ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সবজি চাষী জাকিরের মুখে হাসির ঝিলিক

প্রকাশিত: ০৮:৪৫, ২ নভেম্বর ২০১৯

 সবজি চাষী জাকিরের মুখে হাসির ঝিলিক

পটুয়াখালীর বাউফলের নাজিরপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ সুলতানাবাদ গ্রামের যুবক জাকির দেওয়ান সমন্বিত সবজি চাষ করে ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছেন। মাত্র দুই বছর সবজি চাষ করে অভাবকে জয় করে সফলতার মুখ দেখছেন তিনি। শিশু বয়সে তার বাবা মারা যাওয়ায় মায়ের মমতায়ই বড় হয়েছেন তিনি। চার ভাই-বোন নিয়ে অভাবের সংসার ছিল তাদের। দারিদ্র্যকে জয় করতে কৃষি কাজের ওপর মনোযোগ দেন তিনি। প্রথমে পুকুরে মাছ চাষ করেন। এরপর নানা ধরনের সবজির বাগান করেন। কিন্তু সিডর ও আইলার মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার মাছের ঘের ও সবজির বাগান। সর্বস্বান্ত হয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন জাকির। এরপর একটি বেসরকারী উন্নয় সংস্থায় খ-কালীন চাকরি নেন। একপর্যায়ে ওই সংস্থাটির বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তিনি ঠিকাদারী পেশায় জড়িয়েও সফল হতে পারেননি। জড়িয়ে পড়েন ঋণের জালে। সংসার জীবনে পোড় খাওয়া জাকির ফুল-ফসলের মায়ায় আবারও হাত বাড়ান সমন্বিত সবজি চাষে। এবার তিনি সফল হয়েছেন। দুই বছর আগে পরিত্যক্ত ৫ একর জমির মাছ ও সবজির ঘেরে পুনরায় শুরু করেন চাষাবাদ। বছর ঘুরতেই তার বাগানে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ আর সবজি ক্ষেতে লাউ, সিম, টমেটো, লালশাক, করলা, বেগুন, লাফা, শসা, খিরা, চিচিংগাসহ নানা ধরনের শাক-সবজির বাম্পার ফলন হয়। হাসির ঝিলিক ফোটে তার মুখে। বদলে যেতে শুরু করে দিন। আগেভাগে বাজারে তোলা যায় এ ধরনের চিন্তা মাথায় রেখে লাউ, সিম, শশাসহ আগাম জাতের বিভিন্ন সবজি চাষে অভাবনীয় লাভের মুখ দেখেন তিনি। -কামরুজ্জামান বাচ্চু, বাউফল থেকে
×