ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মুহম্মদ শফিকুর রহমান

২ থেকে ৭ নবেম্বর বিপ্লব নয়, ষড়যন্ত্র হয়েছিল

প্রকাশিত: ০৮:৩৭, ২ নভেম্বর ২০১৯

২ থেকে ৭ নবেম্বর বিপ্লব নয়, ষড়যন্ত্র হয়েছিল

আর একদিন পর ৩ নবেম্বর ২০১৯। জেলহত্যা দিবস। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা বেগম মুজিবসহ পরিবারের অন্যদের হত্যার পর ৩ নবেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কাস্টডিতে থাকা অবস্থায় নিষ্ঠুরভাবে জাতীয় ৪ নেতা : সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামানকে হত্যা করা হয়। সেই থেকে ৭ নবেম্বর পর্যন্ত সময়টা ছিল গভীর ষড়যন্ত্রের কালো অধ্যায়। সেই ধারাবাহিকতায় দেশপ্রেমিক জেনারেল ও মুক্তিযোদ্ধা খালেদ মোশাররফ, কর্নেল হুদা ও হায়দারসহ সেনাবাহিনীর অনেক মুক্তিযোদ্ধা অফিসারকে হত্যা করা হয়। এসব হত্যাকা-ের পেছনের কুশীলব ছিল খন্দকার মুশতাক এবং জেনারেল জিয়া। প্রথমজন পাকি-মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের রাজনৈতিক এজেন্ট এবং দ্বিতীয়জন ঐ গোষ্ঠীর মিলিটারি এজেন্ট; যে ষড়যন্ত্রের শুরুটা তারা করেছিল মুক্তিযুদ্ধের মাঝে ভারতের মাটিতে। কিন্তু জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচার হলেও পেছনের ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ যেমন আজও পুরোপুরি উন্মোচিত হয়নি, তেমনি ৩ নবেম্বর থেকে ০৭ নবেম্বর ’৭৫-এর ষড়যন্ত্রকারী বা নেপথ্যের কুশীলবরা রয়ে গেছে পর্দার অন্তরালে। তাই আজ দাবি উঠেছে ট্রুথ কমিশন বা উচ্চ পর্যায়ের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন ও দ্রুততম সময়ে ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচনের। ষড়যন্ত্রকারীদের চেহারা উন্মোচিত হয়নি বলেই প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে বসে আজও তারা জাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে চলেছে। যে কারণে কতগুলো প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে, কারো বিরোধিতা নয় কারো বিরুদ্ধে বিষোদগার নয় কতগুলো প্রশ্নের মীমাংসা হওয়া দরকার॥ কাগজে লিখে বিজ্ঞাপন দিয়ে মিডিয়া সম্মেলন করে টিভিতে টক শো করে ঐ সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবেনা প্রয়োজন গভীর তদন্তের তাহলে মীমাংসা হয়ে যাবে সকল প্রশ্নের॥ সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২৭৩০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এবার জামায়াত-শিবির পরিচালিত নেতাদের প্রতিষ্ঠান দেদার এমপিওভুক্ত হয়েছে। পক্ষান্তরে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার মূল্যবোধ লালনকারী অনেক প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়নি। এ নিয়ে ক্ষোভ যেমন আছে তেমনি অনেক মুখরোচক বচনও শোনা যাচ্ছে। আমি সেদিকে যাচ্ছি না। আমার বক্তব্য হলো এমপিওভুক্তির ঘোষণাটি দেয়ানো হলো প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে। এ ক্ষেত্রে যদি বলা হয়, মন্ত্রণালয় নিজেদের দায় প্রধানমন্ত্রীকে বহন করতে দিলেন। হ্যাঁ, এজাতীয় ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী দেবেন এটাই সংসদীয় রাজনীতি ও সংসদীয় সরকারের রীতিনীতি। প্রশ্ন হলো যারা জরিপ করলেন, যারা ডাটাবেজ তৈরি করলেন; তারা কিভাবে করলেন, কার কার সঙ্গে পরামর্শ করলেন, কিছুই জানা হলো না? প্রশ্ন প্রশ্নের জায়গায় থেকে গেল? এ ব্যাপারে একাধিক জাতীয় সংসদ সদস্যের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা ক্ষোভের সঙ্গে বলেছেন, এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়ার কোন পর্যায়ে তাদের সঙ্গে কেউ কথা বলেনি, কোন পরামর্শও চাওয়া হয়নি। যে কারণে এলাকায় এলাকায় ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। ডাটাবেজ যারা নির্মাণ করেছেন তারা শিক্ষামন্ত্রীকেও প্রশ্নের সম্মুখীন করলেন। শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এ ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, প্রাপ্ত তথ্য- উপাত্তের ভিত্তিতে এমপিওভুক্ত হয়েছে। তারপরও তথ্য যাচাই করা হবে। কোন ভুল বা অসত্য তথ্য পাওয়া গেলে ওই সব প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। অবশ্য তিনি এটাও বলেছেন, কিছু ভুলত্রুটি খবর মিডিয়ায় এসেছে। যেসব প্রতিষ্ঠান আগে থেকে এমপিওভুক্ত তারা আবার আবেদন করবে এটা ভাবা যায়নি। তবে কোন অনিয়ম হয়নি। জানা গেছে চাঁদপুর সদরের আল-আমিন একাডেমি, ফরিদগঞ্জ সদরের আদর্শ একাডেমি, দেইচর মডেল একাডেমি, কচুয়ার কাজলা খাদিজাতুল কোবরা দাখিল মাদ্রাসা, দেওঘর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা, হাজীগঞ্জের আজরা আলী ক্যাডেট মাদ্রাসা, শাহরাস্তির ভোলাদিঘি কামিল মাদ্রাসা, লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ মহিলা দাখিল মাদ্রাসা, রায়পুরের আল-বারাকা দাখিল মাদ্রাসা এসব প্রতিষ্ঠান এবার এমপিওভুক্ত হয়েছে। অথচ এই রামগঞ্জে ঘনিয়া দরবার শরীফ প্রতিষ্ঠিত দুটি দাখিল মাদ্রাসা, রামগঞ্জ মুহাম্মদিয়া দাখিল মাদ্রাসা ও সোনাপুর দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা এই দুটির একটিও এমপিওভুক্ত হয়নি। এই মাদ্রাসা ২টির সভাপতি বর্তমান ঘনিয়া দরবার শরীফের পীর মোঃ জুনায়েদ উল হক। এই দরবার শরীফ বরাবরই স্বাধীনতার পক্ষের এবং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের নীতি অনুসরণ করে চলেছে। ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনকালে ঘনিয়ার পীর তার এলাকায় নৌকার প্রার্থীর সমাবেশে বক্তৃতা করেছিলেন বলে পরদিন তার বাড়ি দরবার শরীফ আক্রমণ করে জামায়াত-শিবির-বিএনপির সন্ত্রাসীরা। পীরসাহেব রাতের অন্ধকারে পালিয়ে জীবন রক্ষা করেন। ক’দিন আগে তিনি আমাকে বলছিলেন, তার মাদ্রাসা ২টি এমপিওভুক্ত হলো না। তার পক্ষেও আর পরিচালনা করা সম্ভব নয়। দরবার শরীফের মুরিদান ও সাধারণ মানুষের দানে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু তারও একটা লিমিট আছে। দিনদিন খরচ বাড়ছে। তাছাড়া পার্শ্ববর্তী রাজাকারদের প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হচ্ছে এবং সেসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা মোটা অঙ্কের বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। এসব দেখে নন-এমপিওভুক্ত স্বাধীনতার পক্ষের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা একদিকে সামান্য বেতন, অপরদিকে অসম্মান অবমূল্যায়নে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন। আশায় আশায় আর কতদিন থাকবেন? পীর সাহেব টেলিফোনে দুঃখ করে বলেছেন, আর তো পারছি না, এবার হয়ত ছাত্র, অভিভাবক ও এলাকাবাসীকে ডেকে প্রতিষ্ঠান ২টি বন্ধ করে দেয়া ছাড়া কোন বিকল্প থাকবে না। দৈনিক ভোরের কাগজ (২৫ অক্টোঃ ২০১৯) লিখেছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত মুশাররফ হোসেন মাধ্যমিক স্কুল এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের মায়ের নামে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে প্রতিষ্ঠিত রেজিয়া কলেজও এমপিওভুক্ত হয়নি। এমনকি ফরিদগঞ্জের পূর্বাঞ্চলের একমাত্র গল্লাক আদর্শ ডিগ্রী কলেজ স্তর পরিবর্তন করে ডিগ্রীর এমপিওভুক্তির জন্য স্থানীয় এমপি হিসেবে আমি ডিও লেটার দেবার পরও এমপিওভুক্ত হয়নি। আমি ওই কলেজের সভাপতিও। উল্লেখ্য, কলেজটি ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত এমপিওভুক্ত আগে থেকেই। এই যখন অবস্থা ঘনিয়া দরবার শরীফ আর থাকে কোথায়? লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জে প্রতিষ্ঠিত একটি দাখিল মাদ্রাসা এমপিওভুক্তি তালিকায় স্থান পেয়েছে যা শতকরা ১০০ ভাগ জামায়াত-শিবির দ্বারা পরিচালিত। এই মাদ্রাসার সহ-সুপারের পিতা অতীতে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে ওই এলাকায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, আরেক শিক্ষকের পিতা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাঝে শান্তিÍ কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। দেইচরের মডেল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা একজন হাফেজ এবং জনশ্রুতি হলো তিনি রাজাকার ও পরে আলবদর বাহিনীর সদস্য ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে পালিয়ে পাকিস্তানের করাচী হয়ে লন্ডনে চলে যান। মিলিটারি জিয়ার মার্শাল ল’র মধ্যে দেশে ফিরে আসেন এবং দেইচর মডেল একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন। চারদিকে ১০-১২ ফুট দেয়াল দিয়ে ঘেরা প্রতিষ্ঠান। এর মানে হলো এবার যারা ডাটাবেজ তৈরির কাজে নিয়োজিত ছিলেন তারা হয় ঘাপটি মারা স্বাধীনতাবিরোধী। নয়ত দুর্নীতিবাজ,যারা অর্থের বিনিময়ে কাজ করে। নয়ত যে সরকারপ্রধান প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সন্তান,নিজেও একজন নিখাদ স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালনকারী, দেশপ্রেমিক, তিনি ক্ষমতায় থাকতে তার নীতি ও আদর্শ বিরোধী কাজ কিভাবে হলো? তালিকা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এই যে জামায়াত, শিবির ও তাদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপির এত প্রতিষ্ঠান কিভাবে হতে পারল। এর পেছনে রাজনীতি আছে অবশ্যই। তা হলো এ্যান্টি-আওয়ামী লীগ তথা স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে বসে সরকারবিরোধী কাজ করছে। আর অর্থের বিনিময়ে কাজ করা। আর কিছু মানুষ তো রয়েছেই অর্থের বিনিময়ে নিজের আপনজনকে পর্যন্ত বিক্রি করতে পারে। ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কাজ করেছেন। আমরা কি করছি?’ প্রধানমন্ত্রী চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার, আলবদরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। তার লক্ষ্য হলো, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সোনার বাংলা গড়ে তোলা এবং তিনি তা সাফল্যজনকভাবে করে চলেছেন, নির্ভয়ে কর্মসূচী নিয়ে এগিয়ে চলেছেন। তার প্রিয় স্লোগান ‘বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবেই।’ এর জন্য এখন আর ডাটা দিয়ে বোঝাবার দরকার নেই। সবই দৃশ্যমান। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বিস্ময়, রোল মডেল। এখানেই আওয়ামী লীগ বিরোধী শক্তির মাথাব্যথা। তারা কোথায় টাকা পাচ্ছে, সেটির তদন্ত হওয়া জরুরী হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে জামায়াত-শিবিরের অর্থের কোন অভাব চোখে পড়ে না। এক-একটা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছে এবং পরিচালনা করছে। উচ্চতর আদালত কর্তৃক জামায়াত-শিবিরকে স্বাধীনতাবিরোধী এবং সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করা এবং বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক তাদের নিবন্ধন বাতিল করার পর তারা এখন অন্য নামে, অন্য প্রকৃতির প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছে। বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে মানুষের সহানুভূতি সহজেই অর্জন করা যায়। তাদের একটা বিশ্বাস জন্মেছে যে, এর মধ্যে তারা বিএনপিকে ৫১ শতাংশ জামায়াতীকরণ সম্পন্ন করতে পেরেছে। আর ১৫/২০ শতাংশ সম্পন্ন করতে পারলে ফাইনাল ধাক্কা দেবে, এবং দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারবে। এখন খালেদা জিয়া তাদের কাছে ফ্যাক্টর নয়, কিছুটা ফ্যাক্টর হলো খালেদা তনয় তারেক জিয়া, আদালত কর্তৃক দ-িত ফেরার আসামি লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়া -এক শিক্ষাহীন, মেধাহীন যুবক; যে স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশে ফিরে আসবে এবং আবার হাওয়া ভবন নামে ক্ষমতার কেন্দ্র বানাবে। এই সুযোগটাই নিচ্ছে জামায়াত-শিবির। তাদেরও পলাতক সন্ত্রাসীরা এখন ব্যাপকভাবে লন্ডনে রয়েছে। তারেক জিয়াকে নেতা বানাবার যাবতীয় লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে। জামায়াত-শিবির চিরকালই পরগাছা। তাই বিএনপির মতো গাছ ধরে বেড়ে উঠতে চায়। কিন্তু বিত্রনপি যে এখন রসকষবিহীন একটি শুকনো কাঠ। তারাও এটি জানে। তারপরও মানুষকে দেখাবার জন্য ওসব করছে। আরেকটি দিক হলো, তাদের সরাসরি যুদ্ধাপরাধী নেতৃত্ব শেষ হয়ে যাওয়ার পর এখন যারা আছে তারা ’৭১ পরবর্তী প্রজন্ম; যাদের গায়ে সরাসরি যুদ্ধাপরাধের দাগ নেই। তারা সহজেই গণমানুষের মাঝে মিশে যেতে পারবে এবং তাদের ইতিবাচক উত্থান ঘটবে। কিন্তু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা এত বড় ঘটনা যে, স্বাধীনতাবিরোধীরা কোনদিনই খালি মাঠ পাবে না। কারণ, এটি আদর্শিক লড়াই। এ লড়াই চলবে হাজার বছর। বঙ্গবন্ধু নেই, শেখ হাসিনা আছেন। ঢাকা- ১ নবেঃ ২০১৯ লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক ও জাতীয় সংসদ সদস্য ইমেইল : [email protected]
×