স্টাফ রিপোর্টার ॥ এবার আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপ যে কোন সময় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলেই এটির নাম হবে ‘বুলবুল’। গভীর নিম্নচাপের অভিমুখ রয়েছে বাংলাদেশের উপকূল হয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার দিকে। এর প্রভাবে বুধবার দুপুর থেকে রাজধানীসহ দেশের আকাশ মেঘলা রয়েছে। তারা জানিয়েছে, গভীর নিম্নচাপটি বুধবার রাতের মধ্যেই প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে বাংলাদেশের পুরো উপকূল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠার আশঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, অবস্থিত গভীর নিম্নচাপটি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়ার আশঙ্কা বেশি রয়েছে। জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান জনকণ্ঠকে বলেন, পর্যবেক্ষণে এর গতিপথ পশ্চিম -উত্তর, পশ্চিম দিকে রয়েছে। এরপরে এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এটি সিভিয়র সাইক্লোন স্টর্ম বা প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়ার আশঙ্কা বেশি। এর প্রভাবে আমাদের পুরো উপকূল ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। ১১ নবেম্বর নাগাদ এটি উপকূলে আঘাত হানতে পারে। আজ বৃহস্পতিবার ঘূর্ণিঝড়টি সম্পর্কে স্পষ্ট বার্তা দেয়া সম্ভব হবে। এটি এখনও অনেক দূরে অবস্থান করায় এর প্রভাব বিবেচনা করে আপাতত ১ নম্বর দূরবর্তী সঙ্কেত দেয়া হয়েছে। এদিকে শুধু বঙ্গোপসাগরেই নয়। একই সময়ে আরব সাগরেও দু’টি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সাগর এলাকাজুড়ে ঘূর্ণিঝড়ের দামামা বাজছে। তবে আরব সাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বাংলাদেশের উপকূলে পড়বে না। এর প্রভাবে গুজরাট উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। যদিও আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন সাগরের এই সময়ে এত অধিক ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির রেকর্ড খুবই কম রয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের বিশেষ বার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি স্থির থেকে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি বুধবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ- দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৯৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে এবং গভীর সাগরে বিচরণ না করার জন্য বলা হয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: