ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নেতৃত্ব গঠনে আদর্শ ও গঠনতন্ত্রের চর্চা

প্রকাশিত: ০৯:০৩, ৬ নভেম্বর ২০১৯

নেতৃত্ব গঠনে আদর্শ ও গঠনতন্ত্রের চর্চা

বাংলাদেশের প্রশাসনসহ সকল পর্যায়ে স্বচ্ছতা আনয়নসহ আওয়ামী লীগ, অঙ্গ সংগঠনের মধ্যে যোগ্য ও সৎ নেতৃত্ব সৃষ্টি করার লক্ষ্যে দেশব্যাপী শুদ্ধি অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে সরকারের উচ্চপর্যায়ের নীতিনির্ধারকদের কথাবার্তায় ধারণা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময় বক্তৃতা বিবৃতিতে সন্ত্রাস, দুর্নীতিবাজ ও মাদক ব্যবসায়ী যে দলেরই হোক না কেন, তাকে ছাড় দেয়া হবে না, দুর্নীতিবাজদের কোন দল নেই বলে উল্লেখ করেছেন। শুদ্ধি অভিযানের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে ছাত্রলীগ, আওয়ামী যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। অনেকের ব্যাংক এ্যাকাউন্ট জব্দ ও দেশের বাইরে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কতিপয় নেতা কর্তৃক অবৈধ কেসিনো ব্যবসা বা জুয়া খেলা, টেন্ডারবাজি করে শত শত কোটি টাকা বানানো এক নজিরবিহীন ঘটনার জন্ম দিয়েছে, যা দেশবাসীকে নাড়া দিয়েছে। দেশের একটি টেলিভিশন চ্যানেলের সংবাদ থেকে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া যুবলীগ জেলা কমিটিকে অনুমোদন দেয়ার জন্য যুবলীগের কেন্দ্রীয় প্রভাবশালী এক নেতা তাদের কাছ থেকে আড়াই কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন। যদি এই সংবাদটি সত্য হয় তা হলে প্রশ্ন থেকে যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটি কোন অবৈধ পন্থায় চাঁদাবাজি করে এই টাকা সংগ্রহ করে দিয়েছে এবং কেন কিসের আশায় এত টাকা ঘুষ দিল। এই সংবাদের ওপর ভিত্তি করে ধরে নেয়া যায় যে, বাংলাদেশের সকল জেলা থেকেই কি এই রকম চাঁদাবাজি করে দলের কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে? এই পরিস্থিতিতে যুবলীগের পরীক্ষিত এবং সৎ নেতৃবৃন্দকে নিয়ে গঠিত নতুন কেন্দ্রীয় কমিটিকে দায়িত্ব দিয়ে সকল জেলা কমিটি সম্পূর্ণ ভেঙ্গে দিয়ে, নতুন এবং শিক্ষিত যুবকদের নিয়ে যুবলীগকে আগাছামুক্ত করে পুনর্গঠিত করা ছাড়া কোন বিকল্প নেই। পুরনো কমিটির কাউকেই নতুন কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত না করাই হবে যুক্তিসঙ্গত। কারণ তারা দলের দীর্ঘদিনের সংগ্রামের ইতিহাসকে ম্লান করে দিয়ে দলের ইমেজ নষ্ট করেছেন। তাদের কোন আদর্শ নেই। তাদের কেউ দলের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনার যোগ্যতা রাখেন না। পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে দলের মধ্যে যেন। কেউ বিভ্রান্তি সৃষ্টি না করতে পারে। আদর্শ বিচ্যুত এবং জনগণকে ধোঁকা দেয়া নেতৃবৃন্দের স্থান হবে ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে। অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকায় যুবলীগ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ দলীয় ও সাংগঠনিক কার্যক্রমে মোটে সময় দেননি, যা নিশ্চিত করে বলা যায়। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি তার অঙ্গ সংগঠন যুবলীগের কৃতকর্মের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হলো, যা পুনরদ্ধারে অনেক সময় লাগবে। একটি দলে যখন দলীয় আদর্শ, গঠনতন্ত্র, সর্বোপরি দেশের সংবিধানে উল্লিখিত মূল নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালিত হয় না, তখন দলের সদস্যদের নৈতিক স্খলন ঘটে। যুবলীগের নেতৃবৃন্দের দুর্নীতিতে জড়িত হওয়ার অনেক কারণ বিদ্যমান। তার মধ্যে অন্যতম কারণগুলো ছিল গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সময় মতো সম্মেলন না হওয়া, দীর্ঘদিন একই কমিটি কর্তৃক দল পরিচালনা করা, গঠনতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা না থাকা, গঠনতন্ত্র নিয়ে চর্চা না করা, দলীয় কার্যক্রম চালানোর সঠিক পরিকল্পনা না থাকা, দল পরিচালনা ও বিভিন্ন জাতীয় দিবসসহ অন্যান্য সাংগঠনিক কাজের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান না থাকা এবং সর্বোপরি সঠিক দিকনির্দেশনা না থাকা। প্রতি মাসে যুবলীগের কার্যক্রম চালাতে লাখ লাখ টাকার প্রয়োজন হয়। এই টাকা কিভাবে সংগ্রহ করা হবে তা নিয়ে দল থেকেও কোন নির্দেশনা বা পরামর্শ দেয়া হয়নি। যার ফলে চাঁদাবাজি ইত্যাদি ছোট আকারে ছিল। পরবর্তীতে যখন দল ক্ষমতায় আসে তখন টাকা কামানোর ব্যবস্থা অর্থাৎ ক্যাসিনো ব্যবসা বিনা বাধায় শুরু করা হয়। ক্যাসিনো ব্যবসায় অর্থের মূল জোগানদাতা সম্রাট। জি কে শামীম অর্থ কামানোর ব্যবস্থার অংশ হিসেবে দলের ইমেজ এবং ক্ষমতা দেখিয়ে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তার সহযোগিতায় অসংখ্য টেন্ডার পায় এবং রাতারাতি শত শত কোটি টাকার মালিক হয়ে যায়। সে সম্রাটকে ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত করে এবং সে ছিল এই ব্যবসার মূল চালিকাশক্তি। মূল সংগঠন অর্থাৎ আওয়ামী লীগ কর্তৃক ফলোআপ ও নিয়মিত যোগাযোগ না থাকা এবং অঙ্গ সংগঠনের সদস্যদের ক্ষমতা ও দেশের প্রতি এবং মূল সংগঠন আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাদের জবাবদিহি সম্পর্কে ধারণা ছিল না। সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে, প্রয়োজনে গঠনতন্ত্র সংশোধন করে নেতৃবৃন্দকে সংগঠনের রক্ষা কবজ ‘গঠনতন্ত্র’ অনুযায়ী সকল কার্যক্রম পরিচালনার জন্য শপথ নিতে হবে। দলীয় আদর্শ, নীতিমালা, দেশের সংবিধান, স্বাধীনতার চেতনা, অঙ্গ সংগঠনের গঠনতন্ত্রসহ অন্য বিষয়গুলো নিয়ে দলের কর্মীদের মধ্যে চর্চা খুব কম হয়েছে যার জন্য দলীয় কার্যক্রম থেকে সদস্যগণ সরে গিয়েছেন। বিভিন্ন অপকর্মে কিছু কিছু কর্মী জড়িয়ে পড়ছেন, যা খুবই অনাকাক্সিক্ষত। অন্যদিকে সবাই দলীয় সরকার দেশের ক্ষমতায় থাকার কারণে নিজেদের ক্ষমতার প্রভাবে দলের ইমেজকে ব্যবহার করে নিজেদের পকেট ভারি করার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। দেশের ৪৯২টি উপজেলা এবং ৬৪টি জেলা, ১১টি সিটি কর্পোরেশন, ৩১৬টি পৌরসভা ৩৫১৭টি ইউনিয়ন কমিটি ছাড়াও হাজার হাজার ওয়ার্ড কমিটি নিয়ে গঠিত সর্ববৃহৎ দলের সঠিক নেতৃত্ব ও দলের ঐক্য ধরে রাখতে দলের এবং দেশের মূলনীতি, দলীয় আদর্শে উদ্বুদ্ধ করা ছাড়া বিকল্প নেই। সকল সদস্যকে সংগঠনের গঠনতন্ত্র ভাল করে পড়তে হবে, জানতে হবে। মূল দল অর্থাৎ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র পড়তে হবে এবং রীতিমতো চর্চা করতে হবে। গঠনতন্ত্রে উল্লিখিত নীতিমালা অনুসারে প্রতিটি পদক্ষেপ নিতে হবে। দলের উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে যে কমিটি গঠিত হয়, তা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বা গঠনতন্ত্র অনুসরণ না করে যদি ব্যক্তি পছন্দ মোতাবেক গঠিত হয়, তা হলে তার প্রতিক্রিয়া পুরো দলের ওপর পড়ে। সেই সুযোগে অনেক চিহ্নিত ব্যক্তিও দলে প্রবেশ করার সুযোগ পায়ও তাই গঠনতন্ত্রকে দলের রক্ষাকবজ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। অঙ্গসংগঠনের গঠনতন্ত্রকে প্রয়োজনীয় সংশোধন করে সকল কর্মীর হাতে হাতে পৌঁছানো খুবই জরুরী। জনসাধারণের মধ্যে ছাত্রলীগ আওয়ামী যুবলীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কার্যক্রম সম্পর্কে, তাদের সঙ্গে মূল দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে কি সম্পর্ক এবং আওয়ামী যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ কি একটি স্বাধীন সংগঠন, তাদের কেন্দ্রীয় কমিটি কি মূল সংগঠন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে দায়বদ্ধ, উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও উপজেলা যুবলীগ কমিটি কি উপজেলা আওয়ামী লীগ কমিটির কাছে দায়বদ্ধ ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে সকলকে পরিষ্কার ধারণা দেয়া দরকার। এমনও দেখা যায় অনেক উপজেলার যুবলীগ কমিটি তৈরি করা হয় উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের পছন্দের মানুষ নিয়ে। বিষয়গুলো পরিষ্কার না হওয়ায় একেক উপজেলায় একেক রকম পদ্ধতিতে উপজেলা কমিটি গঠিত হয়। তাই পরবর্তী সম্মেলনে বিষয়গুলোর সম্পূর্ণ ব্যাখ্যার দাবি রাখে। সারাদেশে সম্মেলন করার জন্য যে ৮টি টিম প্রধানমন্ত্রী করে দিয়েছেন সেই টিমকে যদি দুই বছরের জন্য জেলা ও উপজেলা কমিটিগুলোকে পর্যবেক্ষণ করা, যেখানে প্রয়োজন সেখানে দিকনির্দেশনা, সহযোগিতা করা এবং প্রতি ৩ মাস অন্তর হাই কমান্ডের কাছে সংগঠনের স্ট্যাটাস রিপোর্ট লিখিত দিতে দায়িত্ব দেয়া হয় তাহলে দলীয় শৃঙ্খলা আরও গতিলাভ করবে এবং দল সক্রিয় হবে। কেন্দ্রীয়, জেলা, উপজেলা পর্যায়ে দলীয় কর্মসূচী চালানোর জন্য যে অর্থের প্রয়োজন হয় তা নিশ্চিত করার জন্য সঠিক গাইডলাইন তৈরি করে দিলে সারাদেশ একই নিয়মে চলবে এবং সংগঠনের সদস্যগণ ইচ্ছামতো চাঁদা তুলতে পারবেন না। উপজেলা পর্যায়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নিজস্ব অফিস ঘর আছে কিনা, জানা নেই। কিন্তু কিছু কিছু উপজেলায় ভাড়া করা অফিস ঘর আছে। প্রতি মাসে ভাড়া সংগঠনের সভাপতি/সম্পাদক কর্তৃক বহন করা হয়Ñএ ব্যাপারেও কোন কেন্দ্রীয় দিকনির্দেশনা নেই। মূল দলের মধ্যে জবাবদিহিতার নিয়মিত একটি পদ্ধতি শুরু করতে হবে, যে পদ্ধতি হবে প্রত্যেক তৃণমূল সংগঠনকে অর্থাৎ গ্রামীণ সংগঠন জবাবদিহি করবে ইউনিয়ন সংগঠনকে বা ইউনিয়ন কমিটিকে, ইউনিয়ন কমিটি জবাবদিহি করবে উপজেলা কমিটিকে। সেই রূপ উপজেলা কমিটি জবাবদিহি করবে জেলা কমিটিকে। জেলা কমিটি জবাবদিহি করবে কেন্দ্রীয় কমিটিকে। উপজেলা পর্যায়ে অফিস সেক্রেটারি অথবা দফতর সম্পাদক গ্রাম সংগঠন, ইউনিয়ন সংগঠন কর্তৃক দেয়া দ্বিমাসিক/ত্রি-মাসিক প্রতিবেদন অফিসে সংরক্ষণ করবে এবং কমিটির সম্পাদক এবং সভাপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন। সভাপতি, সেক্রেটারি যদি কোন বিষয় নিয়ে ইউনিয়ন ও গ্রাম কমিটির সঙ্গে বসার প্রয়োজন মনে করেন, তা হলে তিনি সভা ডাকতে পারবেন এবং বিষয়ভিত্তিক সমাধান দেবেন। আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির কাঠামোর বাইরে একজন ন্যায়পাল দলের সভাপতি কর্তৃক জাতীয় সম্মেলনের পর মনোনীত হবেন। যিনি দলের আদর্শিক গার্ডিয়ানের দায়িত্ব পালন করবেন। তার কাছে যে কোন সদস্য কোন দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কাজকর্ম বা দুর্নীতি সম্পর্কে অভিযোগ করতে পারবেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সম্প্রসারিত বৃহত্তর দল হওয়ায় এই দল অথবা অঙ্গসংগঠনের কোন পর্যায়ের দলীয় সদস্য যদি দলীয় নীতিমালা বহির্ভূত কাজে জড়িয়ে যান এবং স্থানীয়ভাবে যদি তার সমাধান করা সম্ভব না হয় সেই ক্ষেত্রে যে কোন সদস্য তার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ন্যায়পালের কাছে অভিযোগ করতে পারবেন। তিন বছরের জন্য নিয়োগ দেয়ার বিধান রেখে নিয়োজিত ন্যায়পালের কাজ হবে সকল অভিযোগ এবং কনফ্লিকট-এর মধ্যস্থতা ও সমাধান দেয়া। প্রয়োজনে সাংগঠনিক শাস্তি দেয়া। তিনি শুধু দলের সভাপতির কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন। তিনি তার ইচ্ছামাফিক আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের কাজ দেখতে কোন পূর্ব অবহিত না করে যে কোন জেলা, উপজেলায় যেতে পারবেন। তিনি প্রতি তিন মাস পর পর তার পর্যবেক্ষণ ও সংগঠনের স্ট্যাটাস সম্পর্কে দলের সভাপতির কাছে রিপোর্ট করবেন। যেহেতু দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সর্ব পর্যায়ে কম্পিউটার প্রযুক্তির ব্যবহার আরম্ভ হয়েছে, তাই উপজেলা অফিসে ডিজিটাল পদ্ধতিতে উন্নীত করার জন্য ইন্টারনেটসহ কমপক্ষে একটি কম্পিউটার প্রদান করলে সারাদশের সঙ্গে নেটওয়ার্ক গড়ে উঠবে এবং কেন্দ্র থেকে কেন্দ্রীয় সার্ভারের মাধ্যমে দলকে পরিচালনা করা যাবে। সন্দেহ নেই এতে আওয়ামী লীগ আরও একধাপ এগিয়ে যাবে। স্থানীয় অথবা কেন্দ্রীয় পর্যায়ে উপজেলা কমিটির যোগ্য একজন কর্মীকে কম্পিউটার বিষয়ক প্রশিক্ষণ দিলে তিনি অফিসের কাজকর্ম অফিসে বসেই করতে পারবেন। আওয়ামী লীগের যত অঙ্গসংগঠন যেমন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা যুবলীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগের গঠনতন্ত্র প্রয়োজনে আরও যুগোপযোগী করে নতুন গঠনতন্ত্র জাতীয় সম্মেলনে প্রকাশ করলে দলগুলো আরও গতিশীল হবে। মানুষের হার্টের মতো ‘গঠনতন্ত্র’ সংগঠনের হার্ট। তাই এটা নিয়মিত চর্চা করলে এবং মেনে চললেই দল টেকসই হবে, জনগণের আস্থা বাড়বে, স্বজনপ্রীতি বন্ধ হবে, একনায়কতন্ত্র অকার্যকর হবে, দলের মধ্যে ঐক্য বাড়বে এবং সারাদেশে তার প্রতিফলন ঘটবে। এখন থেকে কেন্দ্রীয় ডাটা বেসে দেশের সকল ইউনিয়ন কমিটি, উপজেলা কমিটি, পৌরসভা কমিটি, জেলা কমিটি, শহর কমিটি, ওয়ার্ড কমিটিসহ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের জীবন বৃত্তান্তসহ তালিকা কেন্দ্রীয় অফিসে সংরক্ষিত থাকবে। কেউ ইচ্ছামতো কমিটির সদস্যকে বাদ দিতে পারবেন না। আওয়ামী যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নামে আলাদা ওয়েবসাইট তৈরি করে সকল তথ্য উল্লেখ করে প্রকাশ করা জরুরী। যে ওয়েবসাইট যে কেউ দেখলে সংগঠন সম্পর্কে জানতে পারবে। অসম্পূর্ণ ওয়েবসাইট সরিয়ে নতুন ওয়েবসাইট প্রকাশ করাও জরুরী। লেখক : আমেরিকা প্রবাসী
×