ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নজরদারির অভাবে বাড়ছে সিলিন্ডার ফিস্ফোরণ

প্রকাশিত: ০৬:২১, ২ নভেম্বর ২০১৯

  নজরদারির অভাবে বাড়ছে সিলিন্ডার ফিস্ফোরণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সিলিন্ডার গ্যাস বাজারজাত ও মান নিয়ন্ত্রণে নেই সরকারী কোন সুনির্দিষ্ট সংস্থা, নেই নজরদারি। ফলে প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে গ্যাস ও সিলিন্ডার বিস্ফোরণজনিত দুর্ঘটনা। বিশেষজ্ঞরা বলছে, এলপিজি, সিএনজিসহ সিলিন্ডার গ্যাসের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে, তাই এখনই ব্যবস্থা না নিলে অপেক্ষা করছে ভয়ঙ্কর আগামী। চুড়িহাট্টা ট্রাজেডি, চলতি বছরের শুরুতে ৭৮ জন মানুষের প্রাণহানির ঘটনা শুধু বাংলাদেশ নয়, কাঁদিয়েছে পুরো বিশ্বকে। চলতি মাসের মধ্যভাগে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় সিলিন্ডারবাহী এ্যাম্বুলেন্সে বিস্ফোরণ ঘটে নিহত হয় ৩ জন। পরিসংখ্যান বলছে, গেল ৫ বছরে কেমিক্যাল বা সিলিন্ডার বিস্ফোরণের এমন ঘটনা ঘটেছে কম করে হাজারটি, যাতে প্রাণ গেছে আড়াই শ’য়ের বেশি মানুষের। কিন্তু একের পর এক মানবিক বিপর্যয়ের পরও কতটা তৎপর হয়েছে প্রশাসন। ফায়ার সার্ভিস সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ বলেন, এগুলো দেখভাল করার কেউ নেই। যদি বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিস থেকে সার্টিফিকেট নিয়েও থাকে দেখভাল করছে কিনা সেটাই প্রশ্ন জাগায়। ১৯ বছর আগে পরিবেশ রক্ষায় সিএনজি সুবিধা চালু হওয়ার পর ব্যবহার করা গাড়ির সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এরই মধ্যে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে এসব যানবাহনের অধিকাংশ সিলিন্ডার। তাই সামনের দিনগুলোতে ঝুঁকি দেখছেন তারা। ফায়ার সার্ভিস সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ বলেন, যারা সিএনজিগুলো ইনস্টল করেন তারা এটিকে রিটেস্ট করেন। যারা এগুলো লাগাচ্ছে তারা কেউ কিন্তু সার্টিফায়িড না। যদিও বিস্ফোরক পরিদফতরের প্রধান পরিদর্শক সামসুল আলম বলেন, তারা কাজ করছেন। সিলিন্ডারের সমস্যার খোঁজা নেয়া আমাদের কাজ না। এলপিজি সিলিন্ডারগুলো টেস্ট করবে বোতলিং প্ল্যান। আর সিএনজির ক্ষেত্রে আমরা কিছু তৃতীয় পক্ষের কোম্পানিকে অনুমোদন দিয়েছি। দেশে বছরে এলপিজি গ্যাসের চাহিদা রয়েছে প্রায় দেড় লাখ টন। শিল্পায়ন, আধুনিকায়নের ফলে ক্রমেই বেড়ে চলছে এ চাহিদা। যদিও সিলিন্ডার ব্যবহার বা মান নিয়ন্ত্রণে নেই কোন নীতিমালা।
×