স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও প্রাইভেট ফাইন্যান্স এডভাইজরি নেটওয়ার্কের (পিএফএএন) যৌথ আয়োজনে ‘ফাইন্যান্সিং ক্লাইমেট রেসপন্সিভ বিজনেস’ শীর্ষক নেটওয়ার্কিং ইভেন্ট বুধবার সকালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়। চেম্বার প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে নেটওয়ার্কিং ইভেন্টে বক্তব্য রাখেন এশিয়া রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর পিটার দো পন্ট, কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর শ্যামল বর্মন ও ক্লিন এনার্জি বিশেষজ্ঞ উৎপল ভট্টাচার্য্য। অন্যদের মধ্যে চেম্বার পরিচালক শাহজাদা মোঃ ফৌজুল আলেফ খান, চিটাগাং ক্লাব লিমিটেডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মিয়া আবদুর রহিম, বিকেএমইএ’র প্রাক্তন পরিচালক শওকত ওসমান প্রমূখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
চেম্বার সূত্র জানায়, জাতিসংঘের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইউএনআইডিও) এবং রিনিউএ্যাবল এনার্জি এ্যান্ড এনার্জি এফিশিয়ান্সি প্রোগ্রামের সহায়তায় জলবায়ুর প্রতি সংবেদনশীল ব্যবসা পরিচালনা ও সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে অর্থায়নে সহযোগিতা করে থাকে পিএফএএন। চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের এই কার্যক্রম সম্পর্কে জানানোর লক্ষ্যে উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতি চেম্বার প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম বলেন, বর্তমান বিশ্বে পৃথিবীর অস্তিত্ব রক্ষায় সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন অন্যতম। আমরা মানবজাতি নিজেরাই এই পরিবর্তনের জন্য দায়ী। পৃথিবীর অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে শিল্পায়নের কারণে এবং মানুষের অসচেতনতার কারণে পরিবেশ দূষণ দ্রুত গতিতে বাড়ছে। ফলশ্রুতিতে এ শতাব্দী শেষে পৃথিবীর তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রী পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে। একইসঙ্গে সাগরের উচ্চতা দশমিক ১৮ থেকে দশমিক ৫৯ মিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে। এ প্রেক্ষাপটে প্রাইভেট ফাইন্যান্স এডভাইজরি নেটওয়ার্ক পরিবেশবান্ধব কার্যক্রম উৎসাহিত করার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের কুফল থেকে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে মানবজাতিকে রক্ষা করার লক্ষ্যে কাজ করছে। চেম্বার সভাপতি এই অর্থায়ন পদ্ধতি সহজীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন, যাতে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা এই কর্মসূচীর সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন।
এশিয়া রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর পিটার দো পন্ট বলেন, পিএফএএন প্রায় ১ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার অর্থ সংগ্রহ করে এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকায় প্রায় ১০১টি ক্লিন এনার্জি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, যার মাধ্যমে বছরে ৩ দশমিক ৩ মিলিয়ন টন কার্বনড্রাইঅক্সাইড নিঃসরণ থেকে পৃথিবীকে রক্ষা পাচ্ছে। বাংলাদেশে কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াকরণ, মৎস্য, পশুপালন, বনায়ন, স্বাস্থ্য, এনার্জি, পানি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পর্যটন, রিসাইক্লিন ইত্যাদি খাতে যারা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে কম পরিবেশ দূষণ করছেন তাদের অর্থায়ন করা এ সংগঠনের প্রধান কাজ।
