ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঢাকার অপরাধ জগত নিয়ন্ত্রণের প্রক্রিয়ার চিত্র মিলেছে

দুবাইয়ে গ্রেফতার জিসানকে ফেরত আনা হচ্ছে

প্রকাশিত: ১০:১৪, ৮ নভেম্বর ২০১৯

 দুবাইয়ে গ্রেফতার জিসানকে ফেরত আনা হচ্ছে

শংকর কুমার দে ॥ রাজধানীর ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর অন্যতম একজন জিসান আহম্মেদ জিসান দুবাই শহরে গ্রেফতার হওয়ার পর তাকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে বন্দী বিনিময় চুক্তি না থাকায় জটিলতা দেখা দেয়। ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া এবং টেন্ডারবাজির ঘটনায় জি কে শামীমকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে বের হয়ে এসেছে শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের গ্রেফতারের প্রসঙ্গ। দুবাই থেকেই রাজধানী ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ড নিয়ন্ত্রণ করত শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান আহমেদ জিসান। ঢাকার গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রে এ খবর জানা গেছে। ঢাকার গোয়েন্দা সংস্থার একজন কর্মকর্তা বলেন, শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান আহম্মেদ জিসান দুবাইয়ে বসে ঢাকার অপরাধ জগত কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করে- সেসব প্রক্রিয়ার একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র এখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে। শুধু তাই নয়, গ্রেফতার হওয়া খালেদ-শামীমের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই জিসানের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। তবে দুবাইয়ে গ্রেফতার হওয়া জিসান নামের ব্যক্তিটি জিসান নয় এমন খবরের ভিত্তিতে আবার ধু¤্রজালের সৃষ্টি হয়। তবে দুবাইয়ে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিটিই যে শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান আহমেদ জিসান এমনটাই পুলিশের দাবি। দীর্ঘ প্রায় ১৩ বছর বিদেশে পলাতক থাকার পর জিসানকে গ্রেফতার করার খবরের নড়ে-চড়ে বসে পুলিশ সদর দফতর। এর পরপরই পুলিশ সদর দফতর জিসানকে ঢাকায় আনার প্রক্রিয়া শুরু করে। পুলিশ সদর দফতরের এক কর্মকর্তা বলেন, শুধু জিসান নয়, অন্য শীর্ষ সন্ত্রাসী এবং তাদের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারেও তৎপরতা শুরু করেছে পুলিশ। দেশের ভেতরে থাকা শীর্ষ ও দাগি সন্ত্রাসী এবং তাদের হুকুম বাস্তবায়নকারীরা গোয়েন্দা নজরদারিতে আছে। দেশের বাইরের পাশাপাশি বিদেশে পালিয়ে যাওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে পুলিশের বিশেষ শাখা কাজ করছে। সর্বশেষ কে কোথায় অবস্থান করছে সেই তথ্যও হালনাগাদ করা হয়েছে। এমন অবস্থায় শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকা ফের ইন্টারপোলে পাঠানো এবং তাদের আইনের আওতায় আনার কাজ শুরু হয়েছে। পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্দী বিনিময় চুক্তি নেই। তবে দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক বিদ্যমান। জিসানকে দ্রুত কিভাবে, কোন পদ্ধতিতে ফিরিয়ে আনা যায়, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। খুব দ্রুতই তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। সরকারীভাবে সম্ভবপর না হলে অন্য বিভিন্ন চ্যানেলেও সে চেষ্টা চালানোর প্রক্রিয়া করা হচ্ছে। পুলিশ সদর দফতরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মহিউল ইসলাম দুবাইয়ে জিসান গ্রেফতার হওয়ার পর বলেছেন, পুলিশ সদর দফতরের এনসিবি’র উদ্যোগে ও এনসিবি দুবাইয়ের সহযোগিতায় জিসানকে গ্রেফতার করা হয়।
×