ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

যশোরে দোকানে দোকানে শীত পোশাকের পসরা

শীতের আগমনী বার্তা

প্রকাশিত: ০৯:০৯, ৬ নভেম্বর ২০১৯

শীতের আগমনী বার্তা

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ ঋতুচক্রে এখন চলছে হেমন্তকাল। ক্যালেন্ডারের পাতায় আজ কার্তিক মাসের ২০ তারিখ। সামনে পড়ে আছে পুরো অগ্রহায়ণ মাস। এরপর আসবে শীতকাল (পৌষ ও মাঘ)। কিন্তু শীতকালের আগেই প্রকৃতিতে শীত শীত ভাব। দিনে ফ্যান-এসি চললেও শেষ রাতে শরীরে জড়াতে হচ্ছে পাতলা কাঁথা। তাই পরিবেশ বুঝে যশোরের গার্মেন্টস ও পুরনো কাপড়ের ব্যবসায়ীরা নিচ্ছেন প্রস্তুতি। দোকানে তারা গরম কাপড় তুলতে শুরু করেছেন। শহরের কালেক্টরেট মার্কেট ও নিক্সন মার্কেটে গেলে এমন চিত্র চোখে পড়বে। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের কারণে যশোর-খুলনা অঞ্চলে গত ২৩ থেকে ২৫ অক্টোবর বৃষ্টিপাত হয়। মূলত এ বৃষ্টিপাতের পর থেকেই বাতাসে মেলে হিমেল অনুভূতি। হেমন্তের রাতে দেখা মেলে কুয়াশা। কুয়াশার আঁচল সরিয়ে শিশির বিন্দু মুক্ত দানার মতো দ্যুতি ছড়াতে শুরু করে ভোরের নরম রোদে। ঠিক এ সময় থেকেই ভোরে গায়ে কাঁথা ছাড়া যেন ঘুম পূর্ণ হচ্ছে না। এমন আবহাওয়ায় বসে নেই যশোরের গার্মেন্টস ও পুরনো কাপড়ের ব্যবসায়ীরা। তারা দোকানে তুলছেন গরম কাপড় অর্থাৎ শীতের পোশাক। সোমবার শহরের টাউন হল মাঠে গিয়ে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা শীতের পোশাকের বড় বড় বস্তা খুলছেন। কেউ কেউ বস্তা থেকে পোশাক নিয়ে সাজিয়ে রাখছেন দোকানে। কথা হয় ব্যবসায়ী আতিকুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, শীতের পোশাকের বড় বড় বেইল চলে এসেছে যশোরের বাজারে। তিনি স্থানীয় মহাজনদের কাছ থেকে ৫টা বেইল কিনেছেন। ধারাবাহিকভাবে আরও কিনবেন। এদিকে শীত শীত অনুভূত হওয়ায় এরই মধ্যে অনেকেই আলমারি থেকে শীতবস্ত্র বের করে রোদে মেলে দিচ্ছেন। গায়েও চাপিয়েছেন কেউ কেউ। বিশেষ করে ছোটদের শীত নিবারণে গরম কাপড় ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছে। শহরের মাইকপট্টি এলাকার বাসিন্দা শারমিন আক্তার শিলা বলেন, এখন যে ঠা-া পড়ছে সেটা বড়দের পক্ষে সহনীয়। তবে শিশুদের জন্য অসুবিধা। এজন্য তিনি শিশুর জন্য হাতা লম্বা ও পায়ের পাজামা ক্রয় করছেন।
×