স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আইপিএলে ৬৯.২০ গড়ে আসরে সর্বোচ্চ ৬৯২ রান, বিশ্বকাপে ৭১.৮৮ গড়ে ৬৪৭- নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরেও উড়ছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। তবে এ্যাশেজ টেস্টে ছিলেন চরম ব্যর্থ। ৯.৫০ গড়ে ১০ ইনিংসে রান ৯৫। সমালোচনার মুখে পড়েন ন্যাটা ওপেনার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি২০ দিয়ে দীর্ঘদিন পর ঘরের মাটিতে আন্তর্জাতিক সিরিজে মাঠে নেমে ছিলেন আলোচনায়। ওয়ার্নার বলেছিলেন, সমালোচনা নিয়ে ভাবেন না। মাঠেও সবকিছু তুড়ি মেড়ে উড়িয়ে দিলেন ৩৩ বছর বয়সী উইলোবাজ। তাকে থামানোর কোন পথই খুঁজে পেলেন না লাসিথ মালিঙ্গা। তিন ম্যাচে অপরাজিত যথাক্রমে ১০০, ৬০ ও ৫৭ রানে। ফল : ১৩৪ রান, ৯ ও ৭ উইকেটের জয়ে শ্রীলঙ্কাকে ‘হোয়াইটওয়াশ’ করল এ্যারন ফিঞ্চের অস্ট্রেলিয়া। মেলবোর্নে শুক্রবার তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ৬ উইকেটে ১৪২ রান করেছিল সফরকারী লঙ্কনরা। জবাবে ওয়ার্নার তা-বে ১৭.৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় অসিরা। আগামী বছর ঘরের মাটিতে টি২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতির প্রথম সিরিজেই বাজিমাত ফিঞ্চবাহিনীর।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ভিত গড়ে দেন ওয়ার্নার ও ফিঞ্চ। জুটিটি অবশ্য ভাঙ্গতে পারত আগেই। মালিঙ্গার ব্যর্থতায় ব্যক্তিগত ১২ রানে জীবন পান ওয়ার্নার। পরের ওভারে ১৫ রানে থাকা ফিঞ্চের ক্যাচ ছাড়েন ওশাদা ফার্নান্দো। ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৭ রান করা ফিঞ্চকে ফেরান লাহিরু কুমারা, ভাঙ্গে ৬৯ রানের জুটি। উইকেটে এসেই চড়াও হন স্টিভেন স্মিথ। তবে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি, ১৩ রান করে নুয়ান প্রদিপের বলে ধরা পড়েন লক্ষণ সান্দাকানের হাতে। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল সরে দাঁড়ানোয় একাদশে আসা বেন ম্যাকডারমটকে টিকতে দেননি মালিঙ্গা। অবশ্য রিপ্লেতে দেখা যায়, রিভিউ নিলে বেঁচে যেতেন তরুণ ব্যাটসম্যান। এ্যাশন টার্নারকে নিয়ে বাকিটা সহজেই সারেন ওয়ার্নার। ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৫৭ রান করেন বাঁহাতি ওপেনার। প্রথম ম্যাচে ১০০ রান করা ওয়ার্নার দ্বিতীয় ম্যাচে খেলেছিলেন ৬০ রানের ইনিংস। সিরিজে ২১৭ রান করে হয়েছেন সিরিজসেরা। এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামা লঙ্কানরা শুরুতেই বড় ধাক্কা খায়। প্রথম ওভারে নিরোশান দিকওয়েলাকে বিদায় করেন ছুটি কাটিয়ে ফেরা মিচেল স্টার্ক। আরেক ওপেনার কুসল মেন্ডিসকে তুলে নেন কেন রিচার্ডসন। তৃতীয় উইকেটে আভিস্কা ফার্নান্দোকে নিয়ে ৪৩ রানের জুটি গড়েন পেরেরা। ৪টি চার ও একটি ছক্কায় ৩৮ বলে ফিফটি তুলে নেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। সিরিজে কোন লঙ্কান ব্যাটসম্যানের এটাই একমাত্র ফিফটি। শেষদিকে অস্ট্রেলিয়ার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে ঝড় তুলতে পারেননি কেউই। ভানুকা রাজাপাক্সের ১০ বলে ১৭ রান করেন।
স্কোর ॥ শ্রীলঙ্কা॥ ১৪২/৬ (২০ ওভার; কুসল মেন্ডিস ১৩, কুসল পেরেরা ৫৭, আভিস্কা ফার্নান্দো ৩০, জয়সুরিয়া ১২, রাজাপাকসে ১৭*, মালিঙ্গা ৮*; স্টার্ক ২/৩২, রিচার্ডসন ২/২৫, কামিন্স ২/২৩)।
অস্ট্রেলিয়া॥ ১৪৫/৩ (১৭.৪ ওভার; ফিঞ্চ ৩৭, ওয়ার্নার ৫৭*, স্মিথ ১৩, ম্যাকডারমট ৫, টার্নার ২২*; মালিঙ্গা ১/২২, কুমারা ১/৪৯, প্রদিপ ১/২০)।
ফল ॥ অস্ট্রেলিয়া ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ ও সিরিজসেরা ॥ ডেভিড ওয়ার্নার (অস্ট্রেলিয়া)।
সিরিজ ॥ তিন ম্যাচের টি২০ অস্ট্রেলিয়া ৩-০ ব্যবধানে জয়ী।
