ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইসমাইল মাহমুদ

শিশুশ্রম প্রতিরোধ

প্রকাশিত: ০৯:২৯, ৭ নভেম্বর ২০১৯

 শিশুশ্রম প্রতিরোধ

একটি দেশ জাতি তখনই উন্নতির সর্বোচ্চ শিখরে আরোহন করতে পারে যখন ওই দেশের প্রতিটি শিশু পরিপূর্ণ সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে বেড়ে ওঠে। শিশুদের অধিকার সুরক্ষা ও শিশুশ্রম প্রতিরোধের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ২০০২ সাল থেকে প্রতিবছর ১২ জুন বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস পালন করে। প্রতিবছর এ দিনে আমরা শিশুদের অধিকার নিয়ে বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়ে নিজেদের দায়িত্ব শেষ করি। বছরের বাকি ৩৬৪ দিন শিশুশ্রমের মতো বিষয় নিয়ে আমরা নিশ্চুপ। আন্তর্জাতিক শিশুশ্রম সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বে প্রায় ১৬ কোটি ৮০ লাখ শিশু নানাভাবে শ্রম বিক্রি করছে। তাদের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৮ কোটি শিশু ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় নিয়োজিত। অপরদিকে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান মতে, এদেশে প্রায় ৩৪ লাখ ৫০ হাজার শিশু নানারকম শ্রমে নিয়োজিত রয়েছে (২০১৩ সালের জাতীয় শিশুশ্রম সমীক্ষা)। এর মধ্যে প্রায় ১৭ লাখ শিশুর কাজ শিশুশ্রমের আওতায় পড়ে। বাকি শিশুদের শ্রম অনুমোদনযোগ্য। দেশের ১৩ শতাংশ শিশু নানারকম শ্রমের সঙ্গে জড়িত। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশ সরকার শ্রম আইনের সংশোধন করে। এ আইনে শিশুদের শ্রমিক হিসেবে নিয়োজিত করাকে নিষেধ করা হয়েছে। সংশোধিত আইনে ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী কিশোররা হালকা কাজ করতে পারবে। তবে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী কোন শিশু যদি কোন ধরনের শ্রম বিক্রি করে, তবে সেটা শিশুশ্রম হিসেবে গণ্য হবে। ২০০৩ সালের জাতীয় শিশুশ্রম সমীক্ষায় দেখা গেছে তখন প্রায় ৭৪ লাখ কর্মরত শিশু ছিল। তাদের মধ্যে ৩১ লাখ ৭৯ হাজার শিশুর কাজ শিশুশ্রমের আওতায় ছিল। এক দশকের ব্যবধানে ২০১৩ সালের জাতীয় শিশুশ্রম সমীক্ষায় দেখা গেছে বাংলাদেশে প্রায় ৩৪ লাখ ৫০ হাজার শিশু নানারকম শ্রমে নিয়োজিত রয়েছে। অপরদিকে গত বছরের সমীক্ষায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে ১৮টি খাতে ১৬ লাখ ৯৮ হাজার ৮৯৪ জন শিশু শিশুশ্রমে নিয়োজিত। তাদের মধ্যে ৭ লাখ ৪৫ হাজার ৬৯০ জন মেয়ে শিশু। শিশুশ্রম বেশি দেখা গেছে কৃষিক্ষেত্র ও কল কারখানায়। বর্তমানে শিশুশ্রমে নিয়োজিত ১০ লাখ ৭০ হাজার শিশু রয়েছে যারা এক সময় স্কুলে গেলেও এখন আর স্কুলে যায় না। [তথ্যসূত্র : শিশুশ্রম সমীক্ষা] স্টেশন রোড, শ্রীমঙ্গল থেকে
×