ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নওগাঁয় দুই মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষিত ॥ দুই লম্পট গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০৮:০৮, ২ নভেম্বর ২০১৯

 নওগাঁয় দুই মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষিত ॥  দুই লম্পট গ্রেফতার

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ১ নবেম্বর ॥ ধামইরহাটে দুই মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ধর্ষিত হয়েছে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় থানা পুলিশ দুই ধর্ষককে গ্রেফতার করে নওগাঁ আদালতে সোপর্দ করেছে। এ বিষয়ে ধামইরহাট থানায় বৃহস্পতিবার রাতে পৃথক দুটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার উপজেলার বড়থা ডিআই ফাজিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী (১৩) দুপুর ১২টায় মাদ্রাসা ছুটির পরে বাড়ি ফেরার পথে বড়থা-কাজিপুর বিশাল ধান ক্ষেতের মাঠে বড়থা গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের ছেলে হেলাল হোসেন (২৫) তাকে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়েটির চিৎকার শুনে জনৈক কৃষক এগিয়ে আসলে ধর্ষক পালিয়ে যায়। ভিকটিম প্রাণভয়ে বাড়ি এসে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে স্থানীয় বাচ্চু ডাক্তারের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে জ্ঞান ফিরলে মেয়েটি তার পরিবারকে ঘটনার বিষয় জানালে পরিবার থানা পুলিশে খবর দেয়। থানা পুলিশ স্থানীয়দের সহযোগিতায় ধর্ষক হেলালসহ ভিকটিমকে রাত ৮টার দিকে থানায় নিয়ে যায়। ভিকটিমের মা ফেরদৌসি বাদী হয়ে ধামইরহাট থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। এদিকে উপজেলার ইসবপুর ইউনিয়নের বৈদ্যবাটি এলাকায় বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মৃত প্রতিবেশীকে দেখতে যায় সাহাপুর মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী (১৭)। এ সময় মেয়েটিকে একা পেয়ে একই গ্রামের সাবের আলীর ছেলে মাহফুজুর রহমান (২৮) প্রতিবেশীর বাড়িতে কৌশলে ডেকে নিয়ে প্রতিবেশীর ঘরের ভেতর ধর্ষণ করে। মেয়েটির চিৎকারে স্থানীয়রা ধর্ষক মাহফুজুরকে হাতে-নাতে আটক করে থানা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে এলে ভিকটিমের মা মুরশিদা বেগম ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ধামইরহাট থানার ওসি (তদন্ত) মাহবুব আলম জানান, পৃথক দুটি ঘটনার বিষয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের সত্যতা আসামিরা স্বীকার করেছে।
×