ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতিবন্ধী আয়েশার সব সঞ্চয় কেড়ে নেয়া স্বামী কারাগারে

প্রকাশিত: ১০:৩৫, ৮ নভেম্বর ২০১৯

 প্রতিবন্ধী আয়েশার  সব সঞ্চয় কেড়ে নেয়া স্বামী কারাগারে

কোর্ট রিপোর্টার ॥ বাগেরহাট জেলার সদর থানার হাকিমপুর গ্রামের আশরাফ উদ্দিনের মেয়ে প্রতিবন্ধী আয়েশা খাতুনের (৪০) জীবনের সব সঞ্চয় কেড়ে নেয়া স্বামী মোঃ জসিম উদ্দিনকে (৩৫) কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম মোঃ তোফাজ্জল হোসেন জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন। বুধবার সকালে এ আসামিকে রাজধানীর ভাটারা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত ১ অক্টোবর আয়েশা খাতুন যৌতুক আইনে এ মামলা করেন। ওইদিন একই আদালত আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর থেকেই জসিম পলাতক ছিলেন। টাইফয়েড জ¦রে প্রতিবন্ধী হওয়া আয়েশার বয়স যখন দশ বছর- মায়ের হাত ধরে ঢাকা চলে এসে ভিক্ষাবৃত্তি শুরু করে। হাঁটু ও হাতের ওপর ভর করে ভিক্ষাবৃত্তি করায় আয় খারাপ ছিল না। তাই ভিক্ষাবৃত্তি করেই প্রায় দশ লাখ টাকার সঞ্চয় গড়ে তুলেন। জীবনে বিয়ে করবেন বা কেউ তাকে বিয়ে করবে এটা তার ভাবনার মধ্যে ছিল না। একদিন সন্ধ্যার সময় ভিক্ষা করে বাসায় ফেরার সময় গলির মুখে অপরিচিত জসিমের সঙ্গে কথা হয়। এরপর থেকেই জসিম আয়েশার পিছু নেয় এবং নানান প্রলোভনের কথা বলে। জসিমকে আস্তে আস্তে বিশ্বাস করতে শুরু করে আয়েশা। ২০১৪ সালে ১ জানুয়ারি জসিমকে বিয়ে করেন আয়েশা। ব্যবসার প্রলোভনে পড়ে আস্তে আস্তে স্বামীর হাতে দশ লাখ টাকা তুলে দেন আয়েশা। এর মধ্যে ২০১৫ সালের ১৪ জানুয়ারি একটি কন্যা সন্তান হয় তাদের। স্বামী জসিম টাকা নিয়ে ৩টি পুরাতন প্রাইভেটকার কিনে ভাটারা এলাকায় রেন্ট-এ কারে গাড়ির ড্রাইভিং শেখানোর এর ব্যবসা শুরু করে। গোপনে দেশের বাড়ি ভোলায় কিছু জমিও কেনেন। বিয়ের কিছুদিন পরই আয়েশা জানতে পারেন জসিম আগে দুইটি বিয়ে করেছে। বড় বউকে তালাক দিয়ে দিয়েছে। ওই ঘরে একটি মেয়েও আছে। তাতেও আপত্তি ছিল না আয়েশার। কিন্তু প্রতারক জসিম ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে আয়েশা ও তার সন্তানের খোঁজ-খবর নেয়া ছেড়ে দেয়।
×