বিশেষ প্রতিনিধি ॥ তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণীর ছাত্র নাইমুল আবরারের মৃত্যুতে মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন সদস্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সোমবার সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রীর দফতরে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রিসভায় অনির্ধারিত আলোচনায় ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী নাইমুল আবরারের মৃত্যুর বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। একজন ছাত্র যে অসহায়ভাবে মৃত্যুবরণ করেছে, বেশ কয়েকজন এ বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন। সবাই এ বিষয়টিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, একটা স্কুলে কিশোরদের নিয়ে যখন এ ধরনের প্রোগ্রাম করবে তখন সেখানে ইলেকট্রিক তার টানানো হয়েছে সেগুলোর সেফটি মেজারটা দেখা উচিত ছিল। অনুষ্ঠানের জন্য যে বিদ্যুতের তার টানানো হয়েছিল সে বিদ্যুতের তারে স্পৃষ্ট হয়েই আবরার মারা গেছে। এখানে আয়োজকদের গাফিলতি ছিল কিনা সে বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। সবাই এটায় অত্যন্ত হতাশা ব্যক্ত করছেন এ কারণে যে, একটা ছেলে মারা যাওয়ার পরও অনুষ্ঠানটি চালিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সেই ছাত্র মারা যাওয়ার পর স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়নি। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানতে পেরেছে হাসপাতাল থেকে। হাসপাতালে যখন তার লাশ নিয়ে যাওয়া হয়, তখন তার পকেটে রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের মনোগ্রাম পায়, সেটি দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে ফোন করেছে। তখন কলেজ কর্তৃপক্ষ জানতে পেরেছে। এটি তাদের জানানো হয়নি বলে আলোচনায় উল্লেখ করা হয়েছে।
চতুর্থত কারও যদি এভাবে অপমৃত্যু হয়, তাহলে অবশ্যই পোস্টমর্টেম করতে হয়, পোস্টমর্টেম না করতে হলে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের লিখিত অনুমোদন লাগে। বা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমোদন লাগবে। সেটি না নিয়ে পোস্টমর্টেম ছাড়াই লাশটি দাফন করা হয়েছে। এগুলো সেখানে এসেছে, আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হবে। কাদের গাফিলতি ছিল, কেন কীভাবে এই ঘটনা ঘটেছে, কেন একজন ছাত্রের মৃত্যুর পরও অনুষ্ঠান চালিয়ে নেয়া হলো সে বিষয়গুলো নিশ্চয়ই তদন্তে উঠে আসবে।
মন্ত্রী বলেন, অপমৃত্যু হলে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা হয়, পুলিশের পক্ষ থেকে কতটুকু ভূমিকা নেয়া হয়েছিল সেগুলো আলোচনা হয়েছে। তবে স্কুল এ্যান্ড কলেজের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছে। প্রথম আলো নিয়ে কোন আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কিশোর আলো তো প্রথম আলোরই সহযোগী প্রতিষ্ঠান। কিশোর আলোর প্রোগ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে সেটি নিয়ে তো আলোচনা হয়েছেই। যারা আয়োজন করেছে তাদের কী গাফিলতি ছিল, সেগুলো তো নিশ্চয়ই তদন্তে বেরিয়ে আসবে।