ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সারের দাম কমানোর চিন্তা করছে সরকার

প্রকাশিত: ০৯:২৭, ৮ নভেম্বর ২০১৯

 সারের দাম কমানোর  চিন্তা করছে সরকার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সারের দাম আরও কমানোর চিন্তা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, সারের দাম কমানোর বিষয়ে একটি প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর দফতরে ও অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে পাঠাব। বিশেষ করে ডিএপি সারের দাম কমানোর চিন্তা করা হচ্ছে। ৭ নবেম্বর দুপুরে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সার বিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শক কমিটির দ্বিতীয় সভা শেষে তিনি এ কথা জানান। কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা সারের দাম আরও কিছু কমাতে পারি। সারে সাবসিডি দিলে সব চাষিই সুফল পাবে। সে দিকটা বিবেচনায় রয়েছে, সম্ভব হলে দ্রুত উচ্চ পর্যায়ে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে। যাতে করে সারের দাম আরও কমানো যায়। কমালে আমাদের কৃষকরা লাভবান হবে। বোরো মৌসুমে সারের অনেক প্রয়োজন হবে, তাই এ সভা করা হয়েছে। সারের দাম জাতীয় পর্যায়ে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। কিন্তু কতটুকু কিনব, কীভাবে কিনব, সরকারী বা বেরকারী পর্যায়ে কোন সংস্থা কতটুকু আনবে, এগুলো আমরা নির্ধারণ করে থাকি। আমরা আজ সব কিছু আলোচনা করেছি, যোগ করেন মন্ত্রী। তিনি জানান, আলোচনায় একটা বিষয় সুস্পষ্ট, আমাদের এ মুহূর্তে সার মজুদ রয়েছে ২৪ লাখ ৩২ হাজার টন। এর মধ্যে টিএসপি ৩ লাখ ৪৯ হাজার টন, ডিএপি ৫ লাখ ৯৭ হাজার টন, এমওপি ৭ লাখ ১৫ হাজার টন ও ইউরিয়া রয়েছে ৭ লাখ ৭১ হাজার টন। আর দেশের বার্ষিক সারের চাহিদা ৫০ লাখ টন। অন্যান্য বছরের তুলনায় সব সারই বেশি আছে। এখন রবি মৌসুম চলছে। রবির চারা রোপণ চলছে। ডিসেম্বরের শেষে বোরো মৌসুম শুরু হবে। মূলত এ সময়ে সারের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয়। সারের কোন সমস্যা হবে না, এটুকু বলতে চাই। যথেষ্ট মজুদ রয়েছে। পাইপ লাইনে যা আছে তা দিয়ে আগামী বোরো মৌসুম পর্যন্ত সার নিয়ে সমস্যা হবে না। কৃষকেরও কোন ভোগান্তি হবে না, যোগ করেন আবদুর রাজ্জাক। তিনি আরও বলেন, আমরা কৃষি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ভর্তুকি দিচ্ছি।
×