ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বেঞ্চ কেলেঙ্কারি তদন্তে বাউফলে দুদকের দুই কর্মকর্তা

প্রকাশিত: ১১:৫৪, ৭ নভেম্বর ২০১৯

বেঞ্চ কেলেঙ্কারি তদন্তে বাউফলে দুদকের দুই কর্মকর্তা

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, পটুয়াখালী, ৬ নবেম্বর ॥ দৈনিক জনকণ্ঠে ২৯ অক্টোবর ‘বালিশ ও পর্দার পর বেঞ্চ কেলেঙ্কারি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রধান কার্যালয়ের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বুধবার দুপুরে বেঞ্চ পরিদর্শনে বাউফলে আসেন দুদকের দুই কর্মকর্তা। তারা হলেন সমন্বিত জেলা কার্যালয়, পটুয়াখালীর উপপরিচালক মোজাম্মেল হক ও সহকারী পরিদর্শক মোঃ ইউনুস । জানা গেছে, প্রকল্প পরিচালক তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তায় শিক্ষায় মানোন্নয়নের লক্ষ্যে নির্বাচিত বেসরকারী কলেজসমূহের উন্নয়ন প্রকল্পের (প্রথম সংশোধিত প্রকল্প) আওতায় গত ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম মোহনা কালুরঘাট বাংলাদেশ বন শিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন ফিডকো ফার্নিচার কমপ্লেক্স থেকে বাউফলের ইঞ্জিনিয়ার ফারুক তালুকদার মহিলা ডিগ্রী কলেজের আইসিটি বিভাগের জন্য ৫৪টি হাই-লো বেঞ্চ পাঠানো হয়। ভাউচারে ওই বেঞ্চের মোট মূল্য লেখা ছিল ৬ লাখ ২৪ হাজার ৬শ’ ১৮ টাকা। ওই হিসাব অনুযায়ী একটি বেঞ্চের মূল্য পড়ে ১১ হাজার ৫শ’ ৬৭ টাকা। রাবার ও গামারি কাঠ দিয়ে বেঞ্চগুলো তৈরি করার কথা থাকলেও তা না করে সরকারী টাকা হরিলুটের উদ্দেশে নিম্নমানের চাম্বুল ও মেহগনি কাঠ দিয়ে বেঞ্চগুলো তৈরি করা হয়। পাঠানো বেঞ্চের মধ্যে অধিকাংশ বেঞ্চই ছিল ঘুণে ধরা, বাঁকা ও তক্তা ফাটা। সরকারীভাবে ওই প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশের আরও বেসরকারী ১ হাজার ৫শ’ কলেজে আইসিটি বিভাগের জন্য ওই বেঞ্চ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। দৈনিক জনকণ্ঠসহ কয়েকটি পত্রিকায় এই সংক্রান্ত খবর প্রকাশের পর টনক নড়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর কর্তৃপক্ষসহ বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনের। এরমধ্যে কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেয়ে দুদকের ওই দুই কর্মকর্তা প্রাথমিকভাবে খোঁজ খবর নিতে ওই দিন দুপুরে ইঞ্জিনিয়ার ফারুক তালুকদার মহিলা ডিগ্রী কলেজে আসেন।
×