ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পেঁয়াজের কেজিতে ৫ টাকা কমেছে

প্রকাশিত: ০৮:৩১, ৮ নভেম্বর ২০১৯

পেঁয়াজের কেজিতে ৫ টাকা কমেছে

অর্থনেতিক রিপোর্টার ॥ পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। কেজিতে ৫ টাকা কমে প্রতিকেজি দেশী পেঁয়াজ ১১৫-১২৫ এবং আমদানিকৃতটি ১০৫-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। রাজধানীর পাড়া মহল্লার দোকানগুলোতে ১৪০-১৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে পেঁয়াজ। এছাড়া ব্রয়লার মুরগি ও আলুর দাম কমেছে। বছরের অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে সস্তায় মিলছে রূপালী ইলিশ। আকারভেদে প্রতিকেজি ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-১২৫০ টাকায়। স্বল্প আয়ের মানুষ কমদামে কিনতে পারছেন স্বাদের ইলিশ মাছ। চাল, ডাল, আটা, ভোজ্যতেল, চিনি ও ডিমের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। এছাড়া শীতের শাক-সবজিতে ঠাসা রাজধানীর কাঁচা বাজার। সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে সবজির। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এদিকে, পেঁয়াজের দাম কমাতে রাষ্ট্রীয় বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা টিসিবি ট্রাকসেলে ৪৫ টাকায় বিক্রি করছে প্রতিকেজি পেঁয়াজ। সাধারণ মানুষ দীর্ঘ লাইন ধরে এসব পেঁয়াজ কিনে নিচ্ছেন। তবে বাজার থেকে ভোক্তাদের এসব পেঁয়াজ প্রায় ৩ থেকে চারগুন বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। এছাড়া দাম কমাতে মিসর ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। এসব পেঁয়াজ আগামী ৩ থেকে চার দিনের মধ্যে দেশে এসে পৌঁছবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ওই পেঁয়াজ দেশে আসলে খুচরা বাজারে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দীন। কাঁচা বাজারগুলোতে শীতের সবজির সরবরাহ বেড়েছে। ফুলকপি, বাধাকপি, শিম, গাজর, মূলা, লাউসহ নানা জাতের সবজি পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। প্রতিজোরা ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। এছাড়া অন্যান্য সবজি ৩০-৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতাদের স্বস্তি এখন ইলিশ মাছে। এছাড়া ইলিশের সরবরাহ বাড়ায় দেশী জাতের মাছের দামও কমতির দিকে রয়েছে। সাড়ে ৫শ’ থেকে ১২৫০ টাকায় মিলছে প্রতিকেজি ইলিশ মাছ। তবে ২২দিন ইলিশ ধরা বন্ধ থাকলেও এখন বাজারে যেসব ইলিশ মাছ পাওয়া যাচ্ছে তা ডিমে ভর্তি। সংশ্লিষ্টরা বলছে, বাজারে মূলত মা ইলিশ আসছে। এ প্রসঙ্গে খিলগাঁও রেলগেট সংলগ্ন বাজারের ইলিশ ক্রেতা মনির হোসেন জনকণ্ঠকে বলেন, ইলিশ মাছের পেটে ডিম ভর্তি। এগুলো সবই মা ইলিশ। এ কারণে মা ইলিশ রক্ষায় সঠিক সময় নির্ধারণ করা জরুরি। তিনি বলেন, মা ইলিশ রক্ষার প্রকল্প গ্রহণ করার আগে জাতীয় সম্পদ এই মাছ হারিয়ে যাচ্ছিল। বর্তমান সরকারের উদ্যোগে আবার ইলিশ ফিরে এসেছে। এই মাছ রক্ষায় আরও গবেষণা ও অনুসন্ধান করে সঠিক সময়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত। এদিকে, বাজারে দেশী জাতের মাছের সরবরাহ বেড়েছে। রুই, কাতলা,মৃগেল, চিংড়িসহ সব ধরনের মাছের সরবরাহ বেড়েছে। নদী, খাল, বিল, হাওড়-বাওড় ও পুকুরে পানি কমতে শুরু করায় দেশী জাতীয় মাছ বেশি ধরা পড়েছে। প্রতিকেজি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৪৫০ টাকায়। এছাড়া চিংড়ি ৬০০-১২শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। ব্রয়লার মুরগির দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ১১৫-১২৫ টাকায়। এছাড়া পাকিস্তানী ককখ্যাত লাল মুরগি প্রতিপিম ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসি ও গরুর মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এছাড়া খুচরা বাজারে ভোজ্যতেল প্রতিলিটার ৭৫-৮২, পাঁচ লিটারের ক্যান ৪৪০-৪৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চিনি ৫৫-৬০, জিরা ৩০০-৪৫০, ধনে ১০০-১৫০, মোটা চাল ৩৪-৪০, সরু চাল ৪৭-৫৫, আটা ২৮-৩৬, মসুর ডাল ৫৫-১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
×