ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রংপুরে ১২ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসব শুরু

প্রকাশিত: ০৯:০০, ৫ নভেম্বর ২০১৯

রংপুরে ১২ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসব শুরু

নিজস্ব সংবাদদাতা, রংপুর ॥ ‘মঞ্চ হোক মানবিক মূল্যবোধ জাগরণের পাঠশালা’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রংপুরে শুরু হয়েছে ১২ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসব। ১ নবেম্বর শুক্রবার রাতে টাউন হল চত্বরে উৎসবের উদ্বোধন করেন রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। উদ্বোধনী আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ও গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী লাকী। বিশেষ অতিথি ছিলেন নিটোর সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ হামিদুল হক খন্দকার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেষে নাট্যোৎসবের আনন্দ বার্তা ছড়িয়ে দিতে একটি বর্ণিল শোভাযাত্রা টাউন হল চত্বর থেকে বের হয়। শোভাযাত্রাটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় রংপুর নাট্যকেন্দ্র এই উৎসবের আয়োজন করেছে। ১ নবেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই এই নাট্যোৎসব আগামী ১২ নবেম্বর পর্যন্ত চলবে। উৎসবে ভারত-বাংলাদেশসহ মোট ১৬টি নাট্যদল তাদের দর্শক নন্দিত নাটক মঞ্চায়ন করবে। প্রতিদিন সন্ধ্যা সাতটায় রংপুর টাউন হল মঞ্চে নাটক পরিবেশন করা হচ্ছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিথ্যা কথা বলেন না। তিনি যা বলেন, তাই করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো শেখ হাসিনাও সবার। তার পাশে থাকা আমাদের সবার দায়িত্ব। লিয়াকত আলী লাকী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছেন। তার ডাকে সবাই এক হয়েছিল। আমরা যুদ্ধ করে স্বাধীনতা পেয়েছি। আজ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা উন্নত বাংলাদেশ গড়ার যুদ্ধে নেমেছেন। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে মর্যাদার আসনে নিতে প্রধানমন্ত্রী সাহসিকতার সঙ্গে একাই লড়ছেন। তার এই যুদ্ধে আমাদেরও এক হতে হবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর মতো উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখানো শেখ হাসিনাকেও ষড়যন্ত্রকারীরা শেষ করে দিতে চান। ১৯ বার তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। এখনও ষড়যন্ত্র হয়। তারপরও শেখ হাসিনা থেমে নেই। প্রধানমন্ত্রী আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে একটা উন্নত দেশ উপহার দিতে চান। সেজন্য তিনি সব প্রেক্ষাপট তৈরি করেছেন। ২০৪১ সালে এদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। তিনি রংপুরসহ দেশের সব সংস্কৃতিনুরাগী মানুষসহ সর্বস্তরের জনগণকে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার যুদ্ধে শেখ হাসিনার পাশে থাকার আহ্বান জানান। রংপুর নাট্যকেন্দ্রের সভাপতি মাহবুবুল আলম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, নিটোর সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ হামিদুল হক খন্দকার, নাট্যকেন্দ্রের প্রধান পৃষ্ঠপোষক সফিউল হারুন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান টুটুল, প্রবীণ নাট্যব্যক্তিত্ব বিপ্লব প্রসাদ। আলোচনা পর্ব শেষে নাট্যায়োজনে প্রথমে ভারতের নৃন্দমন্দিরের পরিবেশনায় ‘আমি’ নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। নাটকটির রচনা ও নির্দেশনায় ছিলেন সোমাগিরি। পরে ঢাকার লোকনাট্য দলের দর্শক নন্দিত নাটক ‘কঞ্জুস’ পরিবেশনা করা হয়। তারিক আনাম খানের রুপান্তর ও লিয়াকত আলী লাকীর নিদের্শিত নাটকটির ৭২১তম মঞ্চায়ন হয়।
×