ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

লি টাকের সাফল্যে ম্লান জামাল

প্রকাশিত: ০৯:২০, ২ নভেম্বর ২০১৯

 লি টাকের সাফল্যে ম্লান জামাল

স্পোর্টস রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে ফিরে ॥ ফাইনালের আগে দুই দলের অধিনায়ক চট্টগ্রাম আবাহনীর জামাল ভুঁইয়া ও টেরেঙ্গানু এফসির লি টাককে নিয়ে হৈচৈ ছিল সবচেয়ে বেশি। ব্যক্তিগত এই দ্বৈরথে শেষ হাসি হেসেছেন মালয়েশিয়ান ক্লাবটির অধিনায়ক। বৃহস্পতিবার রাতে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ ফুটবলের ফাইনালে গোল না পেলেও লি প্রথম গোলের যোগানদাতা। পুরো ম্যাচেও ছিলেন সাবলীল। অন্যদিকে জামালকে খুব একটা খুঁজে পাওয়া যায়নি। শুরুতেই দেখেন হলুদ কার্ড। শুধু তাই নয়, মেজাজ হারিয়ে রেফারির সঙ্গে তর্ক করতেও দেখা যায় জাতীয় দলের অধিনায়ককে। এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের এই মাঠ সবসময়ই উজাড় করে দেয় লিকে। এর আগে ২০১৬ সালে পেশাদার লীগে ঢাকা আবাহনীর হয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্রের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করেছিলেন। ওই মৌসুমেই ছাড়েন আকাশী জার্সিধারীদের তাঁবু। তিন বছর পর ফিরেছেন মালয়েশিয়ান ক্লাবের হয়ে। কিন্তু পায়ের জাদু আগের মতোই আছে। বাংলাদেশে দ্বিতীয়বার এসেই লি টাক বলেছিলেন, ‘আমরা শুধু ট্রফি জিততে চাই’। সেই চাওয়া পূরণ হয়েছে তার। দুর্দান্ত সাফল্যের পথে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন লি। টানা দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছেন। ৬ গোল করে আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা। হয়েছেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ও। বাংলাদেশে এমন সাফল্যে উচ্ছ্বসিত লি ফাইনাল শেষে বলেন, ‘বাংলাদেশকে ভুলতে পারব না। এই দেশ আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। সুযোগ পেলে এখানে আবারও খেলতে চাই। এখানকার দর্শকরা সত্যিই অনেক ভাল’। এমএ আজিজ স্টেডিয়ামকে পছন্দের আখ্যা দিয়ে লি বলেন, ‘এই মাঠ আমার জন্য পয়মন্ত। বাইরের কোন মাঠে তিনটি হ্যাটট্রিক করা সহজ নয়। এ কারণে স্মৃতিগুলো ভুলব না। আমার বিশ্বাস ছিল ভাল করব। তবে এতটা ভাল করব ভাবিনি’। তবে দুর্দান্ত এই সাফল্য যে ঘাম ঝরানোর ফসল সেটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘চ্যাম্পিয়ন হওয়া সহজ ছিল না। তবে আমরা পরিশ্রম করে এটি পেয়েছি। আমার নিজের ওপর বিশ্বাস ছিল। আমি সেরাটা দিয়ে সফল হয়েছি। আমি খুব খুশি।’ ফাইনাল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফাইনাল হয়েছে। প্রতিপক্ষ সহজে হার মানেনি। আমরা প্রথম ৪৫ মিনিটে নিয়ন্ত্রণ করেছি। পরের ৪৫ মিনিট ওরা অনেক বেশি আক্রমণ করে খেলেছে’। টেরেঙ্গানু কোচ নাফুজি বিন জাইনও মন জয় করেছেন বাংলাদেশের নিপাট এই ভদ্রলোককেও ফাইনালের স্নায়ু চাপ জেঁকে বসেছিল। তাইতো ম্যাচ চলকালীন লাইন্সম্যান ও চতুর্থ রেফারির সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ বাকবিত-া করতে দেখা যায় তাকে। তবে সব ভুলে চ্যাম্পিয়ন হতে পেরে বেজায় খুশি নাফুজি, ‘ছেলেরা অসাধারণ ফুটবল খেলেছে। আমি ওদের অভিনন্দন জানাই। এই শিরোপাটা আমাদের প্রাপ্য। আমাদের লক্ষ্য ছিল চ্যাম্পিয়ন। সেটা হতে পেরে ভাল লাগছে।’ দর্শকদের প্রশংসা করে টেরেঙ্গানু কোচ বলেন, ‘বাংলাদেশের দর্শক অনেক ভাল। তারা যেভাবে উৎসাহ দিয়ে থাকে সেটা অনেক বড় পাওয়া। এই দেশটা আমার খুব ভাল লেগেছে’।
×