ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চীনের জিয়াংসু প্রদেশের হুয়াক্সি গ্রামটির প্রতিটি লোক কোটিপতি

প্রকাশিত: ০১:০৬, ৩ নভেম্বর ২০১৯

চীনের জিয়াংসু প্রদেশের হুয়াক্সি গ্রামটির প্রতিটি লোক কোটিপতি

অনলাইন ডেস্ক ॥ গ্রাম বললেই ফসলের খেত, কাঁচা রাস্তা, মাটির বাড়ি— এমন ছবিই ভেসে ওঠে। কিন্তু বিশ্বে এমনও কিছু গ্রাম আছে, যেগুলো অত্যাধুনিক লাইফস্টাইল এবং সব রকম সুযোগ-সুবিধার দিক থেকে তাবড় তাবড় শহরকেও পিছনে ফেলে দেবে। এমনই একটি গ্রাম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক এই গ্যালারিতে। চীনের জিয়াংসু প্রদেশের এই গ্রামটির নাম হুয়াক্সি। এটাকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী গ্রাম বলে দাবি করা হয়। এটি ‘সুপার ভিলেজ’ নামে পরিচিত। ১৯৬১ সালে গড়ে ওঠে গ্রামটি। স্থানীয়দের মতে, খেত-খামার, কাঁচা বাড়ি, রাস্তা— প্রথম দিকে আর পাঁচটা গ্রামের মতোই ছিল হুয়াক্সি। কিন্তু গ্রামটি আধুনিক রূপ পায় কমিউনিস্ট পার্টির প্রাক্তন সেক্রেটারি উ রেনবাওয়ের অক্লান্ত প্রচেষ্টায়। হুয়াক্সিকে সোশালিস্ট গ্রামের তকমা দিয়েছেন গ্রামবাসীরাই। দাবি করা হয়, এক সময় যাঁরা চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন, আজ তাঁরাই কোটিপতি। গ্রামের প্রতিটি বাসিন্দার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রয়েছে কমপক্ষে ১০ লক্ষ ইউয়ান অর্থাত্ ১ কোটি ৮ লক্ষ টাকা। এই গ্রামে সব মিলিয়ে ২ হাজার জনের বাস। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই গ্রামের প্রত্যেক বাসিন্দাকে বিলাসবহুল ঘর, গাড়ি এবং জীবনযাপনের সব রকম স্বাচ্ছন্দ্য, সুবিধা দেওয়া হয়। এবং এই সুবিধা পাওয়ার জন্য বাসিন্দাদের গ্যাঁটের কড়ি খরচ করতে হয় না। তবে এই সব সুবিধা ভোগ করেন শুধু গ্রামের আসল বাসিন্দারাই। গ্রামটিতে রয়েছে বেশ কয়েকটি বড় বড় শিল্প। যার শেয়ারহোল্ডার গ্রামবাসীরাই। সংস্থার বার্ষিক লাভের এক-পঞ্চমাংশ দেওয়া হয় তাঁদের। গ্রামটি এত সমৃদ্ধ যে, এখানে ৭২ তলা বহুতল রয়েছে। আছে শপিং মল এবং অত্যাধুনিক থিম পার্ক। শুধু তাই নয়, চাইলে হেলিকপ্টার পরিষেবাও সহজেই পাওয়া সম্ভব। গ্রামের প্রতিটি ঘরের আকার এবং নকশা একই রকমের। বাইরে থেকে দেখে মনে হবে হাজারো হোটেল সার দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে! নিয়মের দিক থেকে বেশ কড়াকড়ি রয়েছে হুয়াক্সিতে। এখানে সপ্তাহে সাত দিনই কাজ করতে হয় গ্রামবাসীদের। কোনও ছুটি নেই। শুধু তাই নয়, গ্রামে জুয়া, মাদক সব নিষিদ্ধ। গ্রামের আরও আকর্ষণীয় যে বৈশিষ্ট তা হল, কেউ যদি এক বার এই গ্রাম ছেড়ে চলে যান, তা হলে তাঁর সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে নেয় প্রশাসন। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×