ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের প্রহরী গুলিবিদ্ধ ॥ ডাকাত ধরতে কপ্টার অভিযান

প্রকাশিত: ১০:৩৫, ৮ নভেম্বর ২০১৯

 টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের  প্রহরী গুলিবিদ্ধ ॥ ডাকাত  ধরতে কপ্টার অভিযান

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ টেকনাফ নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের প্রহরী হামিদকে গুলি করে মারাত্মক আহত করেছে রোহিঙ্গা ডাকাতদল। এর আগে টেকনাফ থানা পুলিশকে সহযোগিতা করায় শামলাপুরের হেডম্যান আবুল কালামের দুই কিশোরী মেয়েকে অপহরণের (তিনদিন পর মুক্ত) পর এবার রোহিঙ্গা যুবককে গুলি করে গুরুতর আহত করল রোহিঙ্গা ডাকাতরা। তার বিরুদ্ধেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতার অভিযোগ আনে রোহিঙ্গা ডাকাতরা। বুধবার রাতে টেকনাফ হ্নীলা নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনাটি ঘটে। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হামিদ নয়াপাড়া নুরালিপাড়া আই-টু ব্লকের মোহাম্মদ হাফেজের ছেলে। সে এই ক্যাম্পে প্রহরীর দায়িত্ব পালন করছিল। এদিকে টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর কাছাকাছি পাহাড়ের গভীর জঙ্গলে গড়ে ওঠা সশস্ত্র রোহিঙ্গা ডাকাতদলের খোঁজে র‌্যাব হেলিকপ্টার দিয়ে অভিযান চালিয়েছে। বুধবার বিকেল তিনটা পর্যন্ত টেকনাফের কয়েকটি দুর্গম পাহাড়ে এ অভিযান চালানো হয়। সূত্র জানায়, রোহিঙ্গা ডাকাতদলের প্রধান আবদুল হাকিম মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান বিদ্রোহী দল ‘আরসা’র সেকেন্ড ইন কমান্ড। তার কাছে রয়েছে ভারি অস্ত্রশস্ত্র, ওয়াকিটকি ও গোলাবারুদ। সাধারণ রোহিঙ্গারা জানায়, এখন কাটা ঘায়ে লবণের ছিটা পড়ছে দেখে ডাকাতরা গোস্সা (রাগ) করেছে। যাকে ইচ্ছে তাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে, চাঁদা আদায় করছে। উখিয়া-টেকনাফের ৩২ ক্যাম্পে রয়েছে রোহিঙ্গা বিদ্রোহী গ্রুপের ক্যাডাররা। যারা প্রত্যাবাসনের পক্ষে কথা বলে, তাদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি, অপহরণ, গুম ও হত্যা করা হচ্ছে। সশস্ত্র রোহিঙ্গা ক্যাডাররা গোয়েন্দাগিরি করে চলেছে প্রায় দেড় বছর ধরে। এমনকি স্থানীয়দের মধ্যে কেউ রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে কাজ করলে তাকেও হত্যা করা হচ্ছে। সম্প্রতি টেকনাফের হ্নীলা যুবলীগ সভাপতি ওমর ফারুক প্রত্যাবাসনে সাধারণ রোহিঙ্গাদের উদ্বুদ্ধ করছে বলে খবর পেয়ে সন্ত্রাসী রোহিঙ্গারা তাকে গুলি করে হত্যা করে। এরপর বাহারছড়ার দুই স্কুলছাত্রীকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে তিনদিন আটকে রাখে রোহিঙ্গা ডাকাতদল। নয়াপাড়া শালবন ক্যাম্পে দিনদুপুরে গুলি চালিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে আসছিল রোহিঙ্গা ডাকাতদলের ক্যাডাররা। তারা দুইবার পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। এ অবস্থা থেকে স্থানীয়দের রক্ষা করতে গত কয়েকদিন ধরে র‌্যাব-১৫ এর সদস্যরা সশস্ত্র ডাকাতদলের ক্যাডারদের ধরতে পাহাড়ে অভিযান অব্যাহত রাখে। ড্রোনের সাহায্যে ডাকাতদলের আস্তানার খবর নেয় র‌্যাব। পরবর্তীতে ডাকাতদের আস্তানার খোঁজে হেলিকপ্টার ব্যবহার করে র‌্যাব সদস্যরা। র‌্যাবকে সহযোগিতা করেছে বলে ওই প্রহরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে রোহিঙ্গা ডাকাতরা তাকে গুলি করে। টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর কাছাকাছি পাহাড়ের গভীর জঙ্গলে গড়ে ওঠা সশস্ত্র রোহিঙ্গা ডাকাতদলের খোঁজে র‌্যাব হেলিকপ্টার দিয়ে অভিযান চালিয়েছে। বুধবার বিকেল তিনটা পর্যন্ত টেকনাফের কয়েকটি দুর্গম পাহাড়ে এ অভিযান চালানো হয়। টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরের কাছের পাহাড়গুলোতে ড্রোন অভিযানের পর এবার হেলিকপ্টার দিয়ে অভিযান চালাল র‌্যাব।
×