এই বিশাল লেক। ইতোমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ওঠে আসছে লেকটির সৌন্দর্যের কথা। স্থানীয় লোকজনসহ অনেক পর্যটকরা এখন এই লেকটিতে বেড়াতে আসেন প্রতিনিয়ত। ঘন সবুজের বুকে অবস্থিত এই লেক। লেকের দুধারে যতদূর চোখ যায় দেখা যায় শুধু চা বাগান। ভৌগোলিক অবস্থান অনুসারে, লেকের দক্ষিণ-পূর্বে পাঁচ তারকা মানের হোটেল গ্যান্ড সুলতানের সীমানা, পশ্চিমে মূল ভাড়াউড়া চা বাগান, উত্তরে রেললাইন ও পূর্বে লাউয়াছড়া। লেকের একেবারে টিলার মাথায় বামে সনাতন ধর্মালম্বীদের দেবতা শিব ঠাকুরের মন্দির। এরই নামানুসারে একে ‘শংকর টিলা’ও বলা হয়ে থাকে। টিলার চূড়ায় দাঁড়িয়ে প্রায় দুই একরের হ্রদ পুরোটা দেখা যায় না। সামান্য কষ্ট করে শেষ পর্যন্ত গেলে বাড়তি পাওনা হিসেবে মিলবে আরও খানিকটা মিঠে পানির অভিনন্দন। চারদিকে চা পাতার অবাধ্য ইশারা। পানিতে বাতাসের দোলায় ঝিরিঝিরি কারুময় ঢেউ। সব মিলিয়ে শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত পর্যটন স্থানগুলোর সঙ্গে ভাড়াউড়া চা বাগানে অবস্থিত এই লেকটি (হ্রদ) হয়ে উঠছে অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন স্থান। কথা হয় ঢাকা থেকে আগত পর্যটক রিয়াদ আহমেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, আসলেই সৌন্দর্যের ভান্ডার নিয়ে যেন দাঁড়িয়ে আছে এই লেকটি। চারদিকে সবুজের সমারোহ সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে দ্বিগুণ। সকল পর্যটকদের জন্য ভাল লাগার মতো একটি জায়গা এটি। শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংস্থার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এস. কে.দাশ সুমন জানান, দেশী-বিদেশী পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াচ্ছে নতুন নতুন দর্শনীয় স্থানগুলো। বৃহত্তর সিলেটের বেশ কিছু দর্শনীয় স্থানের সঙ্গে শ্রীমঙ্গলের মনোরম পরিবেশে নয়নাভিরাম সৌন্দর্য নিয়ে ভাড়াউড়া লেক একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। চা বাগানের পাদদেশে অবস্থিত এই লেকটি দেশী-বিদেশী পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াচ্ছে। এখন এই পর্যটন স্থানটির ‘শ্রী’ বৃদ্ধিকরণে সরকারী নজরদারি বাড়ানো হলে দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি রাজস্ব আদায় দ্বিগুণ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। -চৌধুরী নীহারেন্দু হোম, শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার থেকে
×