ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিতর্কিতরা কোন পদে আসতে পারবে না ॥ কাদের

প্রকাশিত: ১১:০৭, ৫ নভেম্বর ২০১৯

বিতর্কিতরা কোন পদে আসতে পারবে না ॥ কাদের

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বিতর্কিতরা আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের কোন পদে আসতে পারবে না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, যারা বিতর্কিত, যারা অনুপ্রবেশকারী, যারা সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে জড়িত এবং নানা কারণে বিতর্কিত- তাদের আওয়ামী লীগের কোন কমিটিতে আনা হবে না। সোমবার বিকেলে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সম্মেলনের জন্য নির্মাণাধীন সভামঞ্চ পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সকল কমিটি করার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দেবেন। তবে সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতৃত্বের ক্ষেত্রে পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞদের বিষয়টা বিবেচনা করা হবে। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগামী দু-একদিনের মধ্যেই দুই মহানগরের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হবে। তবে ১৫ ডিসেম্বরের আগেই এই সম্মেলন দুটি অনুষ্ঠিত হবে। কারণ আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন ২০ ও ২১ ডিসেম্বর। বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ও ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সাদেক হোসেন খোকার মৃত্যুতে আমি শোক প্রকাশ করছি। তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানাই। তারা যদি সাদেক হোসেন খোকার লাশ দেশে আনতে চায় তাহলে আমাদের কোন সমস্যা নেই। এক্ষেত্রে যদি কোন সহযোগিতা প্রয়োজন হয় তা আমরা করব। এ সময়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ দিলীপ রায়, কৃষক লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। আগামী ৬ নবেম্বর সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সম্মেলনের মাধ্যমে শুরু হবে আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর ধারাবাহিক সম্মেলন। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নির্মিত সুবিশাল এই দৃষ্টিনন্দন মঞ্চেই অনুষ্ঠিত হবে সব সম্মেলন। যা আগামী ২০ ও ২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে শেষ হবে। আর সম্মেলনকে ঘিরে জমে উঠেছে ক্ষমতাসীন দলটির অভ্যন্তরীণ রাজনীতি। পরিবর্তনের হাওয়ায় সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনে তরুণ সাবেক ছাত্রনেতারা যেমন বড় বড় পদে আসীন হতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তেমনি পুরনো পদ আঁকড়ে ধরে রাখতেও মরিয়া বর্তমান নেতারাও। তবে প্রতিটি সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনেই ব্যাপক যে পরিবর্তন আসছে, তা রবিবার দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের বেশির ভাগেরই সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে নতুন মুখ আসছে বলে আভাস পাওয়া গেছে।
×