ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বন্ধ হচ্ছে না ঢাকার ৪ নদীর দূষণ

প্রকাশিত: ০৭:৫৩, ২ নভেম্বর ২০১৯

 বন্ধ হচ্ছে না ঢাকার  ৪ নদীর দূষণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শত উদ্যোগ আর অভিযানের পরও বন্ধ হচ্ছে না ঢাকার ৪ নদীর দূষণ। রাজধানী থেকে ট্যানারি স্থানান্তরের ফলে বুড়িগঙ্গার পানির কিছুটা উন্নতি হলেও কারখানা ও ট্যানারির বর্জ্যে তুরাগ, বালু ও ধলেশ্বরীর দূষণ বাড়ছে প্রতিনিয়ত। পরিবেশবিদরা বলছেন, নদী দূষণ কমাতে সরকারকে দূষণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে বৈষম্যহীন আইন প্রণয়ন ও তা কার্যকরের বিকল্প উপায় নেই। তবে আগামীতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার কথা জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। ট্যানারি স্থানান্তরের ফলে বুড়িগঙ্গার দূষণ কিছুটা কমেছে। তবে রাজধানীর আশপাশের প্রায় ১১০টি কারখানা ও ট্যানারির বর্জ্যে প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে বুড়িগঙ্গা, বালু, তুরাগ ও ধলেশ্বরী। নদী দূষণ নিয়ে গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান রিভাইন পিপলসের সমীক্ষা বলছে, বুড়িগঙ্গার পাড়ে প্রায় ৩০টি, তুরাগের পাড়ে ৩০টি, টঙ্গী খালের ২০টি কারখানা এবং ধলেশ্বরীর ট্যানারির বর্জ্যে দূষণ বাড়ছে প্রতিনিয়ত। তবে এগুলোর পক্ষে এককভাবে ৪ নদীর দূষণ পুরোপুরিভাবে সম্ভব নয়। মূলত গাজীপুর জেলার শত শত কারখানা, গার্মেন্টস ও ইপিজেডের বর্জ্য জেলার তুরাগ, বালুসহ ৫টি নদী হয়ে সরাসরি এই ৪ নদীর পানিকে দূষিত করে। ফলে ১২ মাসই রাজধানীর চারপাশের এই ৪টি নদীর পানি কম বেশি দূষিত থাকে। যা সরাসরি গিয়ে মিলিত হয় মেঘনায়। লাগাম ছাড়া এই নদী দূষণ রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দীর্ঘমেয়াদী ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার অভাবকেই দায়ী বলে মনে করেন পরিবেশবিদরা। বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ঢাকা মহানগরী একেবারেই বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে। সরকারকে আসলে বৈষম্যহীনভাবে আইনের প্রয়োগ করতে হবে। একটা মাস্টারপ্ল্যানের মাধ্যমে ঢাকা শহরের নদীদূষণ বন্ধ করা সম্ভব। অন্যদিকে খুব শীঘ্রই সঠিক পরিকল্পনায় ট্যানারি শিল্প পরিচালনার মাধ্যমে ধলেশ্বরীর দূষণ রোধের অঙ্গীকার বিসিক চেয়ারম্যানের। বিসিক চেয়ারম্যান মোশতাক হাসান বলেন, কিছু কেমিক্যাল এসেছে। এগুলো আমরা মিশিয়ে দিলে পরিষ্কার পানি নদীতে যাবে। আর নদীতে অবৈধ এবং অপরিকল্পিতভাবে বর্জ্য নিষ্কাশনকারী কারখানাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যানের। বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর এম মাহবুব-উল ইসলাম বলেন, যেসব দূষণকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদের আমরা কোন কোন ক্ষেত্রে নোটিস দিয়েছি। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানকে আমরা জরিমানাও করেছি। ভবিষ্যতে আমরা মোবাইল কোর্টও পরিচালনা করব।
×