ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বগুড়ায় পুলিশের মারপিটে নববধূ হাসপাতালে

প্রকাশিত: ১১:৪৮, ৫ নভেম্বর ২০১৯

বগুড়ায় পুলিশের মারপিটে নববধূ হাসপাতালে

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ গাবতলি উপজেলায় রবিবার রাতে মনিরা আকতার (১৮) নামে এক কলেজছাত্রী নববধূ পুলিশের নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তার অভিযোগ রিপন মিয়া নামে গাবতলি থানার এক এস আই তাকে মারপিট করে। প্রেমিকার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা পুলিশকে না জানিয়ে পারিবারিকভাবে মীমাংসা করে প্রেমিক ও প্রেমিকা বিয়ে করায় পুলিশ ক্ষুব্ধ হয়ে তরুনীর বাড়িতে গিয়ে রবিবার রাতে হুমকিসহ তরুণীকে মারপিট করে। বর্তমানে আহত কলেজছাত্রী বগুড়া সরকারী মোহাম্মাদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসাধীন মনিরা আকতার গাবতলি উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের খুপি আগের পাড়া গ্রামের জাহিদুল ইসলামের কন্যা। সে চলতি বছর ফজিলা আজিজ মেমোরিয়াল টেকনিক্যাল কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে। জানা যায়, খুপি মধ্যপাড়ার আব্দুল খালেকের ছেলে ও একই কলেজে পড়া ইমরান হোসেন সুইটের (২১) সঙ্গে ৫/৭ বছর ধরে তার প্রেমের সর্ম্পক ছিল। দু’জনের মধ্যে মনোমালিন্য ও বিয়ের বিষয় নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির কারণে মনিরার মা বাদী হয়ে ইমরানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। মনিরার দাবি অভিযোগ করলেও সে মামলা করতে চায়নি। ওই ঘটনায় নারী নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের হলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রেমিক ইমরান হোসেনকে গ্রেফতার করে। গত মাসে মনিরা ও ইমরানের পরিবার সমঝোতা করে। ৩১ অক্টোবর ইমরান জামিনে মুক্ত হয় এবং ১ নবেম্বর দু’ জনের বিয়ে হয়। রবিবার রাত ১০টার দিকে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রিপন মিয়াসহ ৪ পুলিশ ইমরানের বাড়িতে যায়। এ সময় ঘরে ইমরান ও তার স্ত্রী কলেজছাত্রী মনিরা ছিলেন। তাদের অভিযোগ পুলিশ প্রথমে দরজা খোলার জন্য বলে। এ সময় ইমরান পেছনের দরজা দিয়ে পুলিশের ভয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে অভিযোগ করে তদন্তকারী কর্মকর্তা তরুণী বধূর কাছে জানতে চায়, কেন পুলিশকে না জানিয়ে আপোস করে তারা বিয়ে করেছে। ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ১০ হাজার টাকা না দিলে ইমরানকে অস্ত্র মামলা অথবা বড় কোন মামলায় দেয়া হবে। একপর্যায়ে এসআই রিপন মিয়া মনিরা আকতারের কাঁধে আঘাত ও চড় থাপ্পড় মারে বলে মনিরা দাবি করেন। পুলিশের এমন কর্মকা-ে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ বিষয়ে পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা জানান, মৌখিকভাবে বিষয়টি জেনে তিনি সিনিয়র অফিসারদের ঘটনা তদন্তে দায়িত্ব দিয়েছেন। সত্যতা পাওয়া গেলে ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। গাবতলি থানার ওসি সেলিম হোসেন জানান, তরুণীকে নির্যাতনের ঘটনা শুনে তিনি তদন্ত শুরু করেছেন। অভিযুক্ত এসআই রিপন মিয়া তাকে জানিয়েছেন সে মারপিট করেনি।
×