ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচন নিয়ে জুয়া খেলছেন জনসন

প্রকাশিত: ০৯:০০, ৩ নভেম্বর ২০১৯

 নির্বাচন নিয়ে জুয়া খেলছেন জনসন

বরিস জনসনের নির্বাচন-জুয়া তাকে ব্রেক্সিটসহ অনেক মূল্য দিতে হতে পারে। যুক্তরাজ্যে শেষ পর্যন্ত ১২ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। -সিএনএন। ২০১৭ সালের পর নির্বাচন আবারও প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। টেরেসা মে ওই ৯ জুনের ভোরে একটি আগাম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে তার ঝুঁকি বা জুয়ার খেলার বিষয়টি বুঝতে পেরেছিলেন যা এক বিপরীত ফল বা বিপজ্জনক হয়ে দেখা দিয়েছে। মেয়ের পরিকল্পনা ছিল তার স্বল্প সংখ্যাগরিষ্ঠ পার্লামেন্টে ১শ’টির বেশি আসন বৃদ্ধি। পরিবর্তে তিনি অপর্যাপ্ত সুবিধা হারিয়েছেন যা যে কোন ধরনের ব্রেক্সিট ফল প্রসূতকে অসম্ভব করে তুলেছে। বরিস জনসন বিষয়টা বুঝেছেন অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে। তিনি মেয়ের সংখ্যালঘু সরকারের উত্তরাধিকারী হয়ে দ্রুতই বুঝতে পেরেছেন যে, তার আশাবাদ ব্রেক্সিট কার্যকর করতে যথেষ্ট নয়। ইইউয়ের নতুন চুক্তিতে পৌঁছনো তার জন্য অসম্ভব হয়ে পড়ে এবং ব্রেক্সিটের জন্য পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাশে তিনি প্রয়োজনীয় সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হন। তিনি সাধারণ নির্বাচন দিয়ে নতুন করে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন তার জন্য একমাত্র যথার্থ বিকল্প রয়েছে বলে মনে করেছেন। এটি এক জুয়াখেলা। তিনি অক্টোবরের শেষ নাগাদ ইইউ ত্যাগের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা ব্রেক্সিটের জন্য কেবল আরও ঝুঁকির সৃষ্টিই করেনি, ব্রেক্সিটের ভবিষ্যতকে সর্বাংশে অনিশ্চিত করেও তুলেছে। যদিও তিনি এখন ভোট জরিপে ভাল একটি অবস্থানে রয়েছেন তারপরও বলতে হয় নির্বাচনী প্রচার অভিযানের সময় ঘটে যেতে পারে অনেক কিছু। ১৫ শতাংশ ভোটে এগিয়ে থাকা বিশাল ব্যাপার হলেও ভোটাররা তাদের মনোভাব পরিবর্তন করতে সমর্থ বলে ইউনিভার্সিটি অব সাউথ হ্যাম্পটনে রাজনীতি বিজ্ঞান ও জননীতির অধ্যাপক উইল জেনিংস বলেছেন। তিনি বলেন, জনসনের ব্যাপারে একটি বিষয় উল্লেখ করতে হয়, টেরেসা মে ২০১৭ সালে যে সমর্থন পর্যায়ে ছিলেন সে পর্যায় থেকে সমর্থনের সূচনা হচ্ছে না জনসনের। জনসনের প্রথম বড় সমস্যা হচ্ছে প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টি। মে লেবার নেতা জেরেমি করবিনকে দেখেছেন অত্যন্ত ফলপ্রসূ নির্বাচনী প্রচার হিসেবে। করবিন ২০১৭ সালে প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি আসনে জয়ী হয়ে প্রত্যেককে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি তাতে সফল হয়েছিলেন অসহায়তা সত্ত্বেও এবং মে ছিলেন এক শক্তিশালী, জনপ্রিয় নেতা যার মধ্যে ছিল ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন পরিকল্পনা এবং অগ্রসর হয়েছিলেন তিনি এক উচ্চাভিলাষী স্থানীয় কর্মসূচী নিয়ে। এখন জনসনের কাজ যুক্তিসঙ্গতভাবেই আরও সহজ হয়ে পড়েছে। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তার আক্রমণাত্মক রাজনৈতিক কৌশল জনসনবিরোধী হিসেবে করবিন নিজেকে তুলে ধরেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে জনসনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। এ বিষয়ে খুব বেশি শোরগোল করছেন করবিন। আসলে ব্রিটিশ জনগণের কাছে ট্রাম্প অজনপ্রিয়। ট্রাম্প ২:৩ ভিত্তিতে টিম গঠনের জন্য যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ও ব্রেক্সিট দলের নেতার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। করবিন বলেছেন, আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছবার জন্য জনসনের অদূরদর্শী আবিষ্টতার অর্থ হচ্ছে মার্কিন মাদক কোম্পানিগুলোর কাছে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসকে (এনএইচএস) বিক্রি করে দেয়া।
×