ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাউফলে মাদ্রাসা কাম ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে অনিয়ম

প্রকাশিত: ০৯:১০, ৬ নভেম্বর ২০১৯

বাউফলে মাদ্রাসা কাম ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে অনিয়ম

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, পটুয়াখালী, ৫ নবেম্বর ॥ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের অধীনে ২ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে কেশবপুর ইউনিয়নের তালতলি ভড়িপাশা ইসমাইলিয়া দাখিল মাদ্রাসা ও ঘূর্ণিঝড় বহুমুখী আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ভবনের তিনতলায় উঠার জন্য র‌্যাম সিঁড়ি নির্মাণ করতে দুটি আরসিসি কলাম কেটে রড বের করা হয়েছে। অথচ ওই আরসিসি কলাম ঢালাইর আগেই র‌্যাম সিঁড়ির রড বেঁধে ঢালাই দেয়ার কথা ছিল। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালীর আল আমিন সিকদার নামের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এই ভবনের নির্মাণ কাজ করছেন। গত বছর নবেম্বর মাসে ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ওই সময় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ আনা হলেও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআই) রাজিব বিশ্বাস তা আমলে নেননি। এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজনের চাপে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রায় ৯ মাস কাজ বন্ধ রাখে। এরপর চলতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে পুনরায় ওই ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করে। ওই মাদ্রাসার সুপার আলতাফ হোসেন অভিযোগ করেন, তিনতলা বিশিষ্ট এই ভবনের র‌্যাম সিঁড়ি নির্মাণ করতে দুটি আরসিসি কলামের মাঝ বরাবর কেটে রড বের করা হয়েছে। যার ফলে ওই কলাম দুটি দুর্বল হয়ে গেছে। এর মধ্যে জোড়াতালি দিয়ে র‌্যাম সিঁড়ি নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে। নির্মাণ কাজ চলাকালীন সংশ্লিষ্ট দফতরের কোন লোকজন থাকত না। জাকির হোসেন নামের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নিযুক্ত একজন ম্যানেজার কাজটি দেখাশুনা করতেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের এক প্রকৌশলী জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অনভিজ্ঞতার কারণেই এমনটি হয়েছে। নিয়মানুযায়ী আরসিসি কলাম ঢালাই করার সময়ই র‌্যাম সিঁড়ির রড বাঁধা উচিত ছিল। এখন কলাম কেটে র‌্যাম সিঁড়ির রড বাঁধা ঠিক হবে না। উচিত হবে পুরো কলাম দুটি ভেঙ্গে আবার নতুন করে করা। তা না হলে এক সময়ে পুরো ভবনটিই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়বে। এ ব্যাপারে ওই মাদ্রাসার সভাপতি ফেরদৌউস ভুট্রো বলেন, শুরু থেকেই আমরা নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ করে এলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন কর্ণপাত করেননি। পরে নিরুপায় হয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে একটি লিখিত অভিযোগ করেছি।
×