ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গারোদের মতবিনিময়

বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা বেশ সচল রয়েছে ॥ মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী সাংমা

প্রকাশিত: ১২:৪৫, ৮ নভেম্বর ২০১৯

বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা বেশ সচল রয়েছে ॥ মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী সাংমা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সার্বিক উন্নতির ধারাবাহিকতার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশ সফররত ভারতের মেঘালয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড কে সাংমা। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক চাকা বেশ সচল রয়েছে। বাংলাদেশ বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। বাংলাদেশে বিগত কয়েক বছরে শিল্প, বাণিজ্য, সামাজিক, অর্থনৈতিকসহ সবক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। ভারত সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও সামাজিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে জোর দিচ্ছে। বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যসমূহের উন্নয়নে বাংলাদেশের গুরুত্ব অপরিসীম। কেন্দ্রীয় ভারত সরকারের পাশাপাশি মেঘালয় রাজ্য সরকারের সঙ্গেও বাংলাদেশের বহুমাত্রিক বাণিজ্য সম্পর্ক জোরালো করার সুযোগ রয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশান মডেল স্কুল এ্যান্ড কলেজ বাংলাদেশে বসবাসরত গারো সম্প্রদায়ের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কনরাড সাংমা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য জুয়েল আরেং এমপি, বাংলাদেশ খ্রীস্টান এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং, বাংলাদেশ খ্রীস্টান এ্যাসোসিয়েশনের সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাংবাদিক নিখিল মানখিন ও ময়মনসিংহের ধোবাউড়ার উপজেলা চেয়ারম্যান ডেভিড রানা চিসিম প্রমুখ। বাংলাদেশ ও মেঘালয়ের মধ্যে কোন কোন খাতে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি করা যায় তার ওপর আলোকপাত করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সিমেন্টের কারখানা আছে, সিমেন্ট বানাতে যে মূল উপাদান লাগে মেঘালয় রাজ্যে তা প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ও মেঘালয়ের মধ্যে আলোচনা হতে পারে যে, কিভাবে নিজেদের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য করা যায়। পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে মেঘালয়ে আরও পর্যটক কিভাবে বাড়ানো যায় সেগুলো চিন্তাভাবনা করে দেখা যেতে পারে। মঙ্গলবার ভারতের মেঘালয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীসহ ৩০ সদস্যের এই প্রতিনিধিদল চারদিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছেন। মঙ্গলবার বিকেলে গোয়াইনঘাট উপজেলার তামাবিল ইমিগ্রেশন দিয়ে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বাংলাদেশে প্রবেশ করলে তাদের অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার এল কৃষ্ণ মূর্তি। মুখ্যমন্ত্রীসহ প্রতিনিধিদল আজ শুক্রবার বিকোলে ময়মনসিংহের ডালু সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন। মেঘালয়ে বিনিয়োগ প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর ॥ এদিকে বাসস জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পারস্পরিক সুবিধার্থে বাংলাদেশে ভারতীয় রাজ্য মেঘালয়ের বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনার্ড সাংমা সৌজন্য সাক্ষাতে এলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। ‘মেঘালয়ের উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারেন, বিশেষ করে পার্শ্ববর্তী সিলেট অঞ্চলে। যেহেতু সুনামগঞ্জে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে’, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৃহস্পতিবার বিকেলে গণভবনে বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, সুনামগঞ্জে প্রায় দুই হাজার একর জমির ওপর বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে শক্তিশালীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মেঘালয় থেকে নুড়ি (পাথর) আমদানি করতে বাংলাদেশ নৌ-পথকে ব্যবহার করতে পারে যেহেতু নদী পথ ব্যবহার ব্যয় সাশ্রয়ী হয়।’ এ সময় প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
×