ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ার তৈরি পণ্যের রফতানি আয় কয়েকগুণ বেড়েছে

প্রকাশিত: ০৯:২৫, ৪ নভেম্বর ২০১৯

 বগুড়ার তৈরি পণ্যের রফতানি আয় কয়েকগুণ বেড়েছে

সমুদ্র হক, বগুড়া অফিস ॥ বগুড়ার শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদিত পণ্যের রফতানি আয় বেড়েছে। বগুড়া চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির হিসাব ও জরিপে রফতানি আয় বেড়ে যাওয়ার হার গত ক’বছরের তুলনায় অন্তত আড়াইগুণ। চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে বগুড়া থেকে ভারত ও নেপালে ৪ কোটি ৩৭ লাখ ডলারের (৩৫০ কোটি টাকা) বিভিন্ন পণ্য রফতানি হয়েছে। রফতানির নতুন বাজার খোঁজা হচ্ছে। বগুড়ায় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সংস্থার (বিসিক) দ্বিতীয় শিল্পনগরী এবং প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুললে রফতানি আয় আরও কয়েকগুণ বাড়বে এমন মন্তব্য চেম্বারের সভাপতি মাসুদুর রহমান মিলনের। রফতানিতে উল্লেখযোগ্য অবদানে বগুড়ার ১১ রফতানিকারককে সম্মাননা দেয়া হয়েছে। ২০১৭ সালে বগুড়া থেকে ভারত ও নেপালে রফতানি হয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ ডলারের (১০৫ কোটি টাকা) পণ্য। পরবর্তী বছরে (২০১৮) তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩ কোটি ৩০ লাখ ডলারে (২৭৭ কোটি টাকা)। বগুড়ার উৎপাদিত রফতানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে, সেচ পাম্প (সেন্ট্রিফিউগাল), রাইসব্রান ভোজ্য তেল, পাটজাত সুতলি, পাটের তৈরি ব্যাগ ও অন্যান্য পণ্য, ধানমাড়াই যন্ত্র, ডিজিটাল স্কেল। গত ক’বছর ধরে রফতানি যাত্রা শুরু হয়েছে। প্রথমদিকে নেপালে বেশি পণ্য রফতানি হতো। বর্তমানে ভারতও কিছু পণ্য নিচ্ছে। বগুড়ায় পাটজাত পণ্য উৎপাদনের কারখানা ছিল না। আদমজী জুট মিল বন্ধ হওয়ার পর পরিত্যক্ত যন্ত্রপাতি দিয়ে বগুড়ায় মিনি জুট মিল গড়ে তোলা হয়। পরে মলিগুলোতে সংযোজিত হয় বগুড়ায় ফাউন্ড্রিতে উৎপাদিত কিছু যন্ত্র। কিছু বিদেশ থেকেও আনা হয়। বগুড়ার ২০টি মিনি জুট মিলে উৎপাদিত সুতলি ও চট বিদেশে রফতানি হচ্ছে। ষাটের দশকের মধ্যভাগে বগুড়া সেচ পাম্প ও কৃষি যন্ত্রপাতির বাজার গড়ে ওঠে। সত্তর দশকের মধ্যভাগে বগুড়ায় দ্রুত গড়ে ওঠে হাল্কা শিল্প কারখানা। তৈরি হয় সেন্ট্রিফিউগাল সেচ পাম্প ও কৃষি যন্ত্রাংশ। এরপর ধান মাড়াইয়ের ট্রেডেল মেশিন ও পরে মোটর যুক্ত করে অটোমেশিন তৈরি হয়। বর্তমানে আমদানিকৃত পাওয়ার টিলার, ট্রাক্টর, হারভেস্টর মেশিনসহ কৃষির সব যন্ত্র পাওয়া যায় বগুড়ায়। একই সঙ্গে বগুড়ার তৈরি কৃষি যন্ত্রাংশে রফতানির পথে পা বাড়ায়। বর্তমানে ধান মাড়াইকলসহ কয়েকটি পণ্য রফতানি হচ্ছে নেপালে। ডিজিটাল ওয়ে স্কেল তৈরি হচ্ছে বগুড়ায়। সাশ্রয়ী দামে মিলছে বগুড়ার তৈরি ডিজিটাল ওয়ে স্কেল। চলতি বছরের শুরুতে এই স্কেল রফতানি শুরু হয়। ডিজিটাল স্কেল নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী সৈয়দ আহমেদ কিরণ জানালেন, আধুনিক ও উন্নতমানের যন্ত্রপাতিতে সমৃদ্ধ বগুড়ার তৈরি ডিজিটাল ওয়ে স্কেল ভারত ও নেপালে সমাদৃত হয়েছে। সেখানে রফতানি হচ্ছে। বর্তমান শিল্প নগরীতে শিল্প স্থাপনে স্থান না থাকায় অনেক শিল্প উদ্যোক্তা বড় প্রতিষ্ঠান গড়তে পারছেন না। পাটের তৈরি উৎপাদিত পণ্য রফতানিতে বগুড়া এগিয়ে যাচ্ছে। বগুড়া ভা-ার মিনি জুট মিলের অন্যতম স্বত্বাধিকারী তৌহিদ পারভেজ বিপ্লব বললেন, পাটের সুতলি ও অন্যন্যা উপকরণের বাজার বেড়েছে।
×