স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রবাসীরা সংশ্লিষ্ট দেশে অবস্থান করেই অনলাইনের মাধমে ভোটার হওয়ার আবেদন করতে পারবেন। এই আবেদন যাচাই-বাছাই করে দূতাবাসের মাধ্যমে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়া হবে। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রথমেই ভোটার হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশীরা।
মঙ্গলবার থেকেই অনলাইনে প্রবাসীদের ভোটার হওয়ার এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে প্রবাসীদের ভোটার করার প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ মালয়েশিয়া এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা আগারগাঁও নির্বাচন ভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে উদ্বোধনের পর থেকেই প্রবাসীরা অনলাইনে (ংবারপবং.হরফ.িমড়া.নফ) সাইটে গিয়ে ভোটার হওয়ার আবেদন করতে পারবেন। মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসীরা প্রথম এই সুযোগ পেলেও পর্যায়ক্রমে সৌদি আরব, দুবাই, মালদ্বীপ, সিঙ্গাপুর ও যুক্তরাজ্যের প্রবাসীরাও পাবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদ সিইসির উদ্দেশে বলেন, প্রবাসে, বিশেষ করে মালয়েশিয়ায় অনেক বাংলাদেশীর যথাযথ কাগজপত্র নেই। তারা বিপদে আছেন। আপনারা তাদের ভোটার করার ক্ষেত্রে কাগজপত্রের বিষয়ে একটু নমনীয় থাকবেন। ভোটাররা যাতে প্রবাসে থেকে ভোট দিতে পারেন, সে ব্যবস্থাও করবেন। এনআইডি পেলে কী লাভ, তা সবার জানা। ভোট দেয়া নাগরিকের অধিকার। ভোটার হতে পারলে প্রবাসীরা ভোট দিতে পারবেন, তাদের অধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
প্রবাসীরা ভোটার হতে যা প্রয়োজন
ইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে প্রবাসীদের ভোটার হতে অনলাইনে আটটি তথ্য দিতে হবে। সেগুলো হলোÑ বাবা-মার নাম ইংরেজী ও বাংলায়, বসবাসরত দেশের নাম, জিপকোড, বাসা ও হোল্ডিং নম্বর, স্টেট বা প্রদেশ, ফোন নম্বর, শনাক্তকারী ব্যক্তির নাম প্রভৃতি। এছাড়াও এনআইডি মহাপরিচালক বলেন, মোট প্রবাসীদের ভোটার হওয়ার জন্য ছয় ডকুমেন্ট দিতে হবে। এগুলো হলোÑ পাসপোর্টের ফটোকপি, বিদেশী পাসপোর্টধারী হলে দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদের ফটোকপি বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতিপত্র, বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে শনাক্তকারী কোন প্রবাসী বাংলাদেশী পাসপোর্টের কপি, বাংলাদেশে বসবাসকারী রক্তের সম্পর্কের কোন আত্মীয়ের নাম, মোবাইল নম্বর, এনআইডি নম্বরসহ অঙ্গীকারনামা, বাংলাদেশে কোথাও ভোটার হননি মর্মে লিখিত অঙ্গীকারনামা ও সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের প্রত্যয়নপত্র।