ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সুষম নাট্য সম্প্রদায়ের ‘গয়না’ নাটকের মঞ্চায়ন কাল

প্রকাশিত: ০৯:০১, ৫ নভেম্বর ২০১৯

সুষম নাট্য সম্প্রদায়ের ‘গয়না’ নাটকের মঞ্চায়ন কাল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সুষম নাট্য সম্প্রদায়ের ১৫তম প্রযোজনা ‘গয়না’ নাটকের মঞ্চায়ন হবে আগামীকাল। দল সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল ৬ নবেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ মহিলা সমিতি মিলনায়তনে নাটকটির বিশেষ মঞ্চায়ন হবে। ‘গয়না’ নাটকটি রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। এদিন নাটকের দ্বিতীয় মঞ্চায়ন হবে বলে জানা গেছে। ‘গয়না’ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, শিরিন আক্তার ইতি, হামজা আনোয়ার, কাজী খোকন, দোলোয়ার হোসেন, আব্দুর রহমান আকাশ, হাবিবুল্লাহ রিপন। নাটকে নির্দেশনা সহকারী হামজা আনোয়ার। আবহসঙ্গীত মোঃ বিল্লাল, লাইট ডিজাইন মোঃ শামীম, পোশাক ডিজাইন এমিল, মঞ্চ পরিকল্পনা এইচ এম আমীন, মঞ্চ ব্যবস্থাপনা চৌধুরী মনিরুল ইসলাম, দোলোয়ার হোসেন, শফিক বাবু, মিয়া হান্নান, আলী আক্কাস, মিতুসহ আরও অনেকে। ‘গয়না’ নাটকের কাহিনীতে দেখা যাবে হাসমত এবং সমিরন বিবির সংসার জীবনের দীর্ঘ সময় অতিক্রম হয়ে যাওয়ার পরও কোন সন্তান আসেনি। এ বিষয় নিয়ে ওদের মধ্যে যত না দুঃখ ভাবনা তার চেয়ে অনেক বেশি ওদের চারপাশের মানুষদের মধ্যে। এ নিয়ে নানা কটুকথা শুনতে হয় প্রতিনিয়ত, যা মাঝে মধ্যে বড়ই মর্মপীড়ার কারণ হয়ে দেখা দেয়। অন্যদিকে মানুষ আকৃতির পশুগুলো হাত বাড়ায় সুন্দরী সমিরন বিবি এবং ওদের সম্পত্তির দিকে। ফাটল ধরাতে চায় ওদের সুখের সংসারে। সমিরন বিবি বিয়ের সময় কিছু গয়না পেয়েছিল বাবার বাড়ি থেকে। এক সময় সেই গয়না বন্ধক রেখে চড়া সুদে টাকা এনে সংসারের জরুরী কাজে খরচ করে। স্বামী আশ্বস্ত করে বন্ধক রাখা গয়না দিন বদলের সঙ্গে সঙ্গে অচিরেই ফিরে আসবে। চেষ্টার কোন ত্রুটিও করে না খেয়াপারের মাঝি হাসমত। কঠোর পরিশ্রম করে টাকা জমায় ঘরের খুঁটির বাঁশ কেটে। সেই জমানো টাকায় কিনবে ইঞ্জিনচালিত নৌকা। তারপর ফেরত আনবে বন্ধক রাখা স্বর্ণের গয়না। ওদের পরিশ্রম, সততা এবং বিশ্বাসের কাছে হারমানে অশুভ শক্তি। ওরা অল্প সময়ের মধ্যে পৌঁছে যায় ওদের লক্ষ্যে। গয়না এখন আর সমিরন বিবির কাছে সোনার হরিণ নয়। নাটকের মূল উপজীব্য হলো গয়না নারীর সৌন্দর্যবর্ধনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। নানা ধাতবের গয়না রমণীকুল পরে থাকে। তার মধ্যে স্বর্ণের গয়নার কদর একটু বেশি কেননা এর মূল্য চাকচিক্য এবং সামাজিক পদমর্যাদা অন্যান্য গয়নার চেয়ে অনেক বেশি। বিয়ের সময় প্রাপ্ত গয়নার অলিখিত মালিক স্ত্রী হলেও এর ওপর তার অধিকার খুবই নগণ্য কেননা, স্বামীর ভাগ্য ফেরাতে অথবা সংসারের জরুরী কোন কাজে এই গয়না বন্ধক রেখে অথবা বিক্রি করে দেয়া হয়। আশ্বস্ত করা হয়, স্বামীর দিন বদলের সঙ্গে সঙ্গে গয়না আবার ফিরে আসবে তার কাছে। স্ত্রী বিশ্বাসে বুক বাঁধে, স্বপ্ন দেখে, কল্পনায় নিজেকে সাজায়।
×