ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এনসিএলে খুলনার নাটকীয় জয়

প্রকাশিত: ১১:৪৯, ৬ নভেম্বর ২০১৯

এনসিএলে খুলনার নাটকীয় জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ওয়ালটন ২১তম জাতীয় ক্রিকেট লীগের (এনসিএল) চতুর্থ রাউন্ডে তিনদিনেই জয় তুলে নিয়েছিল দ্বিতীয় স্তরের দুই দল ঢাকা মেট্রোপলিস ও সিলেট বিভাগ। চতুর্থ ও শেষদিনে প্রথম স্তরের দুই ম্যাচেও ফলাফল এসেছে। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উত্তেজনাপূর্ণ লড়াইয়ের পর ১ উইকেটে রংপুর বিভাগকে হারিয়েছে খুলনা বিভাগ। আর কক্সবাজার একাডেমি মাঠে ঢাকা বিভাগের কাছে শেষ পর্যন্ত ইনিংস ও ৪ রানের লজ্জাজনক পরাজয়বরণ করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী বিভাগ। চতুর্থ রাউন্ড শেষে প্রথম স্তরে ২৬.৪৬ পয়েন্ট নিয়ে খুলনা এবং দ্বিতীয় স্তরে ২২.৫৪ পয়েন্ট নিয়ে সিলেট শীর্ষে রয়েছে। খুলনা-রংপুর ম্যাচ (মিরপুর) ॥ ২০৩ রানের জয়ের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয়দিন শেষে ৫ উইকেটে ১৩০ রান তুলে অনেকখানিই এগিয়ে গিয়েছিল খুলনা। কিন্তু চতুর্থদিন জয়ের জন্য আর মাত্র ৭৩ রান তুলতে গিয়ে গলদঘর্ম হয়েছে তারা। মূলত রংপুরের বাঁহাতি স্পিনার সোহরাওয়ার্দী শুভর ঘূর্ণিতে দিশেহারা হয়ে ১৮৭ রানেই ৯ উইকেট হারিয়ে পরাজয়ের শঙ্কায় পড়ে খুলনা। মেহেদী হাসান ও জিয়াউর রহমান অর্ধশতক হাঁকিয়ে সাজঘরে ফেরেন সোহরাওয়ার্দীর বলে। মেহেদী ৮৯ বলে ৫ চার, ১ ছক্কায় ৫৬ ও জিয়া ৯৩ বলে ৩ চার, ৩ ছক্কায় ৫৩ রান করেন। শেষ পর্যন্ত মইনুল ইসলাম ও আব্দুল হালিমের দৃঢ়তায় জয় পায় খুলনা। তারা ৪৭ বল মোকাবেলা করে অবিচ্ছিন্ন থেকে প্রয়োজনীয় ১৬ রান এনে দেন। ফলে সোহরাওয়ার্দী ৬ উইকেট শিকার করলেও ৯ উইকেটে ২০৩ রান তুলে দ্বিতীয় জয় পায় খুলনা। উঠে যায় শীর্ষে। আর দ্বিতীয় হারে মাত্র ৮.২২ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে রংপুর। স্কোর ॥ রংপুর প্রথম ইনিংস- ২২৪/১০; ৮১.১ ওভার (নাসির ৪০, সোহরাওয়ার্দী ৩৪; রাজ্জাক ৭/৬৯, মেহেদী ২/৫৪) ও দ্বিতীয় ইনিংস- ২১১/১০; ৭৬.৫ ওভার (নাসির ৭৬, আরিফুল ৫৮; রাজ্জাক ৫/৭১, মেহেদী ৩/৩০)। খুলনা প্রথম ইনিংস- ২৩৩/১০; ৭১ ওভার (মেহেদী ১১৯, রুবেল ৩৬; রবিউল ৫/৪১) ও দ্বিতীয় ইনিংস- ২০৩/৯; ৬২.৪ ওভার (মেহেদী ৫৬, জিয়াউর ৫৩, বিজয় ৩৪, মইনুল ১৬*; সোহরাওয়ার্দী ৬/৫৫, মাহমুদুল ২/১৩)। ফল ॥ খুলনা বিভাগ ১ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ মেহেদী হাসান (খুলনা বিভাগ)। ঢাকা-রাজশাহী ম্যাচ (কক্সবাজার একাডেমি) ॥ ঢাকার ৭ উইকেটে ৪৭৫ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণার পর রাজশাহী প্রথম ইনিংসে ২৩০ রানেই গুটিয়ে গিয়ে বিপদে পড়েছিল। ফলোঅনে পড়ার পর তৃতীয়দিন শেষে ৩ উইকেটে ৭৭ রান তুলেছিল তারা দ্বিতীয় ইনিংসে। সেই ফলোঅনের লজ্জা এড়াতে পারেনি তারা, চতুর্থদিন গুটিয়ে গেছে ২৪১ রানে। ব্যাট হাতে সুবিধা করতে না পারলেও টেস্ট দলে ডাক পাওয়া সাইফ হাসান ৩ উইকেট নিয়েছেন। নাজমুল হোসেন শান্তর (৫১) পর অর্ধশতক পেয়েছেন সাব্বির রহমানও। তিনি ১০২ বলে ৩ চার, ৩ ছক্কায় ৫৮ রান করেন। কিন্তু ইনিংস ও ৪ রানে পরাজয়ের লজ্জা এড়াতে পারেনি গতবারের চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী। স্কোর ॥ রাজশাহী প্রথম ইনিংস- ২৩০/১০; ৮৬.১ ওভার (শান্ত ৫৬, মুক্তার ৫৬; সুমন ৩/৪৩, শুভাগত ৩/৫৭) ও দ্বিতীয় ইনিংস- ২৪১/১০; ৯৭.২ ওভার (সাব্বির ৫৮, শান্ত ৫১, জুনায়েদ ৪১; সাইফ ৩/১৫, নাজমুল ৩/৫৮)। ঢাকা প্রথম ইনিংস- ৪৭৫/৭ ডিক্লে.; ১৩৬.১ ওভার (শুভাগত ১০৪, তাইবুর ১০২, নাদিফ ১০১*, সুমন ৫০*; সানজামুল ৪/১৬২, ফরহাদ ২/৪১)। ফল ॥ ঢাকা বিভাগ ইনিংস ও ৪ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ শুভাগত হোম (ঢাকা বিভাগ)।
×