ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সব পৌরসভা কর্মকর্তা কর্মচারীর নিয়মিত বেতন দেয়া হবে

প্রকাশিত: ০৯:৫৪, ২ নভেম্বর ২০১৯

 সব পৌরসভা কর্মকর্তা কর্মচারীর নিয়মিত  বেতন দেয়া হবে

মশিউর রহমান খান ॥ দেশের সকল পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীর কোন প্রকার বেতন-ভাতা যেন বকেয়া না হয় সেজন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। পৌরসভার নিজস্ব আয় থেকেই স্টাফদের নিয়মিত বেতন-ভাতা প্রদান-এ নীতি বাস্তবায়নে সরকার এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। একই সঙ্গে পৌরসভাগুলোর সার্বিক উন্নয়ন তথা আয়-ব্যয়ের হিসাবে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আনতে যা করণীয় তাই করতে বদ্ধপরিকর সরকার। নাগরিক সেবা বৃদ্ধিতে করণীয় নির্ধারণে কোন নাগরিককে যেন সকল প্রকার কর আদায়ে কোন প্রকার বৈষম্য ও হয়রানির শিকার না হতে হয় তার প্রতি বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতেও নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রণালয়। এ থেকে উত্তরণের জন্য প্রতিটি পৌরসভায় কোন্ খাতে কত টাকা আয় ও ব্যয় হচ্ছে এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নে পৌরসভাগুলোর অবদান যাচাই করতে জবাবদিহিতার ব্যবস্থা নিয়েছে মন্ত্রণালয়। দীর্ঘ বছরের অভিযোগ অনুযায়ী পৌরসভাগুলোর আর্থিক সক্ষমতা থাকার পরও দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দিষ্ট সময়ে বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয় না। কোন কোন পৌরসভায় সর্বোচ্চ ৩০ মাস পর্যন্ত বেতন বকেয়া পড়ায় কর্মকর্তা- কর্মচারীদের জীবনযাপন হুমকির সম্মুখীন হওয়ায় সরকার এ বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী তাজুল ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী, সরকারের আইন মেনে ও নিয়মের মধ্যেই চলবে দেশের সকল পৌরসভা। অন্যথায় সেসব পৌরসভাকে পৌরসভা হিসেবে রাখা হবে নাকি পূর্বের অবস্থায় অর্থাৎ ইউনিয়ন পরিষদে ফিরিয়ে নেয়া হবে তা অতিগুরুত্বের সঙ্গে ভেবে দেখবে সরকার। সুত্র জানায়, গত আগস্ট মাসে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দশ মাস বা তার অধিক সময়ের বেতন-ভাতা বাকি রয়েছে এমন ৫৯ টি পৌরসভার বিগত পাঁচ বছরের আয়-ব্যয়সহ সার্বিক কার্যক্রম যাচাই করতে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ। এসব পৌরসভা দীর্ঘ দিনের বকেয়া বেতন-ভাতা প্রদান করতে পারছে না। প্রকৃতপক্ষে স্থানীয় সরকার আইনানুযায়ী পৌরকরসহ বিভিন্ন খাতে আয়ের উৎস থেকে সর্বাগ্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করার কথা থাকলেও তা মানেননি এসব পৌর মেয়রগণ। এসব পৌরসভার সার্বিক তথ্য সংগ্রহ করে তা যাচাই-বাছাই করতে প্রতিটি জেলায় তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে দেয় মন্ত্রণালয়। কমিটিতে প্রতিটি জেলায় স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালককে আহ্বায়ক, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীকে সদস্য ও জেলার সংশ্লিষ্ট বিভাগের উপপরিচালককে সদস্য সচিব করা হয়েছে। উক্ত কমিটি বকেয়া বেতন-ভাতার কারণ চিহ্নিত করা, পৌরসভার জনবল ও তাদের বেতন-ভাতার মাসভিত্তিক চাহিদা এবং ব্যয়ের হিসাব যাচাই করা, পৌরসভার আয়-ব্যয়ের খাতসমূহ চিহ্নিত করা ও বিগত ৫ বছরের রাজস্ব ও উন্নয়ন তহবিলের খাতভিত্তিক আয়-ব্যয়সহ সামগ্রিক কার্যক্রম যাচাইকরণ, পৌরসভার আয় ও ব্যয় সঠিকভাবে রেকর্ডভুক্ত হয় কিনা, সেসব রেকর্ড বা রেজিস্টার ও ব্যাংক হিসাব যাচাই করা, পৌরসভার হোল্ডিংয়ের সংখ্যা, কর নির্ধারণ অর্থাৎ সর্বশেষ কত সালে এসেসমেন্ট হয়েছে তা উল্লেখসহ কর আদায়ের হিসাব যাচাই করার নির্দেশ দিয়েছে। মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে ৫৯ টি পৌরসভার হিসাবসহ সকল তথ্য যাচাইয়ে কমিটি করে দিলেও একই পদের ব্যক্তিদের দিয়ে অতিদ্রুত দেশের প্রতিটি পৌরসভার সার্বিক তথ্য সংগ্রহ করতে প্রতিটি জেলায় এমন কমিটি করার উদ্যোগ নিয়েছে। যাতে কোন পৌরসভায়ই কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়মিত বেতন-ভাতা না দেয়ার কারণে নাগরিক সেবায় বিঘ্ন সৃষ্টি না হয়। একই সঙ্গে প্রতিমাসেই নিয়মিত বেতন-ভাতা প্রদান ও উন্নয়ন কর্মকা- যেন সচল থাকে সেজন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নিবিড়ভাবে প্রতিটি কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণ করা হবে বলে জানা গেছে। মূলত পৌরসভাগুলোকে শতভাগ নজরদারীতে আনতে ও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের মাধ্যমে অধিক পরিমাণ নাগরিক সেবা প্রদানের লক্ষ্যেই এমন উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশের প্রতিটি পৌরসভারই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধে আর্থিক সক্ষমতা রয়েছে। বকেয়া বেতন-ভাতা সম্পর্কে জানা গেছে, নির্বাচিত মেয়র ও কমিশনারদের এ সংশ্লিষ্ট শুধুমাত্র দায়িত্ব পালনে অনাগ্রহ, কর আদায়ে সংশ্লিষ্টদের গাফিলতি, সময়মতো কর প্রদানে নাগরিকদের অনীহা ও কোন কোন ক্ষেত্রে দক্ষ কর্মকর্তা-কর্মচারীর পরিবর্তে অনিয়মের মাধ্যমে অনভিজ্ঞ ও অযোগ্য কর্মকর্তা- কর্মচারী নিয়োগে স্বজনপ্রীতিরও অভিযোগ রয়েছে। ফলে পৌরসভাগুলো তাদের রাজস্ব আদায়ে তেমন মনোযোগ দেয় না। এর বাইরে এলাকায় বসবাসকারী নাগরিকদের আয় ও কর পরিশোধে যথেষ্ট সামর্থ্য না থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র নির্বাচনী ওয়াদা পূরণ ও রাজনৈতিক কারণেও অনেক পৌরসভার সৃষ্টি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। ফলে রাজস্ব আদায় না হওয়ায় অনেক পৌরসভা তেমন আয় তো দূরের কথা ভয়াবহ দেনার দায়ে পড়েছে। যার ফলে এসব পৌরসভায় বসবাসকারী নাগরিকগণ অনেক ক্ষেত্রে কর পরিশোধ করেও সেবা গ্রহণ করতে পারছেন না। অপরদিকে বেতন-ভাতা নিয়মিত না পাওয়ায় নাগরিকদের প্রাপ্য সেবা প্রদানেও বেশ অনীহার সৃষ্টি হয়েছে। দেশের অনেক পৌরসভা তাদের আয়ের কোন খাত না থাকায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদান করতে পারছেন না এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের। মন্ত্রণালয়ের মতে, স্থানীয় সরকার আইনানুযায়ী না চলার কারণে এসব পৌরসভায় দায়িত্বরতদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই কোন পৌরসভা তার আয় অনুযায়ী ব্যয়ের সামর্থ্য প্রকৃতপক্ষেই রয়েছে কিনা তা অতিগুরুত্বের সঙ্গে যাচাই -বাছাই করে দেখা হবে। পৌরসভাগুলোর সার্বিক অবস্থা যাচাই করে কোন প্রকার গুরুত্ব ও অসঙ্গতি দেখা গেলে প্রয়োজনে এসব এলাকাকে পৌরসভা হিসেবে রাখা হবে নাকি পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে অর্থাৎ ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যাওয়া উচিত তা যাচাই করে দেখবে সরকার। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, পৌরসভাগুলোর চলমান সৃষ্ট এ সমস্যা থেকে স্থায়ীভাবে উত্তরণের জন্য পৌরসভার আয়-ব্যয়, সরকারের নিয়মিত ও থোক বরাদ্দ, সরকারের বা বৈদেশিক কোন ফান্ড কর্তৃক প্রকল্প গ্রহণ ও ব্যবস্থাপনা ব্যয়সহ সকল প্রকার ব্যয়ের হিসাব নিচ্ছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এর আগে কোন সরকারই পৌরসভাগুলোর আয়-ব্যয় জানতে এমন কঠোর অবস্থান নিতে দেখা যায়নি। নাগরিক সেবার নামে করা দেশী-বিদেশী অর্থের উন্নয়নের তালিকা খুঁজে বের করতে ও সকল পৌর এলাকায় নেয়া সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়নের মাঝে কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করতে এ পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। জানা গেছে, এখন থেকে পৌরসভার নিজস্ব আয় বা সরকারের অর্থায়নে যে কোন প্রকার উন্নয়ন কর্মকা-ের তথ্য জানতে চাইবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। যার মাধ্যমে দেশের সার্বিক উন্নয়নসহ যে কোন প্রকার বাধা ও এর সঙ্গত কারণের সঠিক চিত্র সহজেই ফুটে উঠবে। বর্তমানে কোন পৌরসভারই খাতওয়ারি আয়- ব্যয়ের কোন নির্দিষ্ট হিসাব সরকারের কাছে নেই। এছাড়া বড় বড় পৌরসভার সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নেও অনেক সময় নামমাত্র অনুমতি নিয়ে কাজ শুরু ও শেষ করতে দেখা যায়। সকল কাজে সরকারের আইনানুযায়ী পৌরসভার আয়ের পর সর্বাগ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়মিত ও সঠিক সময়ের মধ্যেই বেতন-ভাতা পরিশোধের কথা থাকলেও দেশের অধিকাংশ পৌরসভার মেয়রগণ তাদের আয়ের খাত উন্নয়নসহ, ক্রয়, উৎসব, পরিবহনসহ নানা খাতে ব্যয় করে। এ নিয়ে অভিযোগ দীর্ঘ বছরের। এখন পর্যন্ত দেশের এলাকাভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ ও সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কমপক্ষে ১০ মাস থেকে সর্বোচ্চ ৩০ মাস পর্যন্ত বকেয়া বেতন-ভাতা রয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে সরকার এসব পৌরসভার বিগত ৫ বছরের সকল আয়, ব্যয় ও খাতওয়ারি সকল ব্যয়ের হিসাব দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ। কিছুদিন পূর্বে দেশের সকল পৌরসভায় কর্মরত কর্মচারীরা তাদের কয়েক মাসের চেয়ে এমনকি কয়েক বছরের বেতন-ভাতা বকেয়া না দেয়ায় সরকারের কাছে থোক বরাদ্দ দিয়ে বকেয়া পরশোধের দাবি জানিয়ে একটানা কয়েকদিন সকল প্রকার সেবা প্রদান বন্ধ রাখে। ফলে সারাদেশের সকল পৌরসভায় সেবা প্রদান বন্ধ থাকায় এক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। ফলে বিশাল ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ নাগরিক। ফলে সরকারের উদ্যোগে তাদেরকে কর্মস্থলে ফিরিয়ে নেয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে দেশের প্রায় সকল পৌরসভার বেতন-ভাতা প্রদানের আর্থিক সক্ষমতা থাকার পরও অনেক পৌরসভার মেয়র তাদের বেতন সময়মতো দিতে দেখা যাচ্ছে না। এমনকি অনেক পৌরসভায় নিয়মিত বেতনের বাইরেও কয়েক বছর পর্যন্ত কোন প্রকার প্রাপ্য বেতন-ভাতা না দেয়ায় সরকারের কাজে স্বাভাবিকতা নষ্ট হচ্ছে। ফলে সরকারের বিভিন্ন সময়ে নেয়া নানা উদ্যোগ ও নির্দেশ বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া পৌর করসহ বিভিন্ন আয়ের উৎস অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় করায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে বলে ধারণা করছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। বর্তমান পরিকল্পনা অনুযায়ী সার্বিক তথ্য যাচাই- বাছাই শেষে সমস্যা চিহ্নিত করে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নিয়মিত করা সম্ভব হবে। এর মাধ্যমে অধিক পরিমাণ নাগরিক সেবা প্রদান ও সকল কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, আমাদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রতিটি পৌরসভারই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানের মতো আর্থিক সক্ষমতা রয়েছে। এরপরও বেশ কিছু পৌরসভা তাদের স্টাফদের বেতন-ভাতা মাসের পর মাস এমনকি বছরের পর বছর ধরে বকেয়া রেখেছে। যা আইনানুযায়ী অনিয়ম বটে। স্থানীয় সরকার আইনানুযায়ী প্রতিটি পৌরসভা তার আয় থেকে প্রথমেই কর্মরতদের বেতন-ভাতা প্রদান করবে। কিন্তু কোন কোন পৌরসভা তা কোনক্রমেই মানছে না। আয়ের অর্থ অন্য খাতে ব্যয় করে বেতন-ভাতা বকেয়া রাখছে। এতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের প্রতি অনীহা সৃষ্টির ফলে নাগরিকগণও প্রকৃত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ থেকে উত্তরণের জন্য আমরা দেশের কোন পৌরসভায়ই বেতন-ভাতা বকেয়া না রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি। মন্ত্রী বলেন, ১০ মাসের বেশি ৫৯ টি পৌরসভার সার্বিক তথ্য সংগ্রহ করে তা যাচাই-বাছাই করতে প্রতিটি জেলায় তিন সদস্যবিশিষ্ট উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটিতে প্রতিটি জেলায় স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালককে আহ্বায়ক, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীকে সদস্য ও জেলার সংশ্লিষ্ট বিভাগের উপপরিচালককে সদস্য সচিব করা হয়েছে। উক্ত কমিটি বকেয়া বেতন-ভাতার কারণ চিহ্নিত করা, পৌরসভার জনবল ও তাদের বেতন-ভাতার মাসভিত্তিক চাহিদা এবং ব্যয়ের হিসাব যাচাই করা, পৌরসভার আয়- ব্যয়ের খাতসমূহ চিহ্নিত করা ও বিগত ৫ বছরের রাজস্ব ও উন্নয়ন তহবিলের খাতভিত্তিক আয়-ব্যয়সহ সামগ্রিক কার্যক্রম যাচাইকরণ, পৌরসভার আয় ও ব্যয় সঠিকভাবে রেকর্ডভুক্ত হয় কিনা, সেসব রেকর্ড বা রেজিস্টার ও ব্যাংক হিসাব যাচাই করা, পৌরসভার হোল্ডিংয়ের সংখ্যা, কর নির্ধারণ অর্থাৎ সর্বশেষ কত সালে এসেসমেন্ট হয়েছে তা উল্লেখসহ, কর আদায়ের হিসাব যাচাই করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এসব তথ্য পাওয়ার পর প্রতিটি পৌরসভার আয়-ব্যয়সহ সার্বিক তথ্য যাচাই শেষে কর্মরতদের কোন মাসের বেতন যেন বকেয়া না থাকে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, সরকারের আইন মেনে ও নিয়মের মধ্যেই চলবে দেশের সকল পৌরসভা। অন্যথায় সেসব পৌরসভাকে পৌরসভা হিসেবে রাখা হবে নাকি পূর্বের অবস্থায় অর্থাৎ ইউনিয়ন পরিষদে ফিরিয়ে নেয়া হবে তা অতিগুরুত্বের সঙ্গে ভেবে দেখা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
×