ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাগতিক বাহরাইনের মুখোমুখি আজ বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১১:৪৮, ৬ নভেম্বর ২০১৯

স্বাগতিক বাহরাইনের মুখোমুখি আজ বাংলাদেশ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এর আগে ছয়বার অংশ নিয়ে প্রতিবারই বিদায় নিতে হয়েছে গ্রুপপর্ব থেকেই। ২১ ম্যাচ খেলে জয় ছিল মাত্র একটি। ষষ্ঠ আসরেও অংশ নেয়া হয়েছিল সেই ১৭ বছর আগে। এবারের লক্ষ্য দুটি। জয়ের সংখ্যা বাড়ানো এবং বাছাইপর্ব পেরিয়ে মূলপর্বে জায়গা করে নেয়া। বলা হচ্ছে বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৯ জাতীয় ফুটবল দলের কথা। তারা এএফসি অনুর্ধ-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বের বাধা সর্বশেষ অতিক্রম করেছিল ২০০২ সালে। সেই ব্যর্থতা ভুলে এবার চূড়ান্তপর্বে ওঠার লক্ষ্য নিয়ে তারা গ্রুপ ‘ই’তে আজ বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় মাঠে নামছে লাল-সবুজরা। সদ্য সাফ অনুর্ধ-১৮ আসরে রানার্সআপ হওয়া বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক বাহরাইন। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে মানামার খলিফা স্পোর্টস স্টেডিয়ামে। একই ভেন্যুতে এর আগে সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় জর্ডান খেলবে ভুটানের বিপক্ষে। এই আসরে অংশ নিতে বাংলাদেশ দল গত সোমবার সকালে বাহরাইনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে বাছাইয়ের ‘ই’ গ্রুপে আছে বাংলাদেশ, জর্ডান, ভুটান ও স্বাগতিক বাহরাইন। আগামী ৮ নবেম্বর জর্ডান ও ১০ নবেম্বর ভুটানের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। বাছাইপর্ব হচ্ছে ১১ গ্রুপে। প্রতিটি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন এবং সেরা ৪ রানার্সআপ দলের সঙ্গে স্বাগতিক উজবেকিস্তানকে নিয়ে আগামী বছর অনুষ্ঠিত হবে চূড়ান্তপর্ব। এবার চূড়ান্তপর্বে খেলার স্বপ্ন দেখছেন বাংলাদেশ দলের ব্রিটিশ কোচ এ্যান্ড্রু পিটার টার্নার। তিন মাস ধরে বাফুফে একাডেমিতে তার অধীনে অনুশীলন করছে এই যুব দল। সাফের পর গত অক্টোবরে কাতারে খেলেছে তিন জাতির (বাকি দুই দল কুয়েত ও কাতার) আমন্ত্রণমূলক টুর্নামেন্ট। সেখানে সব ম্যাচ হারলেও দলটি নিয়ে প্রত্যয়ী কোচ পিটার। এই দলে আছেন ইয়াসিন আরাফাত, যিনি আবার জাতীয় সিনিয়র দলেও খেলেন। বাংলাদেশ দল আশা করে অন্তত সেরা রানার্সআপ দলের একটা হয়ে চূড়ান্তপর্বে উঠতে পারবে তারা। গ্রুপের অন্যসব দলকেই কঠিন প্রতিপক্ষ মানলেও বাছাইপর্বে রানার্সআপ হবার লক্ষ্যটাকে মোটেও অযৌক্তিক মনে করছেন না বাংলাদেশের কোচ, ‘কাতারে দু’টি ম্যাচে আমরা সুযোগ পেয়ে গোল করতে পারিনি। প্রতিপক্ষ সুযোগ কাজে লাগিয়ে গোল পেয়েছে। এখানেই শুধু পার্থক্য ছিল দুই দলের। তবে এই ম্যাচে সেই ভুলগুলো করতে চাই না। দলকে সেভাবেই উজ্জীবিত করছি। অনুশীলনেও ভুুলত্রুটি নিয়ে কাজ হয়েছে।’ এএফসি অনুর্ধ-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্ব উৎরে একবারই মূলপর্বে খেলেছে বাংলাদেশ দল। সেটি ছিল ২০০২ সালে। মূলপর্বে ‘বি’ গ্রুপে জাপান, সৌদি আরব ও ভারতের মতো প্রতিপক্ষের সঙ্গে পেরে ওঠেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এরপর থেকে গ্রুপপর্বই কঠিন হয়ে পড়ে বাংলাদেশের যুবাদের জন্য। বিগত তিন আসরেও বাংলাদেশের মূলপর্বে নাম লেখানোর মিশনটা শেষ হয়েছে বাছাইপর্বেই। তবে এবার সদ্য সাফ অনুর্ধ-১৮ চ্যাম্পিয়নশিপের রানার্সআপ হওয়া দলটির সব ফুটবলারই আছেন এএফসি বাছাইয়ের দলে। তাই বাংলাদেশ দলের প্রত্যাশা আবারও পরবর্তী রাউন্ডে নাম লিখিয়ে নেয়ার। এই আসরে বাহরাইনের সঙ্গে এর আগে দুটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। ১৯৭৫ আসরে থাইল্যান্ডে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে বাহরাইনের কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। এরপর ১৯৭৮ আসরে ঢাকায় ১-১ গোলে ড্র করে বাহরাইনকে রুখে দিয়েছিল বাংলাদেশ। ১৯৭৫, ১৯৭৭, ১৯৭৮, ১৯৮০, ১৯৯৬ এবং ২০০২ সালে এই আসরে খেলেছিল বাংলাদেশ। এই ছয় আসরে তারা সর্বমোট খেলেছে ২১ ম্যাচ। জিতেছে ১টিতে (একমাত্র জয়টি ১-০ গোলে, নর্থ ইয়েমেনের বিরুদ্ধে)। হেরেছে ১৫টিতে। ড্র করেছে ৫টিতে। ১১ গোল করার পাশাপাশি গোল হজম করেছে ৫৪টি। এখন দেখার বিষয়, আজকের ম্যাচে বাহরাইনের বিরুদ্ধে প্রথম জয় এবং সার্বিকভাবে নিজেদের দ্বিতীয় জয়টি কুড়িয়ে নিতে পারে কি না বাংলাদেশ দল।
×